মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

ইয়েমেন যুদ্ধ নিয়ে উদ্বিগ্ন পেন্টাগন

প্রকাশের সময় : ২১ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

সউদী জোটের বিমান হামলায় বেসামরিক হতাহত নিয়ে সমালোচনার মুখে জোটে সহযোগী কর্মীদের সংখ্যা কমাচ্ছে ওয়াশিংটন
ইনকিলাব ডেস্ক : ইয়েমেনে সউদী-নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনীর বিমান হামলা পরিকল্পনার সমন্বয়ের কাজে নিয়োজিত সহযোগিতাকারী কর্মীদের সংখ্যা হঠাৎ হ্রাস করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী। বাহরাইন থেকে যুক্তরাষ্ট্র নৌবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট আয়ান ম্যাককোনাগহি জানিয়েছেন, এখন সম্মিলিত পরিকল্পনা সেলে (জেসিপিসি) নিয়োজিত যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক কর্মীর সংখ্যা পাঁচ জনেরও কম। ইয়েমেনে বিমান হামলারত আরব জোট বাহিনীর জঙ্গি বিমানগুলোকে মধ্যাকাশে জ্বালানি সরবরাহ এবং গোয়েন্দা তথ্য-বিনিময় সমন্বয় করার লক্ষ্যে গত বছর এই ‘যৌথ সম্মিলিত পরিকল্পনা সেল’ গঠন করা হয়েছিল। এই সেলের অংশ হিসেবে রিয়াদ ও অন্যান্য এলাকায় যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ প্রায় ৪৫ জন কর্মী একসময় ২৪ ঘণ্টার জন্য নিয়োজিত থাকলেও এখন তাদের সংখ্যা কমানো হয়েছে বলে ম্যাককোনাগহি জানিয়েছেন। চলতি বছরের প্রথমদিকে ইয়েমেনে আরব জোট বাহিনীর বিমান হামলার মাত্রা কমে আসার পর গত জুন মাস কিছু কর্মী প্রত্যাহার করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। আরব জোট বাহিনীর বিমান হামলায় বেসামরিক হতাহতের সংখ্যা ব্যাপক হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে নজরদারি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেসিপিসিতে নিজেদের সার্বক্ষণিক সম্পৃক্ততা কমাতে শুরু করে ওয়াশিংটন।
রয়টার্স এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ করার পর পেন্টাগন এক বিবৃতি দিয়ে জানায়, জেসিপিসির কার্যক্রম অনেকটাই হ্রাস করা হয়েছে এবং বর্তমানে চলতি গ্রীষ্মে ইয়েমেনে সংঘর্ষের মাত্রা ফের বৃদ্ধি পাওয়া সত্ত্বে¡ও এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা সীমিত। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অ্যাডাম স্টাম্প এক বিবৃতিতে বলেছেন, লড়াইয়ের মাত্রা যখন বেড়ে গিয়েছিল তখন সউদী আরবের প্রতি আমাদের সহযোগিতার মাত্রাও বাড়ানো হয়েছিল, এখন সহযোগিতার মাত্রা আবার হ্রাস করা হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইয়েমেনে ১৬ মাস ধরে চলা গৃহযুদ্ধে নিহত ৬,৫০০ জনের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি বেসামরিক হওয়ার কারণে বিশ্বব্যাপী বাড়তে থাকা সমালোচনার কারণে যুক্তরাষ্ট্র তার কর্মীর সংখ্যা হ্রাস করে। পেন্টাগন বলেছে, এই লড়াই নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন। এই গৃহযুদ্ধ ইয়েমেনকে প্রায় দুর্ভিক্ষের মুখে ঠেলে দিয়েছে এবং দেশটির অবকাঠামো ও অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এক হাজার চারশ’ কোটি ডলার অতিক্রম করেছে। স্টাম্প বলেন, সউদীদের আঞ্চলিক অখ-তা ধরে রাখার বিষয়টিতে সহযোগিতা দিচ্ছি আমরা ঠিকই, তবে এর মানে এই নয় যে, ইয়েমেনের লড়াই ও এর মাশুল নিয়ে আমরা উদ্বেগ প্রকাশ করতে পারব না। তিনি আরো বলেন, সউদী-নেতৃত্বাধীন জোটের সঙ্গে আমাদের আলোচনায় আমরা বেসামরিক হতাহতের সংখ্যা ন্যূনতম রাখার বিষয়ে চাপ দিয়েছি।
সউদী-নেতৃত্বাধীন আরব জোট বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ আল আসেরি তাদের বাহিনীতে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সদস্যদের অবস্থান সম্পর্কে পরিষ্কার কিছু জানাতে না চাইলেও যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপকে তেমন আমলে নেননি। রয়টার্সকে তিনি বলেছন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সউদীর সম্পর্ক কৌশলগত। যদি সত্যি হয় তাহলে এই পদক্ষেপ হবে সামরিক কৌশলগত। যুক্তরাষ্ট্র তাদের সম্পদ সরিয়ে নিতে পারে, তবে এটি দুদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না। রয়টার্স।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন