শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

বাউফলে সড়ক নির্মাণ কাজে অনিয়মের অভিযোগ

বাউফল উপজেলা (পটুয়াখালী )সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২ ডিসেম্বর, ২০২০, ৫:১৫ পিএম

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কালাইয়া ইউনিয়নের কর্পূরকাঠি গ্রামে একটি সড়কের মেরামত কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সদ্য ওই প্রকল্পের টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। এখন পর্যন্ত কার্যাদেশ হয়নি। এরই মধ্যে ঠিকাদার কাজ শুরু করেছেন। কলাগাছ আর ডালপালা দিয়ে প্যালাসাইডিং করা হচ্ছে। ব্যবহার করা হচ্ছে নিম্মমানের উপকরণ। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ওই গ্রামের নুর হোসেন মৃধা বাড়ি থেকে মোশারেফ হোসেন খান বাড়ি পর্যন্ত ২ কিলোমিটার সড়ক মেরামত কাজের জন্য টেন্ডার আহবান করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। গত ৭ অক্টোবর টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়ে কাজটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব পায় আহমেদ এন্টারপ্রাইজ নামের একটি প্রতিষ্ঠান। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ৪০ লাখ টাকার চুক্তি হয় এলজিইডির। সিডিউল অনুযায়ী সড়কটির ভাঙন ঠেকানোর জন্য ৭৩টি খুঁটি স্থাপন করে ব্রিক ওয়াল দিয়ে প্যালাসাইডিং নির্মাণ ও ২৫ এমএম কার্পেটিং করার কথা।
সরেজমিনে দেখা যায়, নিম্মমানের ইট দিয়ে এজিন তৈরি করা হচ্ছে। চৌধুরি বাড়ির দীঘির পাড়ে কলাগাছ আর ডালপালা দিয়ে প্যালাসাইডিং করে ভাঙণ ঠেকানোর কাজ চলছে।

স্থানীয়রা জানান, কয়েকজন শ্রমিক সড়কটির কাজ করছেন। সাইট পরিদর্শনের জন্য এলজিইডি অফিসের কোন কর্মকর্তা আসেন না। ধুলোবালি দিয়ে সড়কটির গর্ত ভরাট করা হচ্ছে। আর দীঘির পাড়ে ভাঙণ ঠেকানোর জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে কলাগাছ। এভাবে নামমাত্র কাজ করে সরকারি টাকা আত্মসাতের চেষ্টা চলছে। তারা বিষয়টি গুরুত্বসহ দেখার জন্য উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
কাজটি তদারকির দায়িত্বে থাকা বাউফল এলজিইডি অফিসের উপসহকারি প্রকৌশলী জালাল আহমেদ বলেন, আমার কাছে শুধু প্রকল্পটির সিডিউল আছে। কার্যাদেশ এখনও হাতে পাইনি। ওই কাজে কোন অনিয়ম করার সুযোগ নেই। সিডিউলে যা আছে তাই করতে হবে। অন্যথায় বিল পরিশোধ করা হবে না। অনিয়মের খবর পেয়ে আমি প্রকল্পটি পরিদর্শন করেছি। কলাগাছের প্যালাসাইডিং ভেঙে ফেলেছি।
অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করে নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি খবির সিকদার বলেন, কয়েকদিন পর ধান কাটা মৌসুম শুরু হবে। তখন শ্রমিক পাওয়া যাবে না। তাই আমি আগেভাগেই কাজ শুরু করেছি। সিডিউল অনুযায়ী সব কাজ করা হবে।
উপজেলা সহকারি প্রকৌশলী যুগল কৃষ্ণ বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কোন অনিয়ম হলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন