শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

দ্রুততম কিশোর আকাশ কিশোরী সুমাইয়া

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৭ নভেম্বর, ২০২০, ৮:০৬ পিএম

জাতীয় জুনিয়র অ্যাথলেটিক্সে দ্রুততম কিশোরের খেতাব জিতে নিয়েছেন যশোরের আকরাম হোসেন আকাশ এবং দ্রুততম কিশোরী হয়েছেন মানিকগঞ্জের সুমাইয়া দেওয়ান। প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের ঝুঁকির মধ্যেই শুক্রবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শুরু হয়েছে দু’দিন ব্যাপী জাতীয় জুনিয়র অ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতার ৩৬তম আসরের খেলা। প্রতিযোগিতার প্রথমদিনই আকর্ষণীয় ইভেন্ট কিশোর-কিশোরীদের ১০০ মিটার স্প্রিন্ট অনুষ্ঠিত হয়। এই ইভেন্টের কিশোর বিভাগে আকাশ হ্যান্ড টাইমিংয়ে ১০.৯০ সেকেন্ডে দৌঁড় শেষ করে সেরা হন। অন্যদিকে কিশোরী বিভাগে ১২.৮০ সেকেন্ড সময় নিয়ে দৌঁড়ে দ্রুততম কিশোরী হন মানিকগঞ্জের মেয়ে বিকেএসপির ছাত্রী সুমাইয়া দেওয়ান। এর আগে প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন রেলপথ মন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন, এমপি। এ সময় অ্যাডভোকেট সাইফুজ্জামান শিখর এমপি, বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) উপ-মহাসচিব আশিকুর রহমান মিকু ও আসাদুজ্জামান কোহিনূর এবং অ্যাথলেটিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুর রকিব মন্টু উপস্থিত ছিলেন।

 

সাত থেকে আট বছর ধরেই অ্যাথলেটিকসের সঙ্গে যুক্ত যশোরের সন্তান আকরাম হোসেন আকাশ। সবেমাত্র এসএসসি পাশ করেছে। তার মূল ইভেন্ট লংজাম্প। কিন্তু সেখানেও দৌড়ের গতি দ্রুত হওয়ায় ১০০ মিটার স্প্রিন্টেও অংশ নেন। এবারের আসরে লংজাম্পের পাশাপাশি ১০০ মিটার স্প্রিন্টেও স্বর্ণপদক জিতে নিয়েছেন যশোরের এই অ্যাথলেট। সকালে লংজাম্পে ৭.০৮ মিটার দূরত্বে লাফিয়ে সোনা জেতেন। বিকেলে আসে ১০০ মিটার স্প্রিন্টে আরেকটি স্বর্ণপদক। আকাশের কথায়, ‘করোনাভাইরাসের কারনে খুব বেশি সময় অনুশীলন করতে পারিনি। লকডাউন ছিল। তাই সর্বশেষ তিনমাস কোচ নিবাস হালদারের তত্বাবধানে অনুশীলন করেছি।’ ২০১৮ সালে লংজাম্পে ৭.১০ মিটার দূরত্বে নতুন রেকর্ড করেন আকাশ। ভবিষ্যতের লক্ষ্য জানিয়ে দিলেন তিনি, ‘আগামীতে সিনিয়র মিটে খেলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি।’ তিনি যোগ করেন, ‘এখানে যতদিন সামর্থ্য রযেছে এবং যতদিন নিজের ফিটনেস ধরে রাখতে পারবো; ততদিন পারফরম্যান্স ধরে রাখতে চেষ্টা করে যাবো। ভয়কে জয় করে খেলতে হবে।’ খেলতে আসার আগে করোনার জন্য মেডিকেল পরীক্ষার সব কিছুই করা হয়েছে। ডাক্তার তাপমাত্রা পরীক্ষা করেছেন। মাস্ক ব্যবহারের কথাও বলা হয়েছিল-জানালেন আকাশ।

 

ইভেন্টের কিশোরী বিভাগে ১২.৮০ সেকে-ে সেরা হওয়া সুমাইয়া দেওয়ান মানিকগঞ্জের সন্তান। এবার বিকেএসপি অংশ না নেয়ায় নিজের জেলার হয়ে খেলতে এসেছেন। জুনিয়র বিভাগে টানা তিনবার সেরার মুকুট উঠলো তার মাথায়। যদিও আগের দু’বার বালিকা বিভাগে ছিলেন। এবার কিশোরী বিভাগে। সুমাইয়ার কথায়, ‘এবারের আসরে চালেঞ্জ ছিল। যদিও করোনার জন্য অনুশীলন ভাল ছিল না। গ্রামে ঘাসের মাঠে অনুশীলন করেছি। তাছাড়া ছেড়া ট্র্যাকে একটু ঝুঁকিপূর্ণই মনে হয়েছে।’ তিনি যোগ করেন, ‘বিকেএসপি থেকে জেলার হয়ে খেলার অনুমোদন দিয়েছে বলেই খেলতে পেরেছি। ভবিষ্যতে জাতীয় সিনিয়র বিভাগে খেলার পাশাপাশি সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমসে খেলার আশা রয়েছে। বাকিটা নিজের পারফরম্যান্সের উপর নির্ভর করছে।’

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন