৩ বছরের একটি ল্যাব্রাডর কুকুরের মালিকানা নিয়ে বিবাদে জড়িয়েছেন দুই ব্যক্তি। সেই বিবাদের জেরে ডিএনএ পরীক্ষায় বসতে হয়েছে ওই কুকুরকে। এখন সে রয়েছে পুলিশের হেফাজতে। ডিএনএ পরীক্ষার ফল এলে তাকে তুলে দেওয়া হবে প্রকৃত পালকের হাতে। এ ঘটনা মধ্যপ্রদেশের ভোপালের কাছে হোসাঙ্গাবাদের।
লাব্রাডরকে নিয়ে বিবাদে জড়ানো দুই ব্যক্তির নাম শাদাব খান এবং কার্তিক শিভারে। দু’জনেই দাবি করেছেন ল্যাব্রাডরটি তার। শাদাব পেশায় এক জন সাংবাদিক। কালো ল্যাব্রাডরটির নাম তিনি ‘কোকো’ রেখেছিলেন বলে দাবি করেছিলেন। আগস্টে তার বাড়ি থেকে হারিয়ে যায় কুকুরটি। সে সময় তিনি কোকোর জন্য থানায় নিখোঁজ ডায়েরিও করেছিলেন। সম্প্রতি শাদাব ‘কোকো’কে দেখতে পান কার্তিকের বাড়িতে। তার পর ১৮ নভেম্বর থানায় জানান বিষয়টি। কিছু ছবিও জমা দেন। কুকুরটির অপর দাবিদার কার্তিক আবার অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (এবিভিপি)-র নেতা। তিনিও গিয়েছেন পুলিশের কাছে। শাদাব দাবি করেন, ২০১৭-তে পাঁচমারি থেকে ওই কুকুরটিকে কিনেছিলেন তিনি। অন্য দিকে, কার্তিকের দাবি, ইতারসির এক ব্রিডারের থেকে তিনি কিনেছিলেন ওই ল্যাব্রাডরটি। নাম রেখেছিলেন ‘টাইগার’। সমস্যা বড় করে দেয় কুকুরটিও। সে ‘ কাকো’ এবং ‘টাইগার’ দুই নামেই দুই দাবিদার শাদাব ও কার্তিক দু’জনের ডাকেই দিচ্ছে সাড়া।
বিবাদ থামাতে ঠিক হয় ডিএনএ টেস্ট করা হবে কুকুরটির। সেই মতো শুক্রবার থেকে পুলিশের হেফাজতে রয়েছে কুকুরটি। মধ্যপ্রদেশ পুলিশের অফিসার হেমন্ত শর্মা বলেছেন, ‘শনিবার ল্যাব্রাডরটির ডিএনএ টেস্টের নমুনা নেয়া হয়েছে। তার ফল এলে আমরা প্রকৃত পালকের হাতে তুলে দেব কুকুরটিকে।’ সূত্র : এবিপি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন