দক্ষিন-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপটি ঘুনিভুত হয়ে নি¤œচাপ থেকে গভীর নি¤œচাপে পরিনত হওয়ায় দক্ষিণাঞ্চলের কৃষকদের কপালে আবার দুঃশ্চিন্তার ভাজ পরতে শুরু করেছে। এবার আমন বীজতলা ও রোপা আমন ঘূর্ণিঝড় ‘ আম্পান’ ও ভাদ্রের বড় অমাবশ্যার প্লাবন ও অতি বর্ষনে ক্ষতিগ্রস্থ হবার পরে আশি^ন-কার্তিকের অমাবশ্যার বর্ষন আর জোয়ারেও ক্ষতিগ্রস্থ হয়। মঙ্গলবার দিনভরই দক্ষিণাঞ্চলের আকাশ ছিল মেঘলা। তবে বরিশালে তাপমাত্রার পারদ ১৩.১ ডিগ্রী সেলসিয়াসে নেমে গেছে। যা ছিল মৌসুমের সর্বনি¤œ। অথচ ৪৮ ঘন্টা আগে রবিবার সকালে বরিশাল সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ছিল ২০ ডিগ্রী এবং ২৪ ঘন্টা আগে, সোমবার সকালে তা ছিল ১৪.৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
বঙ্গোপসারে সৃষ্ট এ ঝড়ের প্রভাবে যদি আবার বর্ষন শুরু হয়, তবে বর্তমানে আমনের থোর ও ফুল মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হবার আশংকা রয়েছে। এমনকি এ ধরনের আবহাওয়ায় মাজরা পোকার সংক্রমন বৃদ্ধিরও আশংকা রয়েছে। আমন সহ রবি ফসলের গুনগত মানও বিনষ্টের আশংকা করছেন কৃষিবীদগন। আম্পান সহ কয়েক দফার অতিবর্ষন ও প্লাবনে ক্ষতিগ্রস্থ হবার পরেও দক্ষিণাঞ্চলে এবার আবাদকৃত ৭ লাখ ১৫ হাজার ৫০৭ হেক্টর জমিতে প্রায় ১৮ লাখ টন চাল উৎপাদনের লক্ষ্য রয়েছে।
ঝড়টি মঙ্গলবার বিকেলে বরিশালের পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে প্রায় দেড় হাজার কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল বলে আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে। বরিশাল নদী বন্দর সহ সমুদ্র বন্দরগুলোর জন্য মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত কোন সতর্ক সংকেত জারি করা না হলেও আবহাওয়া বিভাগের বুলেটিন সতর্কতার সাথে অনুসরন করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরারত সব ট্রলার ও নৌকাকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
তবে আবহাওয়া বিভাগ থেকে দক্ষিণাঞ্চলে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধির কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি শেষরাত থেকে ভোর পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারী কুয়াশার কথাও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টএ ঝড়টির গতিপথ এখনো ভারতের উড়িশ্যা উপক’লমুখি হলেও তা যেকোন সময়ই পরিবর্তনও করতে পারে। ঝড়টির কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা গতিবেগ ৬২ কিলোমিটার। যা ৮৮ কিলোমটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে বলেও আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন