বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

সাংবাদিক নেতাসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা

চট্টগ্রামে প্লট জালিয়াতি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৪ ডিসেম্বর, ২০২০, ১২:০৬ এএম

প্লট জালিয়াতির ঘটনায় চট্টগ্রামের চার সাংবাদিক নেতাসহ নয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১ এর সহকারী পরিচালক মো. আবু সাঈদ বাদি হয়ে মামলাটি (নং- ১৪, তারিখ- ২৫ নভেম্বর) দায়ের করেন।

মামলার আসামিরা হলেন চট্টগ্রাম সাংবাদিক কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লিমিটেডের সাবেক সম্পাদক নিজাম উদ্দিন আহমেদ ও তার স্ত্রী হোসনে আরা, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক নির্মল চন্দ্র দাশ ও তার স্ত্রী তপতী দাশ, সাবেক কোষাধ্যক্ষ শহীদ উল আলম ও তার স্ত্রী তসলিমা খানম এবং সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুব উল আলম, প্লট ক্রেতা মো. সেলিম ও হুমায়েরা ওয়াদুদ।

মামলার বাদী আবু সাঈদ জানান, সাংবাদিকদের আবাসনের জন্য সরকারের বরাদ্দ দেওয়া ভূমিতে মসজিদ ও কবরস্থানের জায়গায় জালিয়াতির মাধ্যমে প্লট সৃষ্টি করে স্ত্রীদের নামে বরাদ্দ ও পরে বিক্রি, মিথ্যা নকশা প্রণয়ন, প্লট হস্তান্তর ফি সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে আত্মসাতের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে অনুসন্ধানে সত্যতা পাওয়ার পর মামলা হয়। দুদক মামলাটি তদন্ত করছে।

চট্টগ্রামে কর্মরত সাংবাদিকদের আবাসনের জন্য ১৯৮২ সালে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন নগরীর শেরশাহ এলাকায় ১৬ একর ভূমি বরাদ্দ দেয়, যা চট্টগ্রাম সাংবাদিক কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটির অনুকূলে ইজারা নেওয়া হয়। ১৯৯২ সালে সোসাইটির পক্ষ থেকে ১০৯টি প্লটের নকশা অনুমোদন দেওয়া হয়। এরপর সোসাইটির বার্ষিক সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত অনুসারে ১০৮টি প্লট সমিতির সদস্যের বরাদ্দ দেওয়া হয়। একটি প্লট বিদ্যুৎ-গ্যাস-পানির কার্যক্রম তদারকির জন্য রাখা হয়।

ওই ১০৮টি প্লটের মধ্যে সাংবাদিক মাহবুব উল আলম, নিজাম উদ্দিন আহমেদ, শহীদ উল আলম ও নির্মল চন্দ্র দাশ প্রত্যেকে পাঁচ কাঠা পরিমাণের একটি করে প্লট বরাদ্দ ও রেজিস্ট্রি পান। এরপর ১৯৯৪-৯৭ মেয়াদে সোসাইটির চেয়ারম্যান পদে মাহবুব উল আলম, সম্পাদক পদে নিজাম উদ্দিন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ পদে শহীদ উল আলম এবং যুগ্ম সম্পাদক পনে নির্মল চন্দ্র দাশ নির্বাচিত হন। তাদের মেয়াদে ম‚ল জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে বলে মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয় ১৯৯৪ সালে নির্বাচিতদের মেয়াদে সোসাইটির অনুমোদিত নকশায় মসজিদ ও কবরস্থানসহ পার্শ্ববর্তী সরকারি জমি দখল দেখিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে জালিয়াতির মাধ্যমে বানোয়াট নকশা প্রণয়ন করা হয় যাতে সিডিএর কোনো অনুমোদন নেই। পরে নকশা বর্হিভ‚ত তিনটি প্লট তিন সাংবাদিক শহীদ উল আলম, নির্মল চন্দ্র দাশ ও নিজাম উদ্দিন আহমেদের স্ত্রীদের নামে বরাদ্দ দেওয়া হয়। যদিও তারা সোসাইটির সদস্য নন। নির্মল দাশের স্ত্রী তপতী দাশ তার নামে বরাদ্দ প্লটটি মো. সেলিমের কাছে এবং শহীদ উল আলমের স্ত্রী তাসলিমা খানম তার নামে বরাদ্দ প্লট হুমায়েরা ওয়াদুদের কাছে বিক্রি করে দেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন