শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

বিজয় দিবসে খোলা জায়গায় অনুষ্ঠান নয়

ভার্চুয়াল সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২ ডিসেম্বর, ২০২০, ১২:০০ এএম

করোনার কারণে বিজয় দিবসে খোলা জায়গায় অনুষ্ঠান করা যাবে না। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ইনডোর (ঘরোয়া) অনুষ্ঠান করা যাবে। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করে সেই অনুষ্ঠান করতে হবে। অনুষ্ঠানগুলোতে কেউ নাশকতা করতে না পারে সেজন্য সারাদেশব্যাপী গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। গতকাল বিজয় দিবস-২০২০ যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে উদযাপন উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নেয়া জাতীয় কর্মসূচি সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নকল্পে যথাযথ নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় ভার্চুয়াল সভায় এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

তিনি বলেন, সারা বিশ্ব আজ কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত। তারপরও বাংলাদেশের মানুষ অনেক নির্দেশনা মানছেন না। আমরা শত চেষ্টা করেও মানাতে পারছি না। সেজন্য আজকের সভায় বক্তারা আশঙ্কা করছেন এই মহান বিজয় দিবসে আনন্দর জন্য মানুষ ঘরে থাকবে না। বেরিয়ে আসবেন। তখন আমরা তাদের কীভাবে নিরাপত্তা দেবো এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে কীভাবে চলবে সেটা নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। মহান বিজয় দিবসে সকল সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি ভবনে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী সঠিক মাপ ও রঙের জাতীয় পতাকা যথাযথভাবে উত্তোলন করতে হবে। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে ঢাকাসহ সারাদেশে জেলা ও উপজেলায় ৩১ বার তোপধ্বনির ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিভিন্ন স্থাপনায় আলোকসজ্জা করা যাবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে জাতীয় স্মৃতিসৌধ সাভারে যাওয়া-আসা ও পুষ্পার্ঘ অর্পণকালীন সময়ে যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হবে। বাংলাদেশে অবস্থিত বিদেশি রাষ্ট্রের কূটনৈতিক (যারা জাতীয় স্মৃতিসৌধে যাবেন) তাদের যথাযথ নিরাপত্তা দেয়া হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জাতীয় স্মৃতিসৌধ এলাকায় ও পর্যাপ্তসংখ্যক সিসি ক্যামেরা স্থাপনসহ নিñিদ্র নিরাপত্তা থাকবে। ঢাকা থেকে সাভার যাওয়ার রাস্তায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ রাস্তাঘাট পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকবে। সারাদেশের বিভিন্ন ধর্মীয় উপাসনালয়ে (মসজিদ, মন্দির, গির্জা ও প্যাগোডা) শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মাগফিরাত এবং জাতির সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত প্রার্থনা করা হবে। বিজয় দিবসে কারাগার হাসপাতাল বৃদ্ধাশ্রম ও এতিমখানায় উন্নত মানের খাবার পরিবেশন করা হবে। যেকোনো ধরনের নাশকতার চেষ্টা করা হলে তা কঠোরভাবে দমন করা হবে। সারাদেশব্যাপী গোয়েন্দা কার্যক্রম জোরদার ও সীমান্তে মাদকসহ অন্যান্য চোরাচালান বন্ধে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।

বিজয় দিবসের নিরাপত্তা নিয়ে অনুষ্ঠিত এই সভায় উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিন, পুলিশের আইজি ড. বেনজীর আহমেদ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন