ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার বিসকা ইউনিয়নের ভাটিয়াপাড়া গ্রামের আলহাজ্ব আকবর আলীর ছেলে মোঃ মাইজুল ইসলামের পুকুরে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে দুর্বৃত্তরা গ্যাস ট্যাবলেট দিয়ে প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকার মাছ মেরে ফেলেছে।
পুকুর মালিক মাইজুল ইসলামের সাথে কথা বলে জানা যায় ৫৫ শতাংশ জমিতে পুকুর খনন করে এবং পাশে আরো ২ টি পুকুর করে কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন রকমের মাছ চাষ করে আসছে। কিন্তু বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে তার এই ৫৫ শতাংশ পুকুরে পূর্বশত্রুতার জেরে দুর্বৃত্তরা গ্যাস ট্যাবলেট প্রয়োগ করে পুকুরে থাকা পাবদা ও বিভিন্ন প্রকার বাংলা মাছ মেরে ফেলেছে। রাত সাড়ে ১২ টার সময় তিনি পুকুর পাড় থেকে উঠে ঘরে গিয়ে শুয়ে পড়েন। শুক্রবার ভোর বেলায় তার পরিবারের লোকজন পুকুর পাড়ে গিয়ে দেখে সব মাছ পানির উপরে ভেসে ছটপট করে মারা যাচ্ছে। তা দেখতে পেয়ে চিৎকার দিলে মাইজুল সহ বাড়ির লোকজন এসে দেখে মাছ মরে পানির উপরে ভাসছে।এমতাবস্থায় এলাকার লোকজন ছুটে এসে জ্বাল দিয়ে পুকুর থেকে কিছু মাছ উপরে তুলে বাজারে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। পুকুর মালিক মাইজুল ইসলাম তাৎক্ষনিক বিসকা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুছ ছালাম মন্ডল সহ স্থানীয় লোকজনদেরকে বিষয়টি অবগত করেন।
মাইজুল ইসলামকে সান্তনা দিতে প্রতিবেশী লোকজন আত্মীয় পরিজনসহ এলাকার লোকজন ছুটে আসে এবং সবাই এমন ন্যাক্কার জনক ঘটনার নিন্দা জানান।মাইজুল ইসলাম এর পাশাপাশি কৃষি কাজ ও ভাটিয়াপাড়া চান্দের বাজারে কাপড়ের ব্যবসা করেন। তিনি বলেন তার এই ৫৫ শতাংশ পুকুরে ৬০ পিস হিসেবে কেজি পাবদা মাছ ছিল প্রায় ৩৫ মনের মত এবং দেশীয় রুই, কাতলা, মৃগেল, কারফিউ, ঘাস কার্প, লাট কার্প সহ বড় বড় বাংলা মাছ ছিল প্রায় ২০ মণের মত।সব মিলিয়ে তার প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকার মাছ দুর্বৃত্তরা পুকুরে গ্যাস ট্যাবলেট প্রয়োগ করে নিধন করেছে।তবে কে বা কারা এমন জঘন্য কাজ করেছে তা এখনও প্রকাশ করছে না। তবে প্রতিপক্ষ শত্রুরা ছাড়া এমন কাজ আর কেউ করছেনা বলে মনের কথা ব্যক্ত করেন তিনি।এবিষয়ে এখনও কোন অভিযোগ করা হয়নি বলে জানা গেছে।তবে তিনি এ বিষয়ে আইনের আশ্রয় নিবেন বলেও জানান।
তারাকান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল খায়ের বলেন, পুকুরে বিষ দিয়ে মাছ নিধনের কোন অভিযোগ এখনো কেউ করেনি। তবে, যদি কেউ অভিযোগ করে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন