আদালতের স্থগিতাদেশে বগুড়া শহরের রহমাননগর এলাকার ৫৭টি পরিবারের মোট ৮২ শতাংশ জমিতে স্থাপিত বাড়িঘর উচ্ছেদের হাত থেকে রক্ষা পেল। আপাতত হাঁফ ছেড়ে বাঁচলো তারা।
ভুক্তভোগী ওই ৫৭ পরিবারের সদস্যরা গতকাল শুক্রবার জানান, তাদের অজান্তে কিছু লোক উল্লিখিত এলাকার ৬১জনকে বিবাদী করে ১৯৯৯ সালে ২৭ /৯৯নং বণ্টন মামলা করে। ওই ৬১ জনের ৪১ থেকে ৪৪ নম্বর ক্রমিকের ৪ জনের সাথে একটি সমঝোতা সোলেমানা দেখিয়ে প্রথমে ২০০২ সালে একতরফা রায় হাসিল করে। এরপর চলতি বছরের নভেম্বরে প্রথমে এড. হারুনুর রশিদকে কমিশনার নিয়োগ করে। এড. হারুনুর রশীদ এরপর উল্লিখিত ৫৭ জনের নামে রেজিস্ট্রি ডাকে নোটিশ পাঠিয়ে স্ব-স্ব বাড়িঘর অপসারণ পূর্বক সরে যাওয়ার নির্দেশনা দেয়। ২ ডিসেম্বর কয়েকজন এই নোটিশ পাওয়ার পর বাকি সবাই ঘটনাটি জানার পর কিংকর্তব্য বিমূঢ় হয়ে যায়।
তাদের অনেকেই তড়িঘড়ি করে ৩ ডিসেম্বর আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে উল্লিখিত উচ্ছেদ আদেশ স্থগিতসহ ছানি মামলা নং ১৫৯/২০২০ (মোৎ ছানি মোকর্দমা ২৭/১৯৯৯ বণ্টন) দায়ের করলে বিজ্ঞ আদালত আদালত উচ্ছেদ আদেশ স্থগিতসহ মামলা চালু করার আদেশ দেন বলে নিশ্চিত করেন ফারুক হোসেনের আইনজীবী এড. আব্দুস সামাদ (৩)।
উল্লিখিত ৫৭ জনের মধ্যে রয়েছেন দৈনিক ইনকিলাবের বগুড়া ব্যুরো প্রধান সাংবাদিক মহসিন রাজুসহ বেশ কয়েকজন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা, শিক্ষক, ব্যবসায়ীসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
এদিকে উচ্ছেদের নোটিশটি আদালতে স্থগিত হলেও আশংকা করা হচ্ছে, ২০ বছর ধরে কঠোর গোপনীয়তার সাথে চলা মামলাটির সাথে জড়িতরা ৬ ডিসেম্বর হাঙ্গামা সৃষ্টি করে উল্লিখিত জায়গাটির দখল নেওয়ার চেষ্টা করতে পারে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন