শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

আসামিদের রায় কার্যকরের দাবি

গাইবান্ধার এমপি লিটন হত্যা

গাইবান্ধা জেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ২৯ নভেম্বর, ২০২০, ১২:০০ এএম

বহুল আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যা মামলার রায়ের এক বছর পার হল গতকাল। এই উপলক্ষে পরিবারের পক্ষ থেকে মরহুম মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন এর মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। ২০১৯ সালের সাত আসামির ফাঁসির রায় দ্রুত কার্যকর করার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি জানানো হয়। উল্লেখ্য, এই হত্যাকান্ডের পর দুটি মামলা দায়ের হয়। একটি অস্ত্র মামলা ও অপরটি হত্যা মামলা। অস্ত্র মামলায় একমাত্র আসামি একই আসনের জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি ও অবসরপ্রাপ্ত কর্ণেল আবদুল কাদের খানকে ২০১৯ সালের ১২ জুন যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। দ্বিতীয় হত্যা মামলাটির রায় ২০১৯ সালের ২৮ নভেম্বর গাইবান্ধা জেলা ও দায়রা জজ দিলীপ কুমার ভৌমিক ৭ জনকে ফাঁসির রায় প্রদান করেন। ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সুন্দরগঞ্জের বামনডাঙ্গার মাস্টারপাড়ার নিজ বাড়িতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন।
এ ঘটনায় অজ্ঞাত পাঁচ-ছয় জনকে আসামি করে সুন্দরগঞ্জ থানায় মামলা করে লিটনের বড় বোন ফাহমিদা কাকলী বুলবুল। তদন্ত শেষে এই হত্যা মামলায় কাদের খানসহ আট জনের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের ৩০ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। ২০১৯ সালের ১৯ নভম্বের আদালতে সাক্ষী ও হত্যার মূল পরকিল্পনাকারী সাবেক এমপি কর্ণেল (অব.) আবদুল কাদের খাঁনসহ অভিযুক্ত ৮ আসামরি মধ্যে ৬ জনের উপস্থিতিতে যুক্তির্তক শেষ হয়।
আলোচিত এ মামলার ২০১৮ সালের ৮ এপ্রিল প্রথম দফায় আদালতে সাক্ষীদের সাক্ষগ্রহণ শুরু হয়। বাদি নিহতের বোন ফাহমিদা কাকুলী বুলবুল, নিহতের স্ত্রী খুরশিদ জাহান স্মৃতি ও তদন্ত র্কমর্কতাসহ ৫৯ জন সাক্ষীর সাক্ষগ্রহণ করে আদালত। গত ৩১ অক্টোবর মামলার সাক্ষী গ্রহণ র্কাযক্রম শেষ হয়। ২০১৮ সালের ৭ ফেব্রুয়ারী অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করনে আদালতে বিচার র্কাযক্রম শুরু হয়। পরে র্পযায়ক্রমে কারাগারে থাকা আসামিদের আত্মপক্ষ সর্মথন শুনানী হয় আদালতে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন