ইরানি শীর্ষ পরমানুবিজ্ঞানী মোহসিন ফখরিযাদে হত্যাকাণ্ডে যুক্তরাষ্ট্র-ইরান সম্পর্কে প্রভাব ফেলতে পারে। ইরানের শীর্ষ এই পরমাণু বিজ্ঞানী রাজধানী তেহরানের কাছে আততায়ীর হামলায় মারা গেছেন। আততায়ীরা প্রথমে তার গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছোঁড়ে এবং তার পর তাকে গুলি করে। ইরানের এই শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানীকে হত্যা তেহরান ও ওয়াশিংটনের মধ্যকার কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করার প্রক্রিয়াকে আরও অনেক জটিল করে দেবে। -আল জাজিরা
পরমাণু বিজ্ঞানী মোহসিন ফখরিযাদের হত্যার কয়েক ঘণ্টা পর এমন মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। মোহসিন ফখরিযাদের হত্যাকারী কে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে ইরানের অভিযোগের তীরটি ইসরায়েলের দিকেই তাক করা। ইরানের ওপর বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের চাপ প্রয়োগের জোর সমর্থক ইসরায়েল। ইরানের সঙ্গে বারাক ওবামা প্রশাসনের করা পরমাণু চুক্তি থেকে বেরিয়ে দেশটির ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিলেন ট্রাম্প। চলতি নভেম্বরেও তিনি ইরানের ওপর হামলা চালানোর কথা ভেবেছিলেন বলেও শোনা গেছে। এদিকে বিজ্ঞানী হত্যার পেছনে ইসরায়েলের হাত থাকতে পারে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসির থিংকট্যাঙ্ক কুইন্সি ইন্সটিটিউটের নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট ত্রিতা পারসি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র-ইরানের মধ্যকার আলোচনা শুরুর আগেই ইরান ইসরায়েল কিংবা যুক্তরাষ্ট্রে বিপক্ষে এমন ঘটনা ঘটাতে পারে।
আগামী ২০ জানুয়ারি ট্রাম্পের কাছ থেকে ক্ষমতা গ্রহণ করবেন নতুন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি ২০১৫ সালে ইরানের পরমাণু সক্ষমতা অর্জনের পরিধি সীমিতকরণ সংক্রান্ত চুক্তিতে ফেরার অঙ্গীকার করেছিলেন। কিন্তু এই পরমানুবিজ্ঞানী হত্যার ঘটনা তাতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কেননা, ফখরিযাদে "ইরানে বোমার জনক" হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ইরান এরই মধ্যে তাদের শীর্ষ বিজ্ঞানীকে হত্যার প্রতিশোধ নেবে বলে ঘোষণা দিয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন