শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

বয়োবৃদ্ধ এক পিতার আর্তনাদ

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৫ নভেম্বর, ২০২০, ৬:৪০ পিএম

একের পর এক মামলা থেকে ছেলে এবং নিজের পরিবারকে রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এক পিতা। চট্টগ্রাম বন্দরের অবসরপ্রাপ্ত হারবার মাস্টার ৭৭ বছর বয়সী ক্যাপ্টেন মোয়াজ্জেম হোসেন খান বুধবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ আকুতি জানান।
মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, তার ছেলে মুনির হোসেন খান বাংলাদেশি-আমেরিকান নাগরিক। আমেরিকায় উচ্চ শিক্ষা শেষে ২০০৭ সালে চট্টগ্রামের কেডিএস গ্রুপের কেওয়াই স্টিলের নির্বাহী পরিচালক হিসেবে যোগ দেন। ২০১৮ সালে তার ছেলে পদত্যাগ করেন। পরে অন্য প্রতিষ্ঠানে যোগ দিলে ছেলে মুনিরের বিরুদ্ধে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানায় ৫টিসহ ঢাকার গুলশান থানা ও আদালতে চলতি বছরের ২২ নভেম্বর পর্যন্ত ২৬টি মামলা হয়েছে।
তিনি বলেন, সব কটি মামলার এজাহার অভিন্ন। শুধু সময় ও অর্থের পরিমাণ ভিন্ন। মুনিরের বাবা, ছোট ভাই ও স্ত্রীর নামেও মামলা করা হয়েছে। মুনির এক বছর ধরে কারাগারে রয়েছেন বিনা বিচারে। কথিত গাড়ি চুরির মামলায় তাকে তিন দফা রিমান্ডেও আনা হয়েছে। অথচ যে সময়ে গাড়ি চুরির কথা বলা হয়েছে তখন মুনির ছিল ঢাকায়। এ সংক্রান্ত সিসিটিভি ফুটেজও আদালতে জমা দেয়া হয়েছে।
মোয়াজ্জেম হোসেন খান বলেন, দীর্ঘদিন তার ছেলে কেডিএস গ্রুপে চাকরি করেছেন। প্রতিবছর গ্রুপটি অডিট করে থাকে। টাকা আত্মসাৎ করে থাকলে সেই সময় কেন তার ছেলেকে ধরা হয়নি। তার ছেলের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়ার আরেকটি কারণ থাকতে পারে। সেটি হলো ২০১৮ সালের ১১ এপ্রিল চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক কেডিএস গ্রুপের মালিকের ছেলে ইয়াছিন রহমান টিটুর সঙ্গে সভা করতে যান তার ছেলে। ওই সভা চলাকালে মুনিরকে মারধরও করা হয়।
মারধরের কথা জানিয়ে ঘটনার পরের মাসে কেডিএস গ্রুপের মালিকের বড় ছেলে সেলিম রহমানের কাছে ই-মেইল করে মুনির। কিন্তু অপর পক্ষ থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। মুনির হোসেনের পিতা জানান, ওই অপমানের কারণে মুনির চাকরি ছেড়ে দেয়।
১৯৯৯ সালের ৯ জুন চট্টগ্রামে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের সাবেক আইজির পুত্র জিবরান তায়েবি হত্যাকা-ের ঘটনায় জড়িত থাকায় ২০০৭ সালের ২৮ মার্চ টিটুকে যাবজ্জীবন সাজা দেন হাইকোর্ট। এখনো ইয়াসিন কারাগারেই আছেন। সংবাদ সম্মেলেনে উপস্থিত ছিলেন মুনিরের ছোট ভাই মেহেদি হাসান খান, তাদের আত্মীয় ক্যাপ্টেন মো. জাফর ও কায়সার চৌধুরী।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন