শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

ক্ষমা চাইলেন আরডার্ন

বেশি নজরদারির ফাঁকেই ক্রাইস্টচার্চ হামলা : রিপোর্ট

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৯ ডিসেম্বর, ২০২০, ১২:০২ এএম

নিউ জিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দুটি মসজিদে হামলার আগে নিরাপত্তাজনিত বেশ কিছু ব্যর্থতার দিক ছিল বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে হত্যাকাÐের ঘটনায় নিযুক্ত তদন্ত দল, কিন্তু এসব সত্তে¡ও শোচনীয় এ ঘটনাটি এড়ানো যেত না বলে সিদ্ধান্ত টেনেছে তারা। প্রতিবেদনে বেশি নজরদারির ফাঁকেই ক্রাইস্টচার্চ হামলা হয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বিবিসি জানিয়েছে, অস্ট্রেলীয় শ্বেতাঙ্গ বর্ণবাদী ব্রেন্টন ট্যারেন্ট ২০১৯ সালের মার্চে ওই দুটি মসজিদে হামলা চালিয়ে ৫১ জনকে হত্যা করার পর এই তদন্ত শুরু করা হয়েছিল। তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিউ জিল্যান্ডের নিরাপত্তা সংস্থাগুলো ‘প্রায় একচেটিয়াভাবে’ ইসলামি সন্ত্রাসবাদের হুমকি মোকাবেলার ওপর জোর দিয়েছিল আর কর্তৃপক্ষের আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স পরীক্ষা করার বিষয়টি অবহেলা করার সুযোগে ট্যারেন্ট প্রচুর অস্ত্রের মজুদ গড়ে তুলেছিলেন। তবে এসব ব্যর্থতা সংশোধন করার পরও ওই বর্ণবাদীকে আক্রমণ চালানো থেকে বিরত রাখা যেত না বলে প্রতিবেদনে মন্তব্য করা হয়েছে। নিউজিল্যান্ডে গত বছর দুটি মসজিদে এক সাদা শ্রেষ্ঠত্ববাদীর এলোপাতাড়ি গুলিতে ৫১ মুসল্লি নিহত হওয়ার আগে দেশটির নিরাপত্তা সংস্থা ‘প্রায় একতরফাভাবে’ সম্ভাব্য ইসলামি সন্ত্রাসবাদের প্রতি জোর দিয়েছিলেন। দেশটিতে সবচেয়ে ভয়াবহ এ হামলা নিয়ে একটি প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়, অস্ট্রেলীয় বন্দুকধারী ব্রেন্টন ট্যারেন্টকে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স দেয়ার আগে যথাযথ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে না পারার ব্যর্থতার জন্য পুলিশের সমালোচনা করেছে রয়েল কমিশন অব ইনকোয়ারি। ২০১৯ সালের ১৫ মার্চের ওই হত্যাকাÐ তারা প্রতিরোধ করতে পারত কিনা; এ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিবেদন প্রকাশের পর নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্দা আরডার্ন বলেন, এসব ইস্যু হামলা প্রতিরোধ করতে পারত কিনা; এ নিয়ে কমিশন কোনো অনুসন্ধান করেনি। তথাপি, এখানে উভয়ের ব্যর্থতা আছে। যে কারণে আমি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। ট্যারেন্টকে প্যারোলবিহীন যাবজ্জীবন কারাদÐ দিয়েছেন আদালত। হামলার পর মুসলমানদের প্রতি সহানুভ‚তিশীল আচরণ করায় বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছিলেন আরডার্ন। ওই অস্ট্রেলীয় সন্ত্রাসীর ব্যবহার করা উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন আধা-স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রের বিক্রি তিনি দ্রæতগতিতে নিষিদ্ধ করেন। অনলাইন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে একটি বৈশ্বিক আন্দোলনও শুরু করেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী। তবে হেট-ক্রাইম বা বিদ্বেষমূলক অপরাধ বৃদ্ধি পাওয়া নিয়ে মুসলমান স¤প্রদায়ের কাছ থেকে বারবার সতর্ক করা হলেও তাতে গুরুত্ব না দেয়ায় কর্তৃপক্ষের সমালোচনা করা হয়েছে। ৮০০ পাতার প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসলামি সন্ত্রাসবাদের হুমকির ওপর অসঙ্গতভাবে মনোযোগ দেয়া হয়েছিল। কমিশনে দাখিল করা মুসলমানদের বিভিন্ন সংস্থার প্রতিবেদনে বর্ণনা করা হয়েছে, নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর টার্গেটে পরিণত হওয়ার পর তারা কেমন বোধ করেছেন এবং তাদের বিরুদ্ধে দেয়া হুমকিকে গুরুত্বের সঙ্গে নেয়া হয়নি। বিবিসি, রয়টার্স।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন