শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

এবার ইসরাইলকে চাঁচাছোলা আক্রমণ করলো সউদি আরব

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৭ ডিসেম্বর, ২০২০, ১:২৫ পিএম

এবার ইসরাইলকে চাঁচাছোলা আক্রমণ করলো সউদি আরব। বাহারাইন সিকিউরিটি সামিটে গিয়ে ইসরাইলের সমালোচনায় মুখরিত হলেন সউদি যুবরাজ তুর্কি বিন ফয়সল আল সউদ। একেবারে চাঁচাছোলা ভাষায় তিনি বলেছেন, ”যতক্ষণ স্বাধীন ফিলিস্তিন না হচ্ছে, ততক্ষণ ইসরাইল যেন আরব দুনিয়ার আর কোনো দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন না করে।” তিনি যখন এই কথা বলছেন, তখন ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও সেখানে ছিলেন। সম্প্রতি সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য বাহারাইন ও আমিরাতের প্রতিনিধিদের ইসরাইল তাদের দেশে ধুমধাম করে স্বাগত জানিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সউদির এই আক্রমণের মুখে পড়ে কিছুটা হতচকিত হয়ে পড়েন ইসরাইলের পররষ্ট্রমন্ত্রী। -ডয়চে ভেলে

 

এই শীর্ষ বৈঠকের নাম দেয়া হয়েছে মানামা ডায়লগ। সেখানেই সউদি আরবের যুবরাজ বলেন, “ইসরাইল নিজেকে শান্তির দূত হিসাবে তুলে ধরার চেষ্টা করছে। একইসঙ্গে ফিলিস্তিনের বাস্তব ছবিটা হলো, তারা একটি পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদী শক্তির অধীনে আছে। ইসরাইল তুচ্ছাতিতুচ্ছ কারণ দেখিয়ে ফিলিস্তিনিদের কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে পাঠিয়ে অত্যাচার করছে। ছেলে-বুড়ো, নারী-পুরুষ কেউই ন্যায়বিচার পাচ্ছেন না। ইসরাইল ইচ্ছেমতো ফিলিস্তিনিদের বাড়ি ধ্বংস করছে, যাকে খুশি মেরে ফেলেছে।” সউদি যুবরাজের ভাষা ছিল অত্যন্ত কঠোর। তিনি সোজাসাপটা অভিযোগ করেন, “ইসরাইলের হাতে পরমাণু অস্ত্র আছে। আর তারা ও তাদের পেটোয়া মিডিয়া সমানে সউদি আরবের বিরুদ্ধে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। সেখানে রক্তপিপাসু হত্যাকারী আছে, যারা সউদির অস্তিত্বকেই মুছে ফেলতে চায়। তারপরেও ইসরাইল প্রচার করে যে, তারা সউদির বন্ধু হতে চায়।”

তার মতে, সমস্যার সমাধান একমাত্র তখনই হতে পারে, যখন ইসরাইল ১৯৬৭ সালে অধিকৃত ভূখণ্ড ফিলিস্তিনকে ফিরিয়ে দেয় এবং স্বাধীন ফিলিস্তিনকে মেনে নেয়। তা হলে আরব দেশগুলোর সঙ্গে তাদের বন্ধুত্ব হতে পারে। এরপরেই বলতে উঠে ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সৌদি প্রতিনিধির মন্তব্যে তিনি ক্ষুব্ধ। মধ্যপ্রাচ্যে পরিবর্তন আসছে। সউদির প্রতিনিধির কথায় তার ছাপ নেই। তার মতে, শান্তিচুক্তি না হওয়ার জন্য ফিলিস্তিন দায়ী। বিকল্প দুটি। ফিলিস্তিনকে সমস্যার সমাধান মেনে নিতে হবে, না হলে এ রকম দোষারোপ চালিয়ে যেতে হবে। যখন এই উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় চলছে, তখন বাহারাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও মঞ্চে ছিলেন। তিনি অবশ্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করেছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (18)
habib ৭ ডিসেম্বর, ২০২০, ২:১৩ পিএম says : 0
If OIC members fight together no one can do anything even America or Israel....
Total Reply(0)
Md. Shamsul Hoq ৭ ডিসেম্বর, ২০২০, ৩:০৬ পিএম says : 0
We appreciate the KSA statement.
Total Reply(0)
Hasan Jubayer ৭ ডিসেম্বর, ২০২০, ৬:০৫ পিএম says : 0
Alhamdulillah soidi sorkar ke Allah hedayet din
Total Reply(0)
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ৭ ডিসেম্বর, ২০২০, ৭:৩৭ পিএম says : 0
Mbs এর এই বক্তব্যের পেছনে অাবার অন্য কিছু লুকিয়ে নেইতো?
Total Reply(1)
sajibul islam ৯ ডিসেম্বর, ২০২০, ৮:৫৭ এএম says : 0
obossoi....karon akhon baiden president elected hoyeche.......biden boleche soudi somporke tini tader foreign policy change korbe.....jeta soudi ke somossai fele debe tai soudi cacche akhon turkey er sathe relation valo korte.......samner agoto situation control korar jonno tara akhon turkey er sathe somojhota korte cacche
এম আবদুল্লাহ ৭ ডিসেম্বর, ২০২০, ১০:১০ পিএম says : 0
এটা সৌদির লোক দেখানো।
Total Reply(0)
Abdul ৮ ডিসেম্বর, ২০২০, ৯:৩৪ এএম says : 0
Alhamdulillah, thanks Saudi president
Total Reply(0)
Abdul ৮ ডিসেম্বর, ২০২০, ৯:৩৪ এএম says : 0
Alhamdulillah, thanks Saudi president
Total Reply(0)
Md Mohsain ৮ ডিসেম্বর, ২০২০, ৯:৪২ এএম says : 0
Yes,Saudi Govt.particularly Mohammad Bin Salman can lead the whole Muslim world against the torture,oppression of any non- Muslim countries if Mr.Salman honestly a true Muslim as the indicates.
Total Reply(0)
মেহেদী ৮ ডিসেম্বর, ২০২০, ১১:৫৩ এএম says : 0
Alhamdulillah
Total Reply(0)
Sk Al Mehedi Hasn ৮ ডিসেম্বর, ২০২০, ৪:৩৬ পিএম says : 0
রিপোর্টটাতে যে এমবিএস এর ছবি লাগানো হয়েছে বক্তব্যটা যুবরাজ তুর্কি বিন ফয়সল আল সউদের। তার ছবি লাগালে ভালো হতো। কারণ এমবিএসই গোপনে ইসরাইলের সাথে বৈঠক করে। ইসরাইলকে সমর্থন করে।
Total Reply(0)
জোহেব শাহরিয়ার ৯ ডিসেম্বর, ২০২০, ২:১৭ এএম says : 0
সৌদি আরবের সাধারণ জনগণ ইসরায়েলের বিপক্ষে। এমন কি খোদ রাজপরিবারেও অসংখ্য ইসরায়েল বিরোধী ব্যাক্তিবর্গ আছে। এখন এমবিএস যদি ইসরায়েলের সাথে কূনৈতিক সম্পর্ক করতে যায়, তাহলে মুসলিম বিশ্বের রোষের মুখে যেমন পড়বে, তেমনি নিজ দেশের জনগণ, প্রশাসন, সেনাবাহিনী, রাজপরিবারের একাংশের তোপের মুখে পড়তে হতে পারে তাকে। এমনকি প্রাণও যেতে পারে, তাই এমবিএস এখন চুপ। সে ইসরায়েলের বিপক্ষে যাবে না কোনদিনই। তবে তুর্কি বিন ফয়সালের বক্তব্যটা বেশ সাহসী। এর আগে আমি অন্তত তাকে এতোটা সাহসী ভূমিকায় দেখি নি। জানি না তাঁর জন্য কি অপেক্ষা করছে সামনে। আল্লাহ তাকে মুসলিম নামধারী মুনাফেক ও জায়োনিস্ট সন্ত্রাসীদের চক্রান্ত থেকে হেফাজত করুন।
Total Reply(0)
Alim Mohammed ৯ ডিসেম্বর, ২০২০, ৯:০৩ পিএম says : 0
Very good
Total Reply(0)
Md Ismail ৯ ডিসেম্বর, ২০২০, ১০:৩১ পিএম says : 0
মুসলিম বিশ্বের ক্যান্সার ইসরায়েল থেকে আল্লাহ মধ্যপ্রাচ্য কে নিরাপদ রাখুন।
Total Reply(0)
khairun Nessa Daisy ৯ ডিসেম্বর, ২০২০, ১১:০৩ পিএম says : 0
Alhumdulliah, at last Allah give them best knowledge. Allah ,together all Muslim Ummah.Amin.
Total Reply(0)
TUFAYEL ১০ ডিসেম্বর, ২০২০, ২:১০ এএম says : 0
Alhamdulillah
Total Reply(0)
ফিরদাউস ১২ ডিসেম্বর, ২০২০, ৮:৪৬ এএম says : 0
ইসরাইল একটি অবৈধ ইয়াহুদি বসতির সমষ্টি । এটি কোন রাষ্ট্র নয় । এর কোন সরকার নাই ।
Total Reply(0)
Safiul ১২ ডিসেম্বর, ২০২০, ৬:০০ পিএম says : 0
Bahrainis ruler is a fresh stupid
Total Reply(0)
শাওন ১২ ডিসেম্বর, ২০২০, ১১:৩৯ পিএম says : 0
অবাক হওয়ার কিছু নেই। সৌদি যুবরাজ এর কীর্তিকলাপ নতুন কিছু না। উনি ইসলাম বিরোধী কর্মকান্ডে জরিত অার ইউরোপীয় দের সাথে বন্ধুত ও সামঞ্জস্যপূর্ণ সম্পর্ক রক্ষায় যেকোনো সময় মত বদলে দেবে। এগুলো লোক দেখানো সান্ত্বনা
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন