ভারতের প্রথম রাজ্য হিসাবে গরুর জন্য আলাদা মন্ত্রিসভা গঠন করতে যাচ্ছে মধ্যপ্রদেশ। যার নাম দেয়া হয়েছে কাউ ক্যাবিনেট। দেশটির অন্যতম গরিব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এখন গরুর জন্য যাবতীয় কর্মসূচি হাতে নিচ্ছেন। বিরোধীদের তো বটেই, গরু-রাজনীতিতে তিনি অন্য বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীদের থেকেও অনেকটাই এগিয়ে গেছেন।
রোববার মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান টুইট করে বলেন, ‘পশুপালন, বন, পঞ্চায়েত এবং গ্রামোন্নয়ন, রাজস্ব, স্বরাষ্ট্র এবং কৃষি কল্যাণ দফতরকে নিয়ে এই পরিষদ গঠন করা হবে।’ তবে এখানেই থামেননি তিনি। গরুদের বিচরণের জন্য তৈরি করছেন অভয়ারণ্য। আর গোশালা তৈরির জন্য তিনি এ বার কর বসাবেন বলে জানিয়েছেন। ইতিমধ্যেই মন্ত্রিসভার একটি বৈঠক হয়ে গেছে। সেখানে রাজ্য জুড়ে গোশালা তৈরির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। কিন্তু গরুর কল্যাণের জন্য পয়সা আসবে কোথা থেকে? গোশালা তৈরি, গরুদের খাবার দেয়া, গরু অভয়ারণ্যের কাজ করতে তো কম টাকা লাগবে না! তার সমাধানও বের করে ফেলেছেন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান। তিনি বলেছেন, ‘গোমাতার কল্যাণ ও গোশালা তৈরির জন্য আমি সামান্য কর বসাব ভাবছি।’
গরু ক্যাবিনেট গঠনের মতো শিবরাজের ‘গরুর অভয়ারাণ্য’ বানানোর সিদ্ধান্তও অভিনব। ভারতে এখনো পর্যন্ত বাঘ, সিংহ, গন্ডারের জন্য অভয়ারণ্য আছে। কিন্তু গরুর অভয়ারাণ্য নেই। আর ভারতে প্রায় সব রাজ্যেই গো-হত্যা বন্ধ। গত বিধানসভা নির্বাচনে রাজস্থানে বেওয়ারিশ চরতে থাকা গরুর দল ভোটে ইস্যু হয়ে গেছিল। ক্ষুধার্ত বেওয়ারিশ গরু আটকাতে কৃষকরা রাত জেগে খেত পাহারা দিতেন। মধ্যপ্রদেশেও একই সমস্যা আছে। এ বিষয়ে প্রবীণ সাংবাদিক শরদ গুপ্তা বলেছেন, ‘শিবরাজ আসলে হিন্দুত্বের সুবিধা পেতে চাইছেন। গরু ক্যাবিনেট, গরু কর, গরুর অভয়ারণ্য, গোশালা তৈরির সিদ্ধান্ত সে কারণেই। এরপর স্থানীয় ভোটে তিনি এর সুফল পেতেই পারেন।’ সূত্র : ডয়চে ভেলে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন