বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সোনালি আসর

জেনে নাও

প্রকাশের সময় : ২২ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ভয়কে করো জয়
আ মি র সো হে ল
ভয়কে জয় করা যায়।
চেষ্টা করতে হয় মনোবল রেখে।
সাহস সঞ্চয় করতে হয় কৌশলী পরিশ্রমে।
আত্মবিশ্বাস পূর্ণ হয় চেষ্টা ও যথার্থ শ্রমে।
চেষ্টা করতে ভুলে যায় যারা।
তাদের সাফল্য অর্জন অনেক দূরে সরে যায়...
সাফল্য পায়ে এসে চুমু খাবে।
তুমি নিশ্চিত উদ্দেশ্য ঠিক রেখে লক্ষ্য পানে ছুটে চললে।
ভয়ে আদমরা হলে চলবে না।
লোকজনের কানাকানি ফিসফিসানি দেখলে ও শুনলে পথ অচল হবে প্রারম্ভেই।

সর্বকালের সেরা নোবেল রাইটার জর্জ বারনারড’শ একদিনে তার অবস্থানে পৌঁছেননি। তিনি অক্লান্ত পরিশ্রমী ছিলেন। প্রতিদিন তিনি বিশ পৃষ্ঠা করে লিখতেন। কোন দিন লিখতে মিস করলে পরবর্তী দিন চল্লিশ পৃষ্ঠা লিখে পুষিয়ে নিতেন। তাই তিনি আজ বিশ্বের কাছে পরিচিত সর্বকালের সেরা রাইটার হিসেবে।

টমাস আলভা এডিসন একদিন দুই দিন বা তিন দিনে নয়, তার বৈদ্যুতিক বাতি আবিষ্কারের তাগিদে শুধুমাত্র বাতির জন্য একটা উপযুক্ত ফিলামেন্ট তৈরি করতে প্রায় তিন হাজার বার চেষ্টা করে তারপর সফল হতে হয়েছে। তাই তিনি বৈদ্যুতিক বাতির আবিষ্কারক হতে পেরেছিলেন।

সর্বকালের সেরা বক্তা হিসেবে সবাই চেনে ডেল কার্নেগীকে। তিনি প্রথমবার মঞ্চে দাঁড়িয়ে দুমিনিটের বেশি থাকতে পারেননি, এই বিষয়টা তিনি মানতে পারেননি। তাই তিনি রাতের নির্জনে ও ফাঁকা রুমে ঘণ্টার পর ঘণ্টা একা একা নিজের সাথে কথা বলে যেতেন। বৈদ্যুতিক খুঁটির সামনে দাঁড়িয়ে বক্তৃতা করতেন। এভাবে চেষ্টা কারণে এখন সারা বিশ্ব তাকে সর্বকালের সেরা বক্তা হিসেবেই জানে!

বহুভাষাবিদ ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ বুড়ো বয়সেও তিনি এমন ছিলেন যে, একদিনের ঘটনা। সকালে লাইব্রেরিতে ঢুকলেন। সারাদিন গেল পড়তে পড়তে। এদিকে রাতের তিনটা বাজার পরও বাসায় না ফেরায় পরিবার খোঁজাখুঁজি করতে লাগল। খোঁজ করতে করতে লাইব্রেরির দারোয়ানকে নিয়ে লাইব্রেরিতে এলেন। দারোয়ান তো বন্ধ করার নির্দিষ্ট সময়ে বন্ধ করে চলে গিয়েছিল। রাত তিনটায় লাইব্রেরির তালা খুলে দেখা গেল লাইব্রেরির এক কোনে তিনি তখনও পড়ছেন। তাকে যখন লাইব্রেরি থেকে বের করে আনা হল। আফসোস করে তখন তিনি বলছেন, “তোমাদের জন্য ঠিক মতো পড়তেও পারলাম না। আর একটু পড়লে কি এমন হতো?” এই হল ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ। তিনি এমনি এমনি বিশ্বের বাইশটি ভাষা জানতেন না। কতটা পরিশ্রম করতেন এতেই বুঝা যায়।
আর বন্ধুরা তোমাদের এমনি এমনিই কি সাফল্য ললাটে ছুঁবে?
ব্যর্থতা আসবে, হতাশা দিশেহারা করবে।
তবে সব কিছু মাড়িয়ে যে চেষ্টা, পরিশ্রম ও আত্মবিশ্বাসে সামনে আগাবে সফলতার মখমলে উজ্জ্বলতা তাকেই রাঙাবে।
জীবন হবে সার্থক।
শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন