শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

অস্ট্রেলিয়ায় কর্মরত বাংলাদেশের ড. শাহজামাল করোনা ভাইরাসের তৈরী ভ্যাকসিন দ্রুত প্রয়োগ করা হলে প্রতিরোধ হবেই

গোদাগাড়ী (রাজশাহী) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৭ নভেম্বর, ২০২০, ৩:০৯ পিএম

প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে। প্রথমে বিভিন্ন এলাকার মানুষ তেমনভাবে গুরুত্ব দেন নি, সচেতন হননি, তাই বর্তমানে এর ভয়াবহতা ভাষায় প্রকাশ করার মত নয়, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ লক ডাউন দিয়েছেন, মাস্ক বাধ্যতামূলক করেছেন, সামাজিক দূরুত্ব বজায় রাখতে বলেছেন। কিন্তু কোন পদক্ষেপ যেন তেমনভাবে কাজে আসছেনা। তবে অনেক দেশ আশার আলো দেখাচ্ছেন করোনা ভাইরাসেন টিকা আবিস্কার করে। এ টিকা দেশে আসলে কাদেরকে সরকার আগে করোনা ভ্যাকসিন প্রদান করবে ?

করোনা ভাইরাস শুরু হওয়ার পর থেকে বিশ্বের বিজ্ঞানীগ এর ভ্যাকসিন আবিষ্কারের প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন । ইতােমধ্যে কিছু গবেষণা বিশ্ববাসীকে আশার আলো দেখাচ্ছে অস্টোলিয়া। অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে বড়ো ফার্মাসিটিলকল কোম্পানি ফাইজার ঘোষণা দিয়েছে তাদের তৈরি ভ্যাকসিন ৯০% এর অধিক কার্যকারী। কোম্পানিটি চিন্তা ভাবনা শুরু করেছে কিভাবে তাদের তৈরি ভ্যাকসিন সারা বিশ্বে বিস্তার করা যাবে। কিন্তু বর্তমান বাস্তবতায় বিশ্বের ৭০০ কোটি জনগণের কাছে এটি দ্রুত পোঁছানো অসম্ভব । এক্ষেত্রে বিশ্বের বিজ্ঞানীগান চিন্তা ভাবনা করছেন কিভাবে অল্প সংখ্যক ভ্যাকসিন দিয়ে মরণ ব্যাধি করোনা ভাইরাসকে প্রতিরোধ করা যাবে। অতিসম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার এক দল কম্পিউটার বিজ্ঞানী ভ্যাকসিন বিতরণের পদ্ধতির ওপর একটি গবেষনায়

দেখিয়েছে আমাদের সমাজে এক শ্রেণীর জনগণ আছে যারা অন্য অনেক মানুষের সংস্পর্শে আসে। এই ধরণের লোকদের সবার আগে ভ্যাকসিন দিয়ে তাদের মধ্যে ভাইরাস প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে পারলে সীমিতো সংখ্যক ভ্যাকসিন দিয়ে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে। করোনা ভাইরাস এর ভ্যাকসিন আসার সন্ধিক্ষণে এই গবেষণার ফলাফল অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন গণমাধমে আলোচনা ও বিতর্কের সৃষ্টি করে। এই গবেষণার ফল বাংলাদেশ সরকারকেও পথ দেখতে পারে। কিভাবে আমরা অতি দ্রুত অল্প সংখ্যা ভ্যাকসিন আমদানি করে নির্দিষ্ট কিছু মানুষকে ভ্যাকসিন দিয়ে করোনা ভাইরাস বিস্তারের লাগাম টেনে ধরতে পারি। এই গবেষণা দলের প্রধান গবেষক বাংলাদেশের বিজ্ঞানী, বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ার ম্যাকুয়ারি ইউনিভার্সিটির অনারারি পোস্টডক্টরাল ফেলো ড. শাহজামাল এ প্রতিবেদকে বলেন, আমাদের গবেষণায় আমরা দেখেছি যেসব মানুষ বাস স্টেশনে, ট্রেন স্টেশনে, রেস্টুরেন্টে এবং শপিং মলে কাজ করে তারা দ্রুত ভাইরাস ছড়ায়। যেহেতু বাংলাদেশের পক্ষে অতি দ্রুত সবাইকে ভ্যাকসিন সরবরাহ করা সম্ভব হবেনা। সুতরাং আমরা স্বাস্থ্য কর্মীদের পরেই এই শ্রেণীকে ভ্যাকসিন প্রদানের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দিতে হবে।

তিনি আরও বলেন গবেষণায় আরো দেখা যায় যে, সব এলাকায় মানুষের বসবাসের ঘনত্ব বেশি সেখানে ভাইরাস দ্রুত ছড়ায়। সে ক্ষেত্রে সিটি এরিয়া কে অগ্রাধিকার দিতে হবে। এখন দেখা যাক, করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ অব্যবস্থাপনা ও ব্যার্থতা সরকারকে সঠিক ভাবে ভ্যাকসিন বিতরণের শিক্ষা দিতে পারে কিনা।

আমাদের গবেষণা দেখায় যে কার্যকর একজন সুপার্প্রেডারের সাথে যোগাযোগ ছিল সে বিষয়ে নয় তবে তারা কোথায় গিয়েছিল তা টিকা দেওয়ার কেন্দ্রবিন্দু হওয়া উচিত," ম্যানস বলেছেন। অতীত গবেষণা গোপনীয়তার কারণে দেখিয়েছে, লোকেরা প্রায়ই তাদের সমস্ত পরিচিতি প্রকাশ করে না বা তারা যাদের সাথে দেখা করেছে তাদের সমস্ত লোককে ভুলে যায় - তাই এটি বিশ্বাসযোগ্য নয়।
ম্যানস উল্লেখ করেছেন যে এখন অবধি বর্তমান তাত্ত্বিক টিকাদান কৌশলগুলি পরোক্ষ সংক্রমণ ক্যাপচার করার জন্য ডিজাইন করা হয়নি এবং ব্যক্তিদের অসংখ্য অপ্রত্যক্ষ লিঙ্কগুলি সম্ভাব্যরূপে মিস করতে পারে যেমন লোকেরা তাদের পরে উঠে যায়। লোকেশনে ফোকাস করার অর্থ আপনি সহজেই পরোক্ষ পাশাপাশি সরাসরি পরিচিতিগুলি আবিষ্কার করতে পারেন।

প্রাথমিকভাবে, যখন গবেষকরা তাদের বিশ্লেষণ শুরু করেছিলেন, তখন তারা ভবিষ্যদ্বাণীপূর্ণ মডেলগুলি তৈরি করছিলেন যাতে ইনফ্লুয়েঞ্জা বা সম্ভাব্য পরোক্ষ সংক্রমণ সহ কোনও রোগের বিরুদ্ধে টিকা দেওয়া উচিত। কোভিড -১৯ শুরু হওয়ার সাথে সাথে তারা বিশ্ব মহামারী সম্পর্কিত ভ্যাকসিনগুলিতে মনোনিবেশ করার জন্য তাদের সুযোগটি প্রসারিত করেছিল।

দলটি প্রতিরোধমূলক এবং প্রতিক্রিয়াশীল পদ্ধতির কৌশলগুলিও মূল্যায়ন করেছে। কভিড -১৯ এর ক্ষেত্রে, মহামারীটি ইতিমধ্যে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে, অবশ্যই এটি প্রতিরোধ করতে খুব দেরি হয়েছে। যদি এই ভ্যাকসিন কৌশলটি একবার কোভিড -১৯ ভ্যাকসিন প্রস্তুত হয়ে যায় তবে মানস জনসাধারণের অবস্থান যেমন রেস্তোঁরা, ক্যাফে, ক্লাব, দোকান, খেলাধুলা এবং বিনোদন সুবিধার জন্য যথাযথ তালিকা তৈরির জন্য জোর দিয়ে থাকে।
পৃষ্ঠপোষকরা যাতে তাদের সনাক্ত এবং টিকা দেওয়া যায় তবে বিশ্বে দ্রুত করোনা প্রতিরোধ হবে ইনসাল্লাহ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন