লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শরাফউদ্দিন আজাদ সোহেলের বিরুদ্ধে উপজেলা পরিষদের ১২ সদস্যের দেওয়া অনাস্থা প্রস্তাবের তদন্ত শুরু হয়েছে। অনাস্থা প্রস্তাবের চার মাস পর বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) খন্দকার জহিরুল ইসলাম বিষয়টি তদন্তের জন্য আসেন। এর আগে বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ এনে রামগতি উপজেলা পরিষদের ১৫ সদস্যের মধ্যে ১২ সদস্য ২৮ জুলাই বিভাগীয় কমিশনারের কাছে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব দেন।
এদিকে তদন্তে এসে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার উপজেলা চেয়ারম্যানের বিভিন্ন অনিয়মের খোঁজখবর নেওয়ার পাশাপাশি পরিষদের ১৩ সদস্যসহ দুইজন সরকারী কর্মকর্তার সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
জানা গেছে, চলতি বছরের ২ জুলাই উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও প্যানেল চেয়ারম্যান রাহিদ হোসেনের সভাপতিত্বে তার অফিস কক্ষে এক বিশেষ সভায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শরাফউদ্দিন আজাদ সোহেলের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য অনাস্থা প্রস্তাব আনেন । এ প্রস্তাবে পৌর মেয়র, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান, আটজন ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা পরিষদের সংরক্ষিত দু'জন নারী সদস্যসহ ১২ সদস্য স্বাক্ষর করেন।
দিনব্যাপী তদন্ত শেষে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) খন্দকার জহিরুল ইসলাম বলেন, অভিযোগকারী, সরকারি দু'জন কর্মকর্তাসহ ১৫ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। অভিযোগগুলোর আরও তদন্ত চলছে। এতে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শরাফউদ্দিন আজাদ সোহেল দোষী প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন