বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ভাস্কর্য ও মূর্তি এক নয়, এ নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি আছে

রিলিজিয়াস রিপোর্টার্স ফোরামের সাথে বৈঠকে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩ ডিসেম্বর, ২০২০, ১২:০২ এএম

ভাস্কর্য ও মূর্তি এক নয়, এ সম্পর্কে ভুল বুঝাবুঝি আছে। আলাপ আলোচনা করে সৃষ্ট সমস্যা সমাধান করা যায়। ভাস্কর্য বা মূর্তি নিয়ে উস্কানিমূলক বক্তব্য ও বিবৃতির বিষয়ে সংযত হতে হবে। জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাস বিরোধী কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য সকল ধর্মীয় জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিদেরকে নিয়ে সমাজের বিভিন্ন স্তরে আন্ত:ধর্মীয় সংলাপ-এর আয়োজন করা হবে।

গতকাল মঙ্গলবার রিলিজিয়াস রিপোর্টার্স ফোরাম (আরআরএফ)-এর নেতৃবৃন্দের সাথে ধর্ম মন্ত্রণালয়ে মতবিনিময় সভায় নবনিযুক্ত ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান দুলাল এসব কথা বলেন। ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, রাসুল (সা.) ২৫ বছর বয়সে আল আমিন উপাধি লাভ করেছিলেন। ৪০ বছর বয়সে নবুওয়ত লাভ করেছিলেন। এক মাত্র ভালোমানুষ হওয়ার কারণে মহানবী (সা.) এ উপাধি পেয়েছিলেন। তিনি বলেন, আমাদের সবাইকে ভালো মানুষ হতে হবে। অন্য ধর্মের প্রতিও শ্রদ্ধাশীল হতে হবে।

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, জনগণের ইচ্ছা আকাঙ্খাকে তুলে ধরা এবং সরকারের কর্মকান্ড এবং সেবা সম্পর্কে জনগণকে অবহিত করার ক্ষেত্রে সাংবাদিকরা সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করছেন। দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। আমি সাংবাদিকদের নিকট থেকে সব সময় সহযোগিতা ও গঠনমূলক পরামর্শ চাই। আরআরএফ সভাপতি ফয়েজ উল্লাহ ভূঁইয়া ও সাধারণ সম্পাদক উবায়দুল্লাহ বাদলের নেতৃত্বে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ প্রতিমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। এসময় আরআরএফ নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও কার্যনির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ শামসুল ইসলাম, সহ-সভাপতি মনিরুজ্জামান উজ্জ্বল, যুগ্ম-সম্পাদক মুহাম্মদ নঈমুদ্দিন, অর্থ সম্পাদক রকীবুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবলু, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক বাহরাম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য মোহসিনুল করীম লেবু, সদস্য মাসুদ রানা ও মাসুদুল হক। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে ওমরা পালনে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। সিদ্ধান্ত হলেও সীমিত আকারে ওমরা করতে যেতে পারবেন। সউদী সরকারের সিদ্ধান্তের আগে কিছুই বলা যাচ্ছে না বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল হজ ব্যবস্থাপনা, হজযাত্রীর সংখ্যা বৃদ্ধি, হয়রানিমুক্ত হজ ব্যবস্থাপনা, জেদ্দার ইমিগ্রেশন বাংলাদেশে, হজে গমন সহজ ও নিরাপদ হয়েছে। সেটি আরও গতিশীল করা হবে। ইসলামিক ফাউন্ডেশন জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে একটি করে মোট ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতি কেন্দ্র নির্মাণ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম, মন্দির ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম ও প্যাগোডা ভিত্তিক প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পের কার্যক্রম চলমান আছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (5)
শাহে আলম ২ ডিসেম্বর, ২০২০, ২:১৪ এএম says : 0
দেশের শীর্ষ আলেমদের নিয়ে বসুন এবং এই ভুল বোঝাবুঝির দূর করুন
Total Reply(0)
Mizanur Rahman ২ ডিসেম্বর, ২০২০, ৮:০৭ এএম says : 0
আলেমদের মর্যাদা সবার ওপরে। মানবজাতির জন্য সর্বশেষ পথনির্দেশিকা আসমানি গ্রন্থ আল কোরআনে আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘যারা জানে আর যারা জানে না, তারা কি সমান হতে পারে?’ সূরা জুমার, আয়াত ৯। যারা জানে, কোরআনের পরিভাষায় তাদের আলেম বলা হয়। প্রতিটি ধর্মেই আলেম তথা জ্ঞানীদের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। ইসলামেও আলেমের মর্যাদা সবার ওপরে। আলেম আর বে-আলেম কখনই মর্যাদা-সম্মানে সমান নয়- এ থেকেই প্রমাণ হয় আলেমের গুরুত্ব। আলেমের মর্যাদা সম্পর্কে রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদিসে অসংখ্য বর্ণনা এসেছে। একটি হাদিসে রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘আবেদের অপেক্ষা আলেমের মর্যাদা তেমন যেমন তোমাদের সর্বাপেক্ষা ছোট ব্যক্তির তুলনায় আমার মর্যাদা!’ তিরমিজি। আরেক হাদিসে রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আলেমের জন্য সৃষ্টিজগতের সব কিছুই মাগফিরাত বা ক্ষমাপ্রার্থনা করে। এমনকি সমুদ্রের মাছ পর্যন্ত।’ জামে আস সগির ও কানজুল উম্মাল। একজন আলেমের সবচেয়ে বড় মর্যাদা হলো, সে নবীর ওয়ারিশ। রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আলেমরা নবীদের উত্তরাধিকারী, আর নবীরা দিরহাম বা দিনার অর্থাৎ বৈষয়িক কোনো সম্পদের উত্তরাধিকার রেখে যাননি। তাঁরা উত্তরাধিকার হিসেবে রেখে গেছেন ইলম তথা জ্ঞান। অতএব যে ব্যক্তি ইলম অর্জন করেছে, আলেম হয়েছে, সে অনেক অনেক বেশি মুনাফা লাভ করেছে।’ আবু দাউদ। এ কারণে বিভিন্ন হাদিসে বলা হয়েছে, কেউ যদি কোনো আলেমের সঙ্গে দেখা করে, তার সঙ্গে মুসাফাহা করে, তার দিকে তাকিয়ে থাকে তাহলে রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঙ্গে দেখা করা, মুসাফাহা করা এবং তাঁর নুরানি চেহারার দিকে তাকিয়ে থাকার সমান সওয়াব ব্যক্তির আমলনামায় লেখা হবে। সুবহানআল্লাহ। আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে আলেম ওলামাদের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক স্থাপনের তৌফিক দান করুন আমীন। মূর্তির মহব্বত বাদ দিয়ে ইসলামের মহব্বতে মূর্তির বিরুদ্ধে জিহাদে শরীক হোন।
Total Reply(0)
এক পথিক ২ ডিসেম্বর, ২০২০, ৯:৪৬ এএম says : 0
ইসলাম সম্পর্কে অজ্ঞ অনেক ব্যক্তি ভাস্কর্য আর মূর্তিকে আলাদা জিনিস ভাবেন; শয়তান এদের মগজ এমন ধোলাই করেছে যে এরা এ মতবাদ থেকে সহজে সরে আসতে চান না। মৃত্যুর পর এদের পরিণতি কি হবে সেটা তাদের চিন্তার মধ্যেই নেই। জেদের বশবর্তী হয়ে তাগুতকে অনুসরণ করে জাহান্নামের দিকে ধাবিত হওয়া জ্ঞানীর লক্ষণ নয়। এখনো সময় আছে, হক্কানী আলেমদের কাছ থেকে সঠিক তথ্যটি জেনে নিন; মহান আল্লাহর কাছে মাফ চান এবং মহান আল্লাহর নির্ধারিত সঠিক পথে চলে আসুন।
Total Reply(0)
Abuzar ২ ডিসেম্বর, ২০২০, ২:০২ পিএম says : 0
ইসলাম ধর্ম কাউকে মণ গরা কথা বলার অনুমতি দেই নাই।
Total Reply(0)
Abuzar ২ ডিসেম্বর, ২০২০, ২:০৩ পিএম says : 0
ইসলাম ধর্ম কাউকে মণ গরা কথা বলার অনুমতি দেই নাই।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন