প্রশ্ন : একটি ক্লিনিকে আমার বাবার চিকিৎসা করিয়েছিলাম। মোট বিল সাত কি আট হাজার টাকা হয়েছিল। যেটা আমার কাছে বেশি মনে হয়েছিল এবং অনেকটা অমানবিকও। রিলিজ নেয়ার সময় দুই হাজার টাকা কম ছিল। তখন একজনকে জামিন রেখে মানে যে ডাক্তার দেখিয়েছি, তাকে জামিন রেখে চলে আসি। সে টাকা আজো দেয়া হয়নি। এখন টাকাটা ডাক্তারকে দেবো, নাকি ক্লিনিককে দেবো বুঝতে পারছি না । তবে এখনো রাগ হয়, কারণ এক রাত ক্লিনিকে থেকে এত বিল হওয়ার কথা নয়। শুধুমাত্র হাতভাঙা ব্যান্ডেজ করেছিল। তাই এতদিন টাকাটা দেয়া হয়নি। দয়া করে জানাবেন।
উত্তর : যতই অমানবিক মনে হোক, পাওনাদারের টাকা দিতেই হয়। বিশেষ করে কাউকে জামিন বানালে তাকে উদ্ধার করতে হয়। ওয়াদা দিলে তার বরখেলাপ করা যায় না। আপনার ও আপনার মতো শত শত লোকের কষ্ট আমি বুঝি, কিন্তু শরীয়ত অনুযায়ী আগে দরদাম না করে কোনো কাজ করলে তখন পাওনাদারের চাহিদা পূরণ করতে মানুষ বাধ্য থাকে। বিশেষ করে যেখানে কোনো সুবিচার ও বিবেচনার কর্তৃপক্ষ না থাকে। যারা মানুষকে জিম্মি করে বা তাদের বেকায়দা অবস্থার সুযোগ নিয়ে অধিক উপার্জন করে তাদের ওপর লা’নত এসেছে। তবে আপনি সেই ডাক্তারকে দুই হাজার টাকা দিতে বাধ্য। ডাক্তারকে আপনি আপনার কষ্টের কথা নরম ভাষায় বোঝান। এতে যদি তিনি ক্লিনিককে কম নিতে বা টাকা ছেড়ে দিতে রাজি করাতে পারেন, তাহলে আপনার সুবিধা হবে। যদি এমন না হয় তাহলে ধৈর্য ধরে টাকা পরিশোধ করে দিন। অন্যায় করলে তারা করুক, আপনি কেন গুনাহর ভাগি হবেন?
প্রশ্ন : নিজ বাসস্থান থেকে ৪৮ মাইল দূরত্বে সফরে গেলে নামায কসর করতে হয়। আমি সিলেট থেকে ঢাকা এসেও কি কসর পড়বো? এ যুগে তো উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার সুযোগে ৪/৫ ঘন্টায় এ দীর্ঘ পথ পাড়ি দেয়া যায়। এমন সুবিধাজনক সফরেও কি কসর পড়া যায়?
উত্তর : সফরের ক্লান্তি বা কষ্টের সাথে কসরের সম্পর্ক নেই। শরীয়ত নির্ধারিত তিন মনযিল বা ৪৮ মাইলের দূরত্বে সফরের শুরু থেকেই সফরের অন্যান্য শর্ত পাওয়া গেলে চার রাকাত বিশিষ্ট ফরয নামাযগুলো অর্ধেক পড়া শরীয়তের হুকুম। এটা সর্বকালের জন্যই মহান আল্লাহপাকের দেয়া একটি সুবিধা। বর্তমান যুগের উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার দরুন এ হুকুম রহিত হয়ে যাবে না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন