বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

ভারতের হাত থেকে পাকিস্তানকে রক্ষায় প্রতিশ্রুতি সেনার

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৬ নভেম্বর, ২০২০, ১২:০১ এএম

নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) বরাবর যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের মধ্য দিয়ে ভারতের সাথে নতুন করে উত্তেজনা বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে তাদের যে কোনও ‘অপকর্মের’ বিরুদ্ধে দেশকে রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। মঙ্গলবার সেনাবাহিনীর শীর্ষ নেতৃবৃন্দ এই সংকল্প প্রকাশ করেছেন।

মঙ্গলবার সেনা সদর দফতরে অুনষ্ঠিত কর্পস কমান্ডার সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন আর্মি চীফ জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া। সেখানেই সেনা বাহিনীর এই সংকল্পের কথা বলা হয়। এ বিষয়ে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ (আইএসপিআর) টুইটারে বলেছে যে, ফোরাম ভ‚-কৌশলগত, আঞ্চলিক ও জাতীয় সুরক্ষা পরিবেশ পর্যালোচনা করেছে এবং অভ্যন্তরীণ সুরক্ষা, এলওসি ও সীমান্তের পরিস্থিতি, অধিকৃত কাশ্মীরে ভারতীয় নৃশংসতার বিষয়ে আলোচনা করেছে। বৈঠকে আফগান শান্তি প্রক্রিয়ার অগ্রগতিও পর্যালোচনা করা হয়। আইএসপিআর জানিয়েছে, সামরিক কমান্ডাররা ‘ভারতের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র-সমর্থিত সন্ত্রাসবাদ এবং পাকিস্তানকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টার অকাট্য প্রমাণের’ পরিপ্রেক্ষিতে গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তারা চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর (সিপিসি) নিয়ে ভারতের নাশকতার প্রচেষ্টা এবং ‘পাকিস্তানে বিশেষত এজেকে, জিবি এবং বেলুচিস্তানে অশান্তি বাড়াতে সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোকে অর্থায়ন ও প্রশিক্ষণে জড়িত থাকার বিষয়টি’ অঞ্চলটিতে শান্তি ও সুরক্ষার বিরোধী বলে অভিহিত করেছেন।
চলতি মাসের শুরুর দিকে, পাকিস্তান তাদের এলাকায় সংগঠিত সন্ত্রাসবাদে ভারতের পৃষ্ঠপোষকতার প্রমাণ উন্মোচন করে এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্য ও ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) কাছে সেই তথ্য প্রমাণ তুলে ধরে। সেখানে সিপিইসি ঘিরে নাশকতার জন্য ভারতের পরিকল্পনাও প্রকাশ করা হয়। পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি সংবাদমাধ্যমের সামনে সেই প্রমাণ উপস্থাপনের সময় বলেছিলেন যে, নয়াদিল্লি সিপিইসি-কে লক্ষ্য করে ১০ জন ‘র’ (ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা) সদস্যের অধীনে ৭০০ মিলিশিয়াকে প্রশিক্ষন দেয়ার ব্যবস্থা করেছিল। সামরিক মুখপাত্র মেজর জেনারেল বাবর ইফতিখার তখন বলেছিলেন যে, সিপিইসি বিরোধী মিলিশিয়াদের শক্তিশালী করতে ভারত ৬ কোটি ডলার ব্যয় করেছে।
সাম্প্রতিক সময়ে ভারতীয় সেনা কর্তৃক ক্রমবর্ধমানহারে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ফোরামে ‘ভারত নাগরিক জনগোষ্ঠীকে লক্ষ্যবস্তু করছে’ বলে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর বসবাসকারী জনগণকে রক্ষা করার জন্য ‘প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা’ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। আইএসপিআর জানিয়েছে, ‘ফোরামটি যে কোনও বিপর্যয়ের বিরুদ্ধে মাতৃভ‚মিকে রক্ষার তীব্র ইচ্ছা, সংকল্প এবং দৃঢ়তা প্রকাশ করেছে।’
সম্মেলনে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি এবং মহামারীটির দ্বিতীয় তরঙ্গকে মোকাবিলা করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা নিয়েও আলোচনা করা হয়েছিল। সেনাবাহিনীর মিডিয়া শাখা জানিয়েছে, সেনাবাহিনী প্রধান ‘জাতীয় প্রচেষ্টাকে সমর্থন করার ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য সমস্ত কমান্ডারকে বিশেষভাবে নির্দেশ দিয়েছেন’। জেনারেল বাজওয়া উদ্ধৃত করে সেখানে বলা হয়, ‘রাষ্ট্রীয় সংস্থা এবং জাতির সমর্থন নিয়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনী সমস্ত অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত। পাকিস্তানের জনগণের স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির লক্ষ্যে এই চ্যালেঞ্জগুলোকে সুযোগে রূপান্তর করা আমাদের দায়িত্ব।’ সূত্র : ডন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (2)
কিরন ২৬ নভেম্বর, ২০২০, ২:৩০ এএম says : 0
একে বলে দেশ প্রেম
Total Reply(0)
Abdul kader ২৬ নভেম্বর, ২০২০, ১১:৪৮ এএম says : 0
যারা গরুর মূএ পান করে। তারা গরুর চাইতে নিকৃষ্ট ।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন