শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

বর্ষার আগেই সব খাল দখলমুক্ত করা হবে : ডিএসসিসি মেয়র

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২ ডিসেম্বর, ২০২০, ১২:০০ এএম

আগামী বর্ষা মৌসুমের আগেই দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) আওতাধীন এলাকার খালগুলো দখলমুক্ত ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার ঘোষণা দিয়েছেন সিটি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। এ সময় তিনি নিজ অর্থায়নে প্রাথমিক এ কার্যক্রম বাস্তবায়নেরও ঘোষণা দেন।

গতকাল শ্যামপুরের বড়ইতলী এলাকায় শ্যামপুর খালের চলমান বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম পরিদর্শনের পর সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এ ঘোষণা দেন।
এ সময় জলাবদ্ধতা নিয়ে সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের জবাবে শেখ তাপস বলেন, আমরা ঢাকাবাসীকে জলাবদ্ধতা হতে মুক্তি দেয়ার জন্য স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি কার্যক্রম হাতে নিচ্ছি। স্বল্পমেয়াদের কার্যক্রমগুলো নিজ অর্থায়নেই আরম্ভ করে দিচ্ছি। মূলত প্রথম কাজটি হলো, যে খালগুলো দখল আছে সেগুলোর দখলমুক্ত করা। ক্যাডেস্ট্রাল সার্ভে (সিএস খতিয়ান) দেখে সীমানা নির্ধারণ করা হবে, খালগুলো দখলমুক্ত করা হবে এবং খালের মধ্যে যেসব বর্জ্য রয়েছে তা অপসারণ করা হবে। এর মাধ্যমে জলপ্রবাহ পুনরুদ্ধার করা হবে এবং জলপ্রবাহ পুনরুদ্ধার হলে ঢাকার যেসব এলাকায় জলাবদ্ধতা হয়ে থাকে সেসব জায়গায় আর জলাবদ্ধতা হবে না বলে আমরা আশাবাদী। এসব কার্যক্রমের মাধ্যমে আগামী দু’বছরের মধ্যে ঢাকাবাসীকে জলাবদ্ধতা থেকে অনেকাংশেই মুক্ত করতে পারব।
বক্স কালভার্ট সম্পর্কিত আরেক প্রশ্নের জবাবে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, বক্স কালভার্টগুলো বিশেষ করে পান্থপথ ও ধোলাইখালের বক্স কালভার্টগুলো দীর্ঘদিন ধরে সঠিকভাবে পরিষ্কার করা হয়নি। শিগগিরই সেগুলোর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ আরম্ভ করা হবে এবং পরবর্তীতে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার আওতায় কি করা যায়, বিচার-বিশ্লেষণের মাধ্যমে সেই কার্যক্রম হাতে নেয়া হবে।
খাল ও ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনায় ওয়াসার জনবল ডিএসসিসির কাছে হস্তান্তর প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, এ বিষয়ে সভায় আলাপ-আলোচনা হয়েছে। যতটুকু জনবল এবং যন্ত্রপাতি আমাদের প্রয়োজন হবে, সেগুলো বিচার-বিশ্লেষণ করেই নেব। গৎবাঁধা সকল জনবল নেব না, যেটা প্রয়োজন নেই সেটা নেব না। এ ব্যাপারে গঠিত কমিটি সকল বিষয় পর্যালোচনা করে এক মাসের মধ্যে সুনির্দিষ্ট রূপরেখা প্রণয়ন করবে। সেই রূপরেখার আলোকে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়্ হবে।
এর আগে আজ তিনি জিরানি খালের ত্রিমোহনী এলাকা পরিদর্শন করেন। এ সময় সিএস খতিয়ান অনুযায়ী খাল দখল করে নির্মাণ করা বাড়ি-ঘরগুলোর যে অংশ খালের মধ্যে পড়েছে, দ্রুত সেগুলোর সীমানা নির্ধারণ করে ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন।
জিরানি খাল পরিদর্শন শেষে শ্যামপুর খালের চলমান বর্জ্য অপসারণ ও সীমানা নির্ধারণ কার্যক্রম পরিদর্শনে যাওয়ার পথে নন্দী পাড়া অংশে জিরানি খালের প্রশস্থতা দেখে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস আক্ষেপের স্বরে বলেন, পানি আসার সুযোগ নাই! পানি আসবে কিভাবে? তিনি এ সময় সিএস খতিয়ান অনুযায়ী খালের মধ্যে গড়ে ওঠা সকল অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করে সেগুলো দ্রুত ভেঙ্গে ফেলতে এবং খালের মধ্যকার বর্জ্য-আবর্জনা পরিষ্কার ও গভীরতা বাড়িয়ে জলপ্রবাহের নির্দেশ দেন।
পরে ডিএসসিসি মেয়র শ্যামপুর খালের আরেক প্রান্ত, মতিঝিলের সিটি টাওয়ার, প্রধান বিচারপতির বাসভবনের সামনের রাস্তা ও ফুটপাত এবং হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সম্মুখস্থল ও ওসমান গনি রোড পরিদর্শন করে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।##

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Mahfuz Ahmed ২ ডিসেম্বর, ২০২০, ১:২৮ এএম says : 0
বাংলাদেশের সকল জেলার খাল বিল দখল মুক্ত করা হউক
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন