দক্ষিণাঞ্চলে বুধবার সকালের পূর্ববর্তী ৭২ ঘন্টায় আরো ১০১ জন করোনা সংক্রমণের শিকার হয়েছেন। এসময়ে বরিশাল মহানগরীতেই আক্রান্তের সংখ্যা ৫২। এর আগের ৭২ ঘন্টায় দক্ষিণাঞ্চলে ৭৬ জন আক্রান্তের মধ্যে মহানগরীতে সংখ্যাটা ছিল ৩৩। দক্ষিণাঞ্চলের প্রায় প্রতিটি জেলাতে প্রতিদিনই আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে বরিশাল মহানগরী। ১৯ নভেম্বরের পরে দক্ষিণাঞ্চলে করোনা সংক্রমণে নতুন কোন মৃত্যুর খবর না থাকলেও তাপমাত্রা হ্রাসের সাথে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। বুধবার সকাল পর্যন্ত সরকারী হিসেবে দক্ষিণাঞ্চলে সর্বমোট ৯ হাজার ৬৭৫ জন করোনা আক্রান্তের মধ্যে মারা গেছেন ১৮৩ জন। মৃত্যু হার ১.৯৮%। আর এ সময়ে স্বাস্থ্য বিভাগের অনুমিত হিসেবে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৮ হাজার ৮৭৩ জন। সুস্থতার এ হার ৯১.৩৮%।
গত ২৪ ঘন্টায় বরিশাল শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে ২৫৭ জনের নমুনা পরিক্ষায় ২৫ জনের করোনা পজিটিভ সনাক্ত হয়েছে। একই সময়ে ভোলা জেলা হাসপাতালেও ৩৮ জনের নমুনা পরিক্ষায় সনাক্তের সংখ্যা ৫। দক্ষিণাঞ্চলে এপর্যন্ত গড় সনাক্তের হার ১৬.৭৬%।
বরিশাল মহানগরী এখনো স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে দুঃশ্চিন্তার কারন হয়ে আছে। দক্ষিণাঞ্চলে মোট আক্রান্তের প্রায় ৪৫%Ñই বরিশাল জেলায়। সংখ্যাটা ৪,৩২৩। এরমধ্যে মহানগরীতেই প্রায় ৩ হাজার দুশ। আর এ অঞ্চলে করোনা সংক্রমনে মৃত ১৮৩ জনের মধ্যে বরিশাল জেলায় মারা গেছেন ৭৬ জন। যার মধ্যে মহানগরীতেই প্রায় ৪০। কিন্তু এর পরেও গোটা নগরীতে স্বাস্থ্য সচেতনতা সহ কোন সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নেই। গত ৭২ ঘন্টায় বরিশাল জেলায় আক্রান্ত ৬১ জনের মধ্যে ৫২ জনই মহানগরীতে।
পটুয়াখালীতে গত ৭২ ঘন্টায় ৭ জন সহ এপর্যন্ত ১,৫৮১ জন আক্রান্ত ও ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। ভোলাতে ৭২ ঘন্টায় ৯ জন সহ সর্বমোট ৮৭৯ জন আক্রান্ত ও ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। পিরোজপুরেও এসময়ে ১০জন সহ সর্বমোট ১,১৩৩ জন আক্রান্ত ও ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। বরগুনাতে ৭২ ঘন্টায় ৭ জন সহ এ পর্যন্ত মোট ৯৮৭ জন আক্রান্ত ও ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঝালকাঠীতে এসময়ে ৭ জন সহ ৭৭২ জন আক্রান্ত ও ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার সকালে বরিশাল শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ১৮ চিকিৎসাধীন ছিলেন। এছাড়াও হাসপাতালটির আইসোলেশনে ৩৩ এবং আইসিইউ’তে আরো ৯জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানা গেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন