খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার ফুলতলা গ্রামে পুলিশ সদস্যের শিশুপুত্র জশ মন্ডলকে হত্যায় নিহতের কাকা অনুপ মন্ডলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নিহত শিশুর মাকে নেয়া হয়েছে পুলিশ হেফাজতে। জিজ্ঞাসাবাদে আজ মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে তাদের রিমান্ড আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা উজ্জল কুমার দত্ত। ‘পরকিয়া’র জের ধরে শিশু জশ মন্ডলকে (০৫) হত্যা করা হয়েছে বলে মামলার বাদী নিহতের পিতা এএসআই অমিত মন্ডল এজাহারে উল্লেখ করেছেন।
গত সোমবার (৩০ নভেম্বর) ভোরে হত্যাকান্ডের এঘটনা ঘটে। ঘটনার সাথে সাথেই নিহত শিশুটির কাকা অনুপ মন্ডল ও তার মা তনুশ্রীকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়।
সূত্রে জানা গেছে, বটিয়াঘাটার ফুলতলা গ্রামের অমিত মন্ডল পুলিশ বাহিনীতে ঢাকার বাড্ডা থানায় এএসআই পদে চাকুরি কর্তব্যরত। সাথে থাকেন স্ত্রী তনুশ্রী মন্ডল ও একমাত্র পুত্র সন্তান জশ (৫)। গত রবিবার (২৯ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে তনুশ্রী ও তার শিশুপুত্র জশ ফুলতলা গ্রামে রাসপুজায় বেড়াতে আসে। সোমবার (৩০ নভেম্বর) সকালে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে শিশু জশ মন্ডলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় শিশু জশের কাকা অনুপ মন্ডল পাশে বসে ছিল।
মামলার বাদী পুলিশ সদস্য অমিত কুমার মন্ডল জানিয়েছেন, গত রাতে তিনি বটিয়াঘাটা থানায় তার একমাত্র ভাই অনুপ মন্ডলের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতদের আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন। ২০১৫ সালে তার স্ত্রী তনুশ্রীর সাথে ভাই অনুপ মন্ডলের অবৈধ সম্পর্কের বিষয়টি জানাজানি হে ল তিনি স্ত্রীকে নিয়ে কর্মস্থলের পাশে বাড়া ভাড়া নিয়ে বসবাস করতে। সেই সম্পর্কের জেরধরে শিশু জশকে হত্যা করা হয়েছে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। এরআগেও হত্যার চেষ্টাও করেছিল বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এ দিকে, স্থানীয়দের মাঝে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠেছে। স্থানীয়রা বলছেন, ঠাকুরপো অনুপের সাথে বৌদি তনুশ্রীর পরকীয়ার বলি শিশু জশ।
বটিয়াঘাটা থানার ওসি তদন্ত উজ্জল কুমার দত্ত বলেন, আসামীকে আদালতের মাধ্যমে রিমান্ড আবেদন করা হবে। নিহত শিশুর মরদেহ এখনো খুমেক হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহে তার পিতার কাছে হস্তান্তর করা হবে।
বটিয়াঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ রবিউল কবির জানান, হত্যার রহস্য উদঘাটনে দ্রুত তদন্ত প্রক্রিয়া চলছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন