লক্ষ্মীপুরে নৌ-ঘাটে চাঁদা আদায়ের ঘটনায় দায়েরকরা মামলার স্বাক্ষী আবুল কালাম আজাদের সোনালী কলোনীস্থ বাড়িতে হামলা ও আসবাবপত্র ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। চররমনী মোহন ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান আবু ইউসুফ ছৈয়ালের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করায় ক্ষিপ্ত হয়ে মামলার স্বাক্ষীর বাড়িতে এ হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, লক্ষ্মীপুরের মজুচৌধুরীর হাট লঞ্চ ও ফেরীঘাট চলতি অর্থবছরের জন্য ইজারা নেয় ইউপি চেয়ারম্যান ছৈয়ালের ছেলে আবু সুফিয়ান ও সদর উপজেলা (পূর্ব) যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক রূপম হাওলাদার। এরপর থেকে ইউপি চেয়ারম্যানের লোকজন ঘাট থেকে নিয়ম বহির্ভূতভাবে চাঁদা আদায় শুরু করে। এতে ঘাটে নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়। এর বিরুদ্ধে যুবলীগ নেতা রূপম প্রতিবাদ করলে তার সাথে বিরোধ দেখা দেয় ইউপি চেয়ারম্যান ও তার পুত্রের সাথে। এ সব বিষয়ে সম্প্রতি যুবলীগ নেতা রূপম বাদি হয়ে লক্ষ্মীপুর আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলার ২ নং স্বাক্ষী করা হয় আবুল কালাম আজাদ নামে এক ব্যক্তিকে।
এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে শুক্রবার দুপুরে ২০/২৫ জনের একটি গ্রুপ আবুল কালামের ঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরির্দশন করে। এর আগেই হামলাকারীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
আদালতে দায়েরকৃত মামলার বাদি রূপম হাওলাদার জানান, মজুচৌধুরীর হাট ঘাটে চেয়ারম্যান ছৈয়ালের লোকজন অনৈতিকভাবে অর্থ আদায় করছে। আমি এগুলোর প্রতিবাদ করায় আমাকে ঘাটে ভিড়তে দেয় না। পরে আমি আদালতে মামলা করি। তাই ক্ষিপ্ত হয়ে চেয়ারম্যান ছৈয়াল সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে মামলার স্বাক্ষীর বাড়িতে হামলা করেছে। এ ঘটনা আমি পুলিশকে অবহিত করি।
এবিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান আবু ইউসুফ ছৈয়ালের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
থানার এসআই আবুল কালাম বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করা হয়েছে। উভয় পক্ষকে থানায় বসে মিমাংস্যা করতে বলা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন