বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

অবশেষে ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু করতে রাজি হলেন ট্রাম্প

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৪ নভেম্বর, ২০২০, ১০:০০ এএম | আপডেট : ৫:৩০ পিএম, ২৪ নভেম্বর, ২০২০

অবশেষে বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়া শরু করতে তিনি প্রস্তুত। ডেমোক্র্যাটরা এটি শুরু করতে তাকে গত সোমবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিলো।

তিনি বলেছেন, হস্তান্তর প্রক্রিয়া দেখভালের দায়িত্বে থাকা সংস্থার 'যা করার প্রয়োজন করুক'। দি জেনারেল সার্ভিস এডমিনিস্ট্রেশন বা জিএসএ বলছে তারা মিস্টার বাইডেনকে 'আপাত বিজয়ী' হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে।

মূলত মিশিগানে নির্বাচনের ফল আনুষ্ঠানিকভাবে সার্টিফায়েড হওয়ার পরপরই বাইডেনের জয় চূড়ান্ত স্বীকৃতি লাভ করে। বাইডেন টিম ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু করার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে।

এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, "মহামারি নিয়ন্ত্রণ ও অর্থনীতিতে গতি আনাসহ জাতির সামনে চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলায় আজকের এই সিদ্ধান্তটি ছিলো প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ"।

ট্রাম্প কী বলেছেন

ট্রাম্প এক টুইট বার্তায় বলেছেন ক্ষমতা হস্তান্তরের আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়ায় থাকা জিএসএ বাইডেন শিবিরকে জানিয়েছেন যে তারা প্রক্রিয়া শুরু করতে যাচ্ছে।

প্রশাসক এমিলি মারফি বলেছেন, তিনি নতুন প্রেসিডেন্টের জন্য ৬৩ লাখ ডলার অবমুক্ত করেছেন।

তবে 'ভালো লড়াই' চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

তিনি বলেছেন, "জাতির বৃহত্তর স্বার্থে এমিলি ও তার টিমের করনীয় কাজটাই করা উচিৎ। এবং আমার টিমকেও তাই বলেছি।

মারফিকে মিস্টার ট্রাম্পই জিএসএ প্রধান হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছিলেন।

তিনি নির্বাচনের ফল সার্টিফিকেশন ও আইনি চ্যালেঞ্জসহ সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহকে তার সিদ্ধান্তের ভিত্তি হিসেবে উল্লেখ করেছেন তবে হোয়াইট হাউজের দিক থেকে কোনো চাপের বিষয়টি তিনি প্রত্যাখ্যান করেছেন।

"আমি পরিষ্কার করতে চাই যে আমি প্রক্রিয়াটি বিলম্বিত করতে কোনো নির্দেশনা পাইনি," তিনি মিস্টার বাইডেনকে দেয়া তার চিঠিতে উল্লেখ করেছেন।

"তবে আমি অনলাইনে, ফোনে এবং ই-মেইলে হুমকি পেয়েছি যাতে আমার নিরাপত্তা, আমার পরিবার, কর্মকর্তা এমনকি আমার পোষা প্রাণীটিকে জড়ানো হয়েছে যাতে সময়ের আগেই আমি সিদ্ধান্ত নেই"।

"এমনকি হাজার হাজার হুমকির মুখেও আমি আইনকে সর্বাগ্রে রাখতে অঙ্গীকারাবদ্ধ ছিলাম"।

নির্বাচনের পর রুটিন কাজ হিসেবে ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু করতে না পারায় যুক্তরাষ্ট্রের দুই রাজনৈতিক শিবির থেকেই এমিলি মারফির তুমুল সমালোচনা হচ্ছিলো। সূত্র : বিবিসি

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন