বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

দ্বিতীয় ঢেউ ঊর্ধ্বমুখী ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৩৫

দেশে করোনাভাইরাস

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৪ ডিসেম্বর, ২০২০, ১২:০৬ এএম

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আরো ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৬ হাজার ৭৪৮ জন। নতুন করে রোগী শনাক্ত হয়েছে ২৩১৬ জন। মোট শনাক্ত ৪ লাখ ৭১ হাজার ৭৩৯ জনে দাঁড়িয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ৫৯৩ জন এবং এখন পর্যন্ত ৩ লাখ ৮৮হাজার ৩৭৯ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পরিসংখ্যানেব দেখা যায় দেশে ৮ মার্চ প্রথম করোনা শনাক্তের পর এর ঊর্ধ্বমুখী আচরণ দেখা যায় মে মাসের দিকে। এরপর জুনে সেটি আরো বেড়ে যায় এবং জুলাইয়ে স্থিতিশীল পর্যায়ে আসে। জুলাইয়ের শেষে ধীরে ধীরে কমে আগস্ট, সেপ্টেম্বর ও নভেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত করোনা শনাক্ত নিম্নমুখী হয়। এরপর থেকে আবার শনাক্ত ওপরের দিকে যাচ্ছে।

দেশে করোনায় এখন পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছে মোট শনাক্ত ৪ লাখ ৭১ হাজার ৭৩৯ জন। এছাড়া এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৬ হাজার ৭৪৮ জন। গত অক্টোবর মাসে মোট শনাক্ত ছিল ৪২ হাজার ৮৬৯ এবং নভেম্বর মাসে ৫৬ হাজার ২৩৭ জন। এক মাসের ব্যবধানে শনাক্ত বেড়েছে ১৩ হাজার ৩৬৮ জন। অন্যদিকে অক্টোবরে মৃত্যু ছিল ৬৩৬ এবং নভেম্বরে ৭০৯ জন। অর্থাৎ নভেম্বরে মৃত্যু ৭৩ জনের বেশি হয়েছে অক্টোবরের তুলনায়। পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, দেশে এখন পর্যন্ত কোভিড সংক্রমণ নিয়ে একমাসে সর্বোচ্চ মৃত্যু ঘটে জুন মাসে ৬৪ জন। ওই মাসে এক হাজার ১৯৭ জন কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মারা যান। জুলাইতে মোট মৃত্যু ছিল ১ হাজার ২৬৪ জন। আগস্টে এই সংখ্যা কিছুটা কমে দাঁড়ায় ১ হাজার ১৯৮ জনে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনার পরিসংখ্যান বলে, সর্বশেষ ৭ সেপ্টেম্বর ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত ছিল ২ হাজারের কিছুটা বেশি। এরপর আর ২ হাজারের ঘর করোনা শনাক্ত ছুঁতে পারেনি। এর ৭১ দিন পর ১৬ নভেম্বর আবারো করোনার শনাক্ত দাঁড়ায় ২ হাজারের ঘরে। এদিন শনাক্ত হয় ২ হাজার ১৩৯ জন। পরদিন বেড়ে শনাক্ত দাঁড়ায় ২ হাজার ২১২ জন। এরপর শুধু ১৫ দিন মোট শনাক্ত হয় ৩৪ হাজার ৮৯২ জন। অর্থাৎ এই কয়দিন গড়ে ২ হাজার ৩২৬ জন শনাক্ত হয়েছে। আর পুরো মাসে শনাক্ত হয়েছে ৫৬ হাজার ২৩৭ জন। অর্থাৎ পুরো মাসের ৬২ শতাংশই শনাক্ত হয় শেষ ১৫ দিনে।

পরিসংখ্যানে দেখা যায়, দেশে করোনা সংক্রমণের হার আগস্টের পর থেকে স্থিতিশীল হলেও সেপ্টেম্বর, অক্টোবর এবং নভেম্বরে তা উঠানামার মধ্যেই আছে। অক্টোবরের প্রথমে সংক্রমণের হার অর্থাৎ নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্ত ছিল ১২ দশমিক ৪৯ শতাংশ। এরপর অক্টোবরের শেষে তা দাঁড়ায় ১২ দশমিক ৫০। নভেম্বরের শুরুতে হার ছিল ১৩ দশমিক ৪৭ এবং শেষে হার ১৪ দশমিক ৭৯। তবে এই হার স¤প্রতি ১৬ শতাংশ অতিক্রম করেছিল।

সরকারের পাবলিক হেলথ অ্যাডভাইজরি কমিটির সদস্য ও সিনিয়র জনস্বাস্থ্যবিদ ড. আবু জামিল ফয়সাল বলেন, করোনা সংক্রমণ সামনে আরও বাড়বে। সংক্রমনের কারণ শীত নয়, এসময় আমাদের সবচেয়ে বড় রিস্ক হলো ধূলিকণা। করোনা না থাকা অবস্থায় বিগত বছরে বায়ুদূষণের কারণে এই সময়ে অনেকে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে। যারা বয়স্ক যাদের হাঁপানি ছিল তাদের অবস্থা খুব খারাপ হয়েছে। হাঁপানি, ব্রংকাইটিস এগুলো হচ্ছে রিস্ক ফ্যাক্টর করোনার ক্ষেত্রে। রোগী বাড়ার সঙ্গে শীতের কোনও সম্পর্ক নেই। বায়দূষণ রেস্পারেটরি সিস্টেমে অনেক সমস্যা তৈরি করে। করোনাও তো একই জায়গায় সমস্যা তৈরি করে। সুতরাং রোগী তো বাড়বেই।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন