পাকিস্তান ও চীন সোমবার দু’দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বাড়াতে সমঝোতা স্মারক সই করেছে। আঞ্চলিক নিরাপত্তা ইস্যুতে সোমবার পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে ওই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এতে চীনের পক্ষে স্বাক্ষর করেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওয়েই ফেঙ্গি এবং পাকিস্তানের পক্ষে স্বাক্ষর করেন পাকিস্তান সেনাপ্রধান কামার জাভেদ বাজওয়া ও সেনাবাহিনী চিফ অব জেনারেল স্টাফ নাদিম রেজা।
এর আগে চীনের জাতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল ওয়েই ফেঙ্গি জেনারেল সদর দফতরে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়ার সাথে সাক্ষাৎ করেন। বৈঠকে পারস্পরিক স্বার্থ, আঞ্চলিক নিরাপত্তা এবং উন্নত দ্বিপক্ষীয় প্রতিরক্ষা সহযোগিতার বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর (সিপিসি) প্রকল্পের জন্য আঞ্চলিক শান্তি ও সুরক্ষিত পরিবেশের ব্যবস্থা করার জন্য পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছেন এ বিশিষ্টজন।
আর্মি চিফ আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ফোরামে সমস্ত মূল ইস্যুতে পাকিস্তানের প্রতি চীনের সমর্থনের জন্য সম্মানিত ব্যক্তিকে ধন্যবাদ জানান।
সিওএএস বলেন যে, পাকিস্তানের সেনাবাহিনী চীনের সাথে সময়োপযোগী ও ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ককে অত্যন্ত মূল্য দেয়। সিওএএস বলেন, ‘আমরা ঐক্যবদ্ধ এবং ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জের পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের সম্পর্ক আলাদা হবে না’।
এর আগে, জিএইচকিউতে পৌঁছে চীনা জাতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়াদগার-ই-শুহদাতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একটি দল আগত গণ্যমান্য ব্যক্তিকে গার্ড অফ অনার প্রদান করে।
খবরে জানানো হয়েছে, সমঝোতা চুক্তির অধীনে দু’দেশের মধ্যে সামরিক সহযোগিতা আরো বৃদ্ধি হবে। অর্থনৈতিকভাবে পাকিস্তান চীনের মুখাপেক্ষী। পাশাপাশি সামরিকভাবেও চীনের সহযোগিতা পেয়ে থাকে দক্ষিণ এশিয়ার দেশটি। নতুন এই চুক্তির ফলে এই সহযোগিতা আরো বৃদ্ধি পাবে এমন ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া এটি গত তিন মাসের মধ্যে চীনা প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দ্বিতীয় পাকিস্তান সফর। তিনি প্রথমে নেপালে আসেন। সেখান থেকে তিনি পাকিস্তান সফরে যান। এছাড়া, উভয় পক্ষের মধ্যে নানা বিষয়ে আলোচনাও হয়েছে। আলোচনায় উঠে আসে চীন ও পাকিস্তানের মধ্যে নিরাপত্তা এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতার নানা দিক। চীনের সিপিইসি প্রকল্পকে রক্ষা করায় পাকিস্তানকে ধন্যবাদ দেন চীনা প্রতিরক্ষামন্ত্রী। সূত্র : ডন অনলাইন ও হিন্দুস্তান টাইমস।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন