শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ডিএনএ টেস্টে মিলল আসামিদের সংশ্লিষ্টতা

এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গণধর্ষণ

সিলেট ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ১ ডিসেম্বর, ২০২০, ১২:০০ এএম

সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের সঙ্গে ৪ জনের জড়িত থাকার প্রমাণ উঠে এসেছে ডিএনএ প্রতিবেদনে। তবে বাকী আসামিরা সহায়তা করেছেন ধর্ষণে। চাঞ্চল্যকর এই মামলার আসামিদের ডিএনএ টেস্টের প্রতিবেদনে এসব তথ্য মিলেছে। পুলিশ এখন মামলার অভিযোগপত্র আদালতে দাখিলের জন্য প্রস্তুতি চূড়ান্ত করতে যাচ্ছে। জড়িত চারজন হচ্ছেন, সাইফুর রহমান, তারেকুল ইসলাম ওরফে তারেক, শাহ মাহবুবুর রহমান ওরফে রনি ও অর্জুন লস্কর।
এ বিষয়ে শাহপরান থানার ওসি (তদন্ত) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য বলেন, তদন্তের সব কাজ শেষ। দ্রুততম সময়ের মধ্যেই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হবে। এছাড়া মহানগর পুলিশের অতিরিক্তি উপ-কমিশনার (মিডিয়া) বি এম আশরাফ উল্লাহ বলেন, আদালতে আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়া ছিল মামলার তদন্তের মূল অগ্রগতি। অভিযোগপত্র দাখিলে ডিএনএ টেস্টের অপেক্ষা ছিল। এখন ডিএনএ টেস্টের প্রতিবেদন হাতে। অভিযোগপত্র দাখিল এখন সময়ের ব্যাপার।
গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গণধর্ষণের শিকার হন এক তরুণী গৃহবধূ (২১)। ছাত্রাবাসের মধ্যে স্বামীকে আটকে রেখে প্রাইভেট কারের ভেতর ওই গৃহবধূকে পালাক্রমে ধর্ষণ করা হয়। ওই রাতেই ধর্ষণের শিকার গৃহবধূর স্বামী বাদি হয়ে এসএমপির শাহপরান থানায় একটি মামলা করেন। ধর্ষণের পর ওই নির্যাতিতা গৃহবধূ সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে তিন দিন চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে যান তিনি।
এদিকে, মামলা দায়েরের পর বিভাগের বিভিন্ন স্থান থেকে এজাহারভুক্ত আসামি সাইফুর রহমান, তারেকুল ইসলাম ওরফে তারেক, শাহ মাহবুবুর রহমান ওরফে রনি, অর্জুন লস্কর, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান ওরফে মাসুম এবং সন্দেহভাজন আসামি মিসবাউর রহমান ওরফে রাজন ও আইনুদ্দিন নামের আরও দুই যুবককে গ্রেফতার করে র‌্যাব-পুলিশ। গ্রেফতারকৃত সকলেই এমসি কলেজ ছাত্রলীগের সাথে জড়িত। গ্রেফতারের পর ৮ আসামিকে পর্যায়ক্রমে পাঁচ দিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।
রিমান্ড শেষে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন আসামিরা। জবানবন্দিতে প্রধান আসামি সাইফুর, তারেক, শাহ মাহবুবুর ও অর্জুন লস্কর ধর্ষণের কথা স্বীকার করেন। রবিউল ও মাহফুজুর ধর্ষণে সহায়তার কথা স্বীকার করেন। সন্দেহভাজন দুই আসামিও জবানবন্দি দেন আদালতে। এর আগে ৬ আসামির ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে টেস্টের জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (2)
মোঃ দুলাল মিয়া ১ ডিসেম্বর, ২০২০, ১:৪২ এএম says : 0
আমি মনে করি এই দরনের আসামীদের জাবজীবন কারাদণ্ড না দিয়ে। আরব দেশের মতো এদের পুরুষঅংগে ইনজেকশন দিয়ে দিন। আরব দেশে জেল তে আছে আবার ইনজেকশন দিয়ে দেয়। তখন এই দরনের কাজ আর হবে না। হত্যার বদলে হত্যা করা হয়।
Total Reply(0)
Shafiqul Islam ১ ডিসেম্বর, ২০২০, ১০:১৯ এএম says : 0
ইনজেকশন দিয়ে যৌনাঙ্গ অকেজো করার পাশাপাশি দু’চোখ স্থায়ীভাবে অন্ধ করে দেওয়া হউক।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন