শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

পদোন্নতি পাচ্ছেন ৬ হাজার শিক্ষক

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৬ ডিসেম্বর, ২০২০, ১২:০১ এএম

মুজিব বর্ষে উপলক্ষ্যে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের সিনিয়র শিক্ষক পদে পদোন্নতির খসড়া তালিকা প্রকাশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। ফলে সহকারী শিক্ষকদের পদোন্নতির মধ্য দিয়ে প্রথম শ্রেণির নন-ক্যাডার শিক্ষক পদে পদোন্নতি পাবেন।

মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্র জানায়, মুজিব বর্ষেই বিশাল পদোন্নতি বাস্তবায়ন করার চেষ্টা চলছে। যা হবে মুজিব বর্ষের বিরাট অর্জন। ইতোমধ্যে কমিটি যাচাই বাছাইয়ের কাজ শুরু করেছে।

জানা গেছে, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬ হাজার ১৫৫ জন সহকারী শিক্ষককে সিনিয়র শিক্ষক হিসেবে পদে পদোন্নতি দেওয়ার জন্য খসড়া তালিকা প্রস্তুত করেছে। গত ৩০ নভেম্বর স্বাক্ষরিত খসড়া তালিকাটি অধিদফতরের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। পদোন্নতির তালিকা নিয়ে কারো আপত্তি থাকলে বা কারো নাম বাদ পড়লে তা আগামী ৭ দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় প্রমাণসহ উপ-পরিচালকের (মাধ্যমিক) কাছে রেজিস্ট্রি ডাক ডাকযোগে আবেদন জানাতে বলা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সারাদেশে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নন-ক্যাডার শিক্ষক পদে কর্মরত আছেন ১০ হাজার ৫০০ জন। এর মধ্যে ৫ হাজারের অধিক শিক্ষক এই পদোন্নতিতে যুক্ত হবেন। এই পদোন্নতির ফলে শিক্ষকদের কোন আর্থিক সুবিধা না বাড়লেও সামাজিকভাবে তাদের মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে। ফলে শিক্ষা ক্ষেত্রে এর একটি ইতিবাচক প্রভাব দেখা যাবে। এছাড়াও পদোন্নতির এ জট খুলে গেলে মাধ্যমিকের উপরের বিভিন্নভাবে পদায়নও সম্ভব হবে।

মাধ্যমিকের শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল নাহিয়ান বলেন, ২৮ বছর মাধ্যমিকের শিক্ষকদের পদোন্নতি হয়নি। দীর্ঘদিন পরে হলেও মুজিব বর্ষে এত বিশাল পদোন্নতির জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানাই। তবে এখনো অনেক শিক্ষকের বিভিন্ন বিধি বিধানের কারণে পদোন্নতি আটকে যেতে পারে। এছাড়া বিএড না থাকার শর্ত লঙ্ঘন, সমন্বিত মেধা তালিকা না থাকার কারণে কিভাবে পদোন্নতি দেয়া হবে তা নিয়ে অনেক শিক্ষক প্রশ্ন তুলেছেন। ধানমন্ডি গভ. বয়েজ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. মনোয়ারুল ইকবাল বলেন, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে ১৯৯২ সালে যোগদান করি। অথচ এই পদোন্নতির তালিকায় আমার নাম নেই। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এনামুল হক নামের একজন শিক্ষক সহকারী শিক্ষক পদে যোগদান করেন ২০১০ সালে। অথচ খসড়া তালিকায় তার নাম আছে। যেখানে তার চাকরির বয়স মাত্র ১০ বছর। এ বিষয়ে সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহাব উদ্দিন মাহমুদ সালমী বলেন, বিধিবিধান মেনে অর্থাৎ ২০১৮ সালে যে পদ্ধতি অনুসরণ করে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে সে পদ্ধতি অনুসরণ করে পদোন্নতি দিলে কারো কোনো অভিযোগ থাকবে না। অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (মাধ্যমিক) অধ্যাপক মো. বেলাল হোসেন বলেন, ত্রুটি দেখতেই খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। শিক্ষকরা লিখিত অভিযোগ করে আমাদেরকে জানাতে পারে। বিধি বিধান অনুযায়ী যাচাই বাছাইয়ের মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে খসড়া তালিকা সংশোধন করা হবে এবং তা সম্পন্ন করে চূড়ান্ত আকারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন