বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পথে জাতিসংঘ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩ ডিসেম্বর, ২০২০, ১২:০১ এএম

প্যারিস আবহাওয়া চুক্তিতে বিশ্বের কার্বন নিঃসরণের মাত্রা কমিয়ে আনার যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল তা অর্জনের পথে। মঙ্গলবার বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে। দ্য ক্লাইমেট অ্যাকশন ট্র্যাকার নামের একটি গ্রæপ প্যারিস চুক্তি রক্ষায় চীন ও অন্যান্য দেশ এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত জো বাইডেনের পরিকল্পনাকে আবহাওয়া পরিবর্তনে বিশ্বনেতাদের উদ্যোগকে আরো বেশি প্রতিশ্রুতিশীল হিসেবে দেখছে। তাদের এই প্রতিশ্রুতির মানে হচ্ছে, চলতি শতাব্দির শেষ নাগাদ বিশ্বের তাপমাত্রা ২ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামিয়ে আনা সম্ভব। উষ্ণ পৃথিবীর জন্য সমন্বিত কার্বন নিঃসরণের মাত্রা কমিয়ে আনার অঙ্গীকারের অর্থ কী তার ওপর এক দশকেরও বেশি সময় ধরে দ্য ক্লাইমেট অ্যাকশন ট্র্যাকারের গবেষকরা নজর রাখছিলেন। ২০০৯ সালে কোপেনহেগেন সম্মেলন ব্যর্থ হওয়ার পর গবেষকরা ধারণা করেছিলেন চলতি শতাব্দির শেষ নাগাদ বৈশ্বিক তাপমাত্রা ৩ দশমকি ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বাড়তে পারে। তবে ২০১৫ সালে প্যারিস চুক্তির পর বিশ্বের বিভিন্ন দেশ জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমিয়ে আনতে শুরু করলে আশার আলো জাগতে শুরু করে। গত সেপ্টেম্বরে ক্লাইমেট অ্যাকশন ট্র্যাকার জানিয়েছিল, ২১০০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক তাপমাত্রা ২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত হতে পারে। তবে প্যারিস চুক্তিতে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামিয়ে আনার যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল এটি তারচেয়েও অনেক বেশি। অবশ্য তাদের নতুন ‘আশাবাদী বিশ্লেষণ’ হচ্ছে, ২১০০ সাল নাগাদ তাপমাত্রা ২ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে পারে। গত তিন মাসের কিছু উন্নয়নের ভিত্তিতে তারা এই আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। সেপ্টেম্বরে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং জাতিসংঘে বলেছেন, তার দেশে ২০৬০ সাল নাগাদ কার্বন নিঃসরণের মাত্রা শ‚ন্যে নামিয়ে আনবে। ক্লাইমেট অ্যাকশন ট্র্যাকারের গবেষকদের মতে, এর ফলে চলতি শতাব্দির মধ্যে উষ্ণতা শ‚ন্য দশমিক ২ থেকে শ‚ন্য দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমতে পারে। জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া জানিয়েছে তারা ২০৫০ সাল নাগাদ নিঃসরণের মাত্রা কমিয়ে আনবে। একই ঘোষণা দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা ও কানাডা। এছাড়া জো বাইডেন নির্বাচনের আগে আবহাওয়া পরিবর্তন চুক্তি নিয়ে যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তাতেও জাগছে আশার আলো। বিবিসি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন