বরিশালে ৩য় শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে অপহরণ, ধর্ষণ ও হত্যার পর লাশ গুমের অপরাধে পৃথক তিন ধারায় আসামি আবুল কালাম আজাদ কালুকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল মৃত্যুদন্ড, যাবজ্জীবন ও সাত বছরের সশ্রম কারাদন্ডাদেশ দিয়েছেন। এছাড়া আরো দেড় লাখ টাকা জরিমানা আদায় করে ভিকটিমের পরিবারকে দেয়ার আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আবু শামীম আজাদ।
গতকাল আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করা হয়। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আভাষের পক্ষ থেকে ভিকটিমকে দেয়া আইনজীবী মোকলেচুর রহমান খান জানান, ২০১৮ সালের ১১ মার্চ দুপুরে ওই শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী আবুল কালাম আজাদ কালুর বাড়ির বাথরুমে যায়। এসময় বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে আসামি কালু শিশুটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করে বস্তায় ভরে হালিম মাস্টারের পারিবারিক কবরস্থানে ফেলে দিয়ে আসে। ১৩ মার্চ এয়ারপোর্ট থানা পুুলিশ কবরস্থান থেকে বস্তাবন্দি লাশটি উদ্ধার করে। এ ঘটনায় শিশুর মা মাহমুদা বেগম বাদী হয়ে এয়ারপোর্ট থানায় একটি ধর্ষণ ও হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে একই বছরের ২০ সেপ্টেম্বর তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আ. রহমান মুকুল আদালতে কালুর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরবর্তী সময়ে মামলাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে প্রেরণ করা হয়। ট্রাইব্যুনালে দীর্ঘ দেড় বছর মামলাটির বিচার চলাকালে তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ ১০ জনের স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক আসামি আবুল কালাম আজাদ কালুর উপস্থিতিতে গতকাল রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে ধর্ষণের অপরাধে কালুকে মৃত্যুদন্ড, অপহরণের অপরাধে যাবজ্জীবন ও লাশ ঘুম করার অপরাধে আরো ৭ বছরের সশ্রম কারাদন্ডের পাশাপাশি আসামির স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি করে শিশুটির পরিবারকে দেড় লাখ টাকা প্রদানের আদেশ প্রদান করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন