মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

ভ্যানেটিব্যাগে এত হিরা-জহরত!

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩০ নভেম্বর, ২০২০, ১২:০০ এএম

ক্লাচ হোক কিংবা ভ্যানিটি ব্যাগ, টোটে কিংবা ঝোলাব্যাগ রকমারি ব্যাগ অনেকেরই সংগ্রহে রাখার শখ রয়েছে। আর তাদের জন্যই সুখবর দিয়েছে ইতালির এক নামী ফ্যাশন সংস্থা। শুধু সুখবর বললে পুরোটা বলা হয় না।
ব্যাগের প্রতি অদম্য আকর্ষণকারীদের জন্য হিরা-জহরতের মোড়া হাতব্যাগ তৈরি করে ফেলল ইটালীয় সংস্থা (ইড়ধৎরহর গরষধহবংর) নিজেদের ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে ব্যাগের খুঁটিনাটি জানিয়েছে তারা। সমুদ্রনীল রঙা ব্যাগটি দেখলে সত্যিই তাক লেগে যাবে।

জানা গেছে, অ্যালিগেটরের চামড়া ব্যবহার করা হয়েছে এই ব্যাগ তৈরিতে। আবার যাতে অতি উজ্জ্বল দেখায় সে জন্য উপযোগী করে তৈরি হয়েছে এই ব্যাগটি।
এরপর নকশার জন্য তাতে কী কী ব্যবহার করা হয়েছে জানেন? হিরা, সোনা তো বটেই, নীলকান্তমণি! হ্যাঁ, ঠিকই পড়লেন। হোয়াইট গোল্ডের মোট ১০টি প্রজাপতি রয়েছে ব্যাগে। তার মধ্যে ৩টি প্রজাপতিকে সাজানো হয়েছে নীলকান্তমনিতে। আর ৪টি সেজে উঠেছে হিরা দিয়ে। বাকি তিনটি প্রজাপতির নকশায় ব্যবহৃত হয়েছে আরেক মূল্যবান রতœ। গোটা ব্যাগটিতে যেন সমুদ্রের সৌন্দর্য।

না, শুধু এখানে শেষ হয়নি ব্যাগের বিশেষত্ব বর্ণনা। যিনি এই বহুমূল্য ব্যাগের মালিক হবেন, তার নাম খোদাই করা থাকবে ব্যাগে। শুধু কেনার পর ডিজাইনারকে নামের বানান এবং কীভাবে নামটি লেখাতে চান, তা বলে দিলেই হবে। বাকি কাজ সংস্থার।

সংস্থার সহ-প্রতিষ্ঠাতা ক্যারোলিনার কথা, তার বাবার স্মৃতিতে এই ব্যাগটি তৈরি করেছেন। এ যে সৌন্দর্য কিংবা ঐশ্বর্যের ঝলকানি, তা নয়। ব্যাগের প্রতিটি উপকরণের পৃথক গুরুত্ব আছে। যেমন নীলকান্তমণি সমুদ্রে গভীরতার চিহ্ন, হিরা স্বচ্ছতার, সোনা পবিত্রতার প্রতীক। ফলে হাতব্যাগটি যিনি ব্যবহার করবেন, তার নিজস্ব ব্যক্তিত্বও প্রতিভাত হবে এর মাধ্যমে, এমনই মনে করেন ক্যারোলিনা।
কী ভাবছেন? সংগ্রহে রাখবেন নাকি দারুণ এই হাতব্যাগটি? তার আগে দামটা একবার জেনে নিন। হাতব্যাগটির দাম ৫.৩ মিলিয়ন পাউন্ড। বাংলাদেশি মুদ্রায় অঙ্কটা হচ্ছে ৫৯ কোটি ৯৭ লাখ ৫৭ হাজার ৫৫৩ টাকা! সূত্র : ডেইলি মেইল, ডেইলি পোস্ট।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন