বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সম্পাদকীয়

সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য আবারও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি

রিন্টু আনোয়ার | প্রকাশের সময় : ৯ ডিসেম্বর, ২০২০, ১২:০২ এএম

দেশে এখন রাজনীতি বলতে কিছু নেই। বহু বছর ধরেই ক্ষমতাসীন দল কর্তৃক এক ধরনের নিয়ন্ত্রিত রাজনীতি চলছে। বিরোধীদলের রাজনীতি একেবারে ঘরে ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে। মাঝে মাঝে সরকার অনুমোদিত কিছু মানববন্ধন করলেও বড় ধরনের কোনো সভা-সমাবেশের অনুমতি দেয়া হচ্ছে না। ফলে বিরোধীদলের রাজনীতি সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে প্রেস কনফারেন্স ও বক্তব্য-বিবৃতির মধ্যে। করোনা এসে তাদের রাজনীতিকে আরও সীমিত করে দিয়েছে। নিয়ন্ত্রিত এই রাজনৈতিক পরিস্থিতিতেও মাঝে মাঝে কিছু চমক জাগানিয়া ঘটনা ঘটে। এর বেশির ভাগই সামাজিক সমস্যা সংক্রান্ত। তবে, এসব ঘটনার মধ্যেও কিছু রাজনৈতিক বক্তব্য-বিবৃতি চমক সৃষ্টি করে। যেমন যে তত্ত¡াবধায়ক সরকারের দাবীতে বৃহৎ বিরোধী দল বিএনপি ও তার জোট আন্দোলন-সংগ্রাম করতে গিয়ে সরকারের রোষানলে পড়ে একেবারে কোনঠাসা ও নিস্তেজ হয়ে পড়েছে এবং শেষ পর্যন্ত ক্ষমতাসীন দলের অধীনে জাতীয় নির্বাচনসহ স্থানীয় নির্বাচনগুলোতে অংশগ্রহণ করে পরাজিত হচ্ছে, তারাই এখন নতুন করে তত্ত¡াবধায়ক সরকারের দাবী করছে। পাশাপাশি সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরাও এখন মুখ খুলতে শুরু করেছে। স¤প্রতি সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) আয়োজিত এক ভার্চুয়াল গোলটেবিল বৈঠকে সংবিধান বিশেষজ্ঞ, আইনজীবী, শিক্ষক, গবেষক এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা তত্ত¡াবধায়ক সরকারের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেছেন। তারা বলেছেন, মানুষ ভোটকেন্দ্র থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়ায় দেশের গণতন্ত্র ক্ষতি হচ্ছে। গণতন্ত্র ‘কাল্পনিক’ রূপ লাভ করায় উগ্রবাদীদের উত্থান ঘটতে পারে। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে তত্ত¡াবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে এনে নাগরিকদের ভোটকেন্দ্রমুখী করতে হবে। একইসঙ্গে তারা সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে ‘বিরাজনীতিকরণ কমিশন’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। তারা বলেছেন, আগে দেখতাম সামরিক শাসকরা ক্ষমতা দখল করে বিরাজনীতিকরণ করেন, এখন বেসামরিক সরকারও ইসির সহায়তায় রাষ্ট্রকে বিরাজনীতিকরণ করেছে। তাদের এই গোলটেবিল বৈঠকের সপ্তাহখানেকের মধ্যেই বাম গণতান্ত্রিক জোটও নতুন করে নির্দলীয় তাদারকি তথা তত্ত¡াবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের কথা বলেছে। দেশের শান্ত রাজনৈতিক পরিবেশে হঠাৎ করে তত্ত¡াবধায়ক সরকারের প্রয়োজনীয়তার কথা বলার বিষয়টি অবশ্যই তাৎপর্যপূর্ণ এবং রাজনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণও বটে।


আমাদের দেশে দলীয় সরকারের অধীনে যে কখনোই নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হয় না, তা নতুন করে বলার কিছু নেই। কারণ, সরকার ও বিরোধী দলগুলোর মধ্যে আস্থা ও বিশ্বাসের অভাব রয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে একে অপরের প্রতি অবিশ্বাস ও আস্থাহীনতার কারণেই মূলত তত্ত¡াবধায়ক সরকার পদ্ধতির উৎপত্তি হয়েছিল। নব্বইয়ের গণআন্দোলন এবং এরশাদ সরকারের পদত্যাগের পর কার অধীনে নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এ নিয়ে এক ধরনের জটিলতা দেখা দেয়। সে সময় প্রধান দুই বিরোধীদলসহ সব বিরোধীদল একত্রিত হয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, কোনো রাজনৈতিক দলের অধীনে নির্বাচন না করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করা হবে। এই সিদ্ধান্ত থেকেই তত্ত¡াবধায়ক সরকারের থিওরি আবিষ্কৃত হয়। সর্বসম্মতিতে সিদ্ধান্ত হয়, তত্ত¡াবধায়ক সরকারের প্রধান হবেন প্রধান বিচারপতি। তিনি বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্টজনদের নিয়ে সরকার পরিচালনার জন্য ছোট পরিসরে একটি তত্ত¡াবধায়ক সরকার গঠন করবেন। এই সরকারের মূল কাজ হবে তিন মাসের মধ্যে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দেয়া। এ সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে যে দল বিজয়ী হবে, তার হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে বিদায় নিবে। তত্ত¡াবধায়ক সরকারের সেই পদ্ধতিতে বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে প্রথম তত্ত¡াবধায়ক সরকার গঠিত হয়েছিল। তার নেতৃত্বাধীন সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের আগে সবাই ধরেই নিয়েছিল আওয়ামী লীগ নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় আসছে। আওয়ামী লীগও নিশ্চিত ছিল সে ক্ষমতায় আসছে এবং দলটি একটি ছায়া মন্ত্রীসভাও গঠন করে ফেলেছিল। সে সময় দলটির কোনো কোনো নেতা মন্ত্রী হবেন, এ আশায় স্যুট-কোটও বানাতে দিয়েছিলেন বলে শোনা যায়। অন্যদিকে, বিএনপি ধরেই নিয়েছিল সে বিরোধী দলের আসনে বসছে। দলটির নেতা-কর্মী থেকে শুরু করে সমর্থকদের মনেও একই মনোভাব ছিল। বিষয়টি এমন হয়ে দাঁড়িয়েছিল, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসছে, বিএনপি বিরোধী দল হচ্ছে। নির্বাচন শেষে দেখা গেল, অপ্রত্যাশিত ও অকল্পনীয়ভাবে আওয়ামী লীগ হেরে গেছে এবং বিএনপি জিতে গেছে। আওয়ামী লীগের জন্য এ যেন বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো হয়ে দাঁড়ায়। দলটির নেতারা বিক্ষুদ্ধ হয়ে বলে বসেন, নির্বাচনে ‘সূ² কারচুপি’ হয়েছে। তবে দেশে-বিদেশে নির্বাচনটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হিসেবে বিবেচিত হওয়ায় আওয়ামী লীগের এ দাবী ধোপে টিকেনি। দলটিও শেষ পর্যন্ত তা মেনে নিয়ে বিরোধী দলের আসনে বসে। পরবর্তীতে তত্ত¡াবধায়ক সরকারের বিষয়টি সংবিধান সংশোধন করে যুক্ত করা হয়। সেই থেকে প্রতি পাঁচ বছর পর পর তত্ত¡াবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে আসছিল। তবে ক্ষমতায় যেই দলই ছিল সে দল তত্ত¡াবধায়ক সরকারে তার অনুগত লোকজন যাতে আসতে পারে, এমন ক‚টকৌশলও অবলম্বন করে। তারপরও তত্ত¡াবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনগুলো অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হয়ে আসছিল। ভোটাররাও উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিয়ে তাদের পছন্দের দল ও প্রার্থীকে নির্বাচিত করে। সমস্যা বাঁধে ২০০৭ সালের তত্ত¡াবধায়ক সরকার গঠন নিয়ে। বিরোধী দল আওয়ামী লীগ মনে করে ক্ষমতাসীন বিএনপি জোট তাদের অনুগতদের নিয়ে তত্ত¡াবধায়ক সরকার গঠন করেছে এবং এ সরকারের অধীনে নির্বাচন কোনোভাবেই করা যাবে না বলে অসহযোগ আন্দোলনসহ জ্বালাও-পোড়াও আন্দোলন শুরু করে। এক পর্যায়ে সামরিক বাহিনীর হস্তক্ষেপে ‘ওয়ান-ইলাভেন’ নামে পরিচিতি পাওয়া সরকার গঠিত হয়। তত্ত¡াবধায়ক সরকারকে সামনে রেখে নেপথ্যে থেকে সামরিক বাহিনী সরকার পরিচালনা করা শুরু করে। এই সরকার ক্ষমতায় এসেই এক ধরনের বিরাজনীতিকরণ প্রক্রিয়া শুরু করে। দুই প্রধান নেত্রীকে গ্রেফতার করে গৃহবন্দী করে। পাশাপাশি দুই দলের মধ্যে প্রথম সারির কিছু নেতাদের দিয়ে সংস্কারের রাজনীতি চালু করে এবং দুই নেত্রীকে বাদ দিতে ‘মাইনাস টু’ ফর্মুলা সৃষ্টি করে। দুই দলের এসব নেতারা তখন সংস্কারপন্থী হিসেবে আখ্যায়িত হন। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মূল ধারার নেতৃবৃন্দ এবং নেতা-কর্মীরা এর বিরুদ্ধে প্রবল প্রতিরোধ গড়ে তুললে সরকার দুই নেত্রীকে মুক্তি দেয় এবং নির্বাচন দিতে বাধ্য হয়। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দুই তৃতীয়াংশ আসনে জয়লাভ করে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। বিএনপি পায় মাত্র ৩৭টি আসন। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেই তত্ত¡াবধায়ক সরকার বাতিল করার উদ্যোগ নেয়। তার যুক্তি, অনির্বাচিত সরকার দিয়ে নির্বাচন করলে গণতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করবে না। দলীয় সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। দলটি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারতসহ বিভিন্ন দেশের দলীয় সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের উদাহরণ দিয়ে যুক্তি দাঁড় করায়। তবে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন যে সুষ্ঠু হবে না, তা বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো তো বটেই সুশীল সমাজও সে সময় বিশ্বাস করেনি। তাদের বিরোধিতার কারণে ক্ষমতাসীন মহাজোট সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলসহ সুশীল সমাজের লোকজনের মতামত জানাতে একটি কমিটি গঠন করেছিল। এ কমিটিতে গিয়ে প্রধান বিরোধী দল বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা তত্ত¡াবধায়ক সরকারের পক্ষেই মত দেয়। এর মধ্যে উচ্চ আদালত তত্ত¡াবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিল করে রায় দেয়। তবে পরবর্তী এক টার্ম নির্বাচন তত্ত¡াবধায়ক সরকারের অধীনে হতে পারে বলে মত দেয়। ক্ষমতাসীন সরকার অনেকটা তড়িঘড়ি করেই আদালতের রায় মানতে হবে বলে সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত¡াবধায়ক সরকার বাতিল করে দেয়। আদালতের দেয়া এক টার্ম নির্বাচন তত্ত¡াবধায়ক সরকারের অধীনে হতে পারে বলে যে মতামত ব্যক্ত করেছিল, তা উপেক্ষা করে যায়। তত্ত¡াবধায়ক সরকার বাতিল হওয়ার পর বিশ দলীয় জোটের প্রবল আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্যেই ক্ষমতাসীন দলের অধীনে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনটি ছিল ইতিহাসে নজিরবিহীন। নির্বাচনের আগেই ১৫২টি আসনে ক্ষমতাসীন মহাজোটের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় নির্বাচিত হয়ে যায়। ভোটের দিন অধিকাংশ ভোট কেন্দ্র ফাঁকা হয়ে পড়ে। এ নির্বাচনকে বিশেষজ্ঞরা ‘বিনা ভোটে’র নির্বাচন হিসেবে আখ্যায়িত করেন। দেশে-বিদেশে নির্বাচনটি প্রশ্নবিদ্ধ হয়। ক্ষমতাসীন দল সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টির কথা বলে এটিকে জায়েজ করার প্রক্রিয়া চালায়। এছাড়া উপায় ছিল না বলে বক্তব্য দেয়। মহাজোটের কেউ কেউ একে নিয়ম রক্ষার নির্বাচন বলে অচিরেই সব দলের অংশগ্রহণে আরেকটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করা হবে বলেও বক্তব্য দেয়। অন্যদিকে বিরোধী দলের আন্দোলন দমাতে সরকার কঠোর অবস্থান নেয়। দমন-নির্যাতনের পথ বেছে নেয়। বিরোধী দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দসহ হাজার হাজার নেতা-কর্মী গ্রেফতার ও মামলা দেয়া হয়। এতে সরকার সফলও হয়। পরবর্তীতে ক্ষমতাসীন দলের অধীনে উপনির্বাচনসহ স্থানীয় পর্যায়ের সব নির্বাচন হলেও তা একতরফা হয়ে পড়ে। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচনে বিরোধী দল বিএনপির নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলেও তা এক অভিনব প্রক্রিয়ায় অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনের আগের রাতে ক্ষমতাসীন দলের অনুক‚লে ব্যালট বাক্স ভর্তি করে রাখা হয়। নির্বাচনে ক্ষমতাসীন মহাজোট নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়, অন্যদিকে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্ট পায় মাত্র ৯টি আসন। এ নির্বাচনকে বিরোধী দলগুলো ‘ভোট ডাকাতি’র নির্বাচন হিসেবে আখ্যায়িত করে। দেশে-বিদেশে নির্বাচনটি প্রশ্নবিদ্ধ হলেও ক্ষমতাসীন দল তাতে কোনো কর্ণপাত করেনি।

আমাদের দেশে ক্ষমতাসীন দলের অধীনে যে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হয় না, তা তত্ত¡াবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিল করার পর থেকেই তা প্রমাণিত হয়েছে। ভোটাররা ভোটবিমুখ হয়ে পড়েছে। এমনকি ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের অনেকে ভোট দিতে যায় না। তারা আগে থেকেই জানে, ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীই বিজয়ী হবে। দেশের বিরোধী রাজনৈতিক দল থেকে শুরু করে সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও সচেতন মহলও এখন বলছে, দলীয় সরকারের অধীনে প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন গণতন্ত্রের জন্য যেমন হুমকি, তেমনি দেশকে বিরাজনীতিকরণের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এ পরিস্থিতি চলতে থাকলে দেশে অনাকাক্সিক্ষত শক্তির উত্থান ঘটতে পারে, যা কারো জন্যই মঙ্গলজনক হবে না। এ আশঙ্কার কারণেই বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপি, বাম দলীয় জোটসহ সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা ভোটারদের ভোটকেন্দ্রমুখী করে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য পুনরায় তত্ত¡াবধায়ক সরকারের কথা গুরুত্ব সহকারে বলছেন। নির্দলীয় তত্ত¡াবধায়ক সরকার ফিরিয়ে আনার পরামর্শ দিচ্ছেন। এছাড়া দেশে ভোটারদের উৎসবমুখর পরিবেশে নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান করা সম্ভব নয়।
লেখকঃ সাংবাদিক ও কলামিস্ট।

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন