বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

সার্বিয়া-মন্টিনিগ্রো উত্তেজনা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩০ নভেম্বর, ২০২০, ১২:০১ এএম

শতাব্দী পুরনো এক ঐতিহাসিক বিবাদকে কেন্দ্র করে মন্টিনিগ্রো ও সার্বিয়া একে অপরের রাষ্ট্রদ‚তকে বহিষ্কার করেছে। তাদেরকে অবিলম্বে দেশ ত্যাগ করতে বলা হয়েছে। মন্টিনিগ্রোতে সার্বপন্থী নতুন সরকারের শপথ নেওয়ার আগে আগে এ ঘটনা ঘটলো। একে কেন্দ্র করে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। মন্টিনিগ্রো ও সার্বিয়া আগে যৌথ দেশ হিসেবে থাকলেও ২০০৬ সালে এক গণভোটের মধ্য দিয়ে আলাদা হয়ে যায় মন্টিনিগ্রো। দেশটির জনগণের একটি অংশ চায় সার্বিয়া ও রাশিয়ার অর্থোডক্স খ্রিস্টানদের সঙ্গে মিত্রতা। আর আরেকটি অংশ চায় পশ্চিমা মিত্রদের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে। টানা ৩০ বছর ধরে মন্টিনিগ্রোকে নেতৃত্ব েিদ্চ্ছন প্রেসিডেন্ট মিলো দুকানোভিক। তবে গত আগস্টে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তার পরাজয় হয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যেই রাশিয়া ও সার্বিয়াপন্থী নতুন জোট সরকারের শপথ নেওয়ার কথা। আর তার আগে শনিবার মন্টিনিগ্রোতে নিয়োজিত সার্বিয়ার দূত ভ্লাদিমির বোজোভিককে বহিষ্কার করা হয়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে, তিনি ‘মন্টিনিগ্রোর অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ’ করেছেন। দেশত্যাগের জন্য ৭২ ঘণ্টার সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে তাকে। এরপর নিজেদের দেশে নিয়োজিত মন্টিনিগ্রোর রাষ্ট্রদূত টারজান মিলোসেভিকের বিরুদ্ধে পাল্টা পদক্ষেপ নেয় সার্বিয়া। তাকেও বহিষ্কার করে দেশ ত্যাগ করতে বলা হয়। মন্টিনিগ্রোর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, সার্বিয়ার রাষ্ট্রদূত বোজোভিক ১৯১৮ সালে সার্বিয়ার আধিপত্যাধীন রাজ্যে মন্টিনিগ্রোর যুক্ত হওয়াকে দেশটির ‘স্বাধীনতা’ ও ‘জনগণের মুক্ত হওয়ার আকাক্সক্ষা’ বলে উল্লেখ করেছেন। এর মধ্য দিয়ে বোজোভিক সরাসরি মন্টিনিগ্রোকে অসম্মান করেছেন বলে অভিযোগ করা হয়। কারণ, ২০১৮ সালে দেশটির পার্লামেন্ট শতাব্দী পুরনো এ সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছিল। বলা হয়েছিল, এর মধ্য দিয়ে দেশের সার্বভৌমত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে। আল-জাজিরা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন