স্বাস্থ্য পরিদর্শকদের ১১, সহকারি স্বাস্থ্য পরিদর্শকদের ১২ এবং স্বাস্থ্য সহকারিদের ১৩ গ্রেড প্রদানকরে নিয়োগবিধি সংশোধনসহ বেতন বৈষম্য নিরসনের দাবিতে মযমনসিংহের ফুলপুরে বাংলাদেশ হেলথ এসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশন ফুলপুর শাখা বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) ৮ম দিনের মত কর্মবিরতী পালন করেছে। এতে ফুলপুরের সকল স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারি স্বাস্থ্য পরিদর্শক এবং স্বাস্থ্য সহকারিগণ অংশ গ্রহণ করেন।তাদের কর্মবিরতীর ফলে মা ও শিশুদের টিকাদান কার্যক্রম, বাড়ি বাড়ি গিয়ে করোনা রোগী শনাক্ত করণসহ ইউনিয়ন পর্যায়ের স্বাস্থ্যসেবা ব্যহত হচ্ছে। ফলে ভোগান্তিতে পরেছেন সেবা নিতে আসা রোগীরা।
গত ২৬ নভেম্বর থেকে বাংলাদেশ হেলথ এসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশন ফুলপুর উপজেলা শাখার উদ্যোগে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে কেন্দ্রীয় কমিটির ঘোষিত কর্মসূচী বাস্তবায়নের লক্ষে ওই কর্মবিরতি পালন শুরু করে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। দ্বিতীয় দিনের কর্মবিরতী চলাকালে নিজেদের দাবি তুলে বক্তব্য রাখেন দাবী বাস্তবায়ন সমন্নয় পরিষদ ফুলপুর উপজেলা শাখার আহবায়ক আঃ গণি, সদস্য সচিব মতিউর রহমান বেলাল, মুখপাত্র মোহাম্মদ আলমগীর, সিরাজুল ইসলাম, শাহজাহান কবীর ও হাফিজুর রহমানসহ নেতৃবৃন্দ। বক্তব্যে নেতৃবৃন্দ বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৮ সালে স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য সহকারীদের সমাবেশে আমাদের বেতন বৈষম্য নিরসনের ঘোষণা দিয়েছিলেন। ২০১৮ সালের ২ জানুয়ারী স্বাস্থ্য মন্ত্রী আমাদের দাবি মেনে নিয়ে বাস্তবায়নের জন্য একটি কমিটি গঠন করেন এবং চলতি বছরের ২০ ফেব্রুয়ারী আমরা হাম-রুবেলা ক্যাম্পেইন বর্জন করলে স্বাস্থ্য মন্ত্রী ও সচিব মহোদয় আমাদের দাবি মেনে নিয়ে লিখিত প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন। কিন্তু কোন প্রতিশ্রুতিই অদ্যবদি বাস্তবায়ন হয়নি।আমরা এসব প্রতিশ্রুতি দ্রুত বাস্তবায়ন চাই। আগামী ৫ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া হাম-রুবেলা ক্যাম্পেইন কার্যক্রম থেকেও আমরা বিরত থাকবো।দাবি পূরণের প্রজ্ঞাপন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এই কর্মবিরতী চলবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন