শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

চরম আরব-বিদ্বেষী ইসরায়েলি ফুটবল ক্লাব কিনল আমিরাতের রাজ পরিবার

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৯ ডিসেম্বর, ২০২০, ৪:০৩ পিএম

সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাদশাহর ছেলে শেখ হামাদ বিন খলিফা আল নাহিয়ান এমন এক ইসরায়েলি ফুটবল ক্লাবের অর্ধেকটা মালিকানা কিনে নিয়েছেন, যে ক্লাবটির দীর্ঘ আরব-বিদ্বেষের ইতিহাস রয়েছে। বেইতার জেরুযালেম নামের এই ক্লাবটিতে আগামী ১০ বছরে ৯২ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবেন শেখ হামাদ বিন খলিফা আল নাহিয়ান। এই ক্লাবটি পরিচিত 'উগ্র' সমর্থকগোষ্ঠীর জন্য, যারা 'লা ফ্যামিলিয়া' নামে পরিচিত। যারা আরবদের প্রতি সরাসরি বর্ণবাদী।

ক্লাবটির স্টেডিয়ামে 'আরবদের মৃত্যু' এমন শ্লোগান শোনা যেত নিয়মিত। ক্লাবটির মালিকরা কখনোই আরব বা মুসলিম ফুটবলার কিনতেন না।
২০১৩ সালে দুজন চেচেন মুসলিম ফুটবলার কেনার পর, এই ক্লাবটির অফিস জ্বালিয়ে দেয়া হয়। লা ফ্যামিলিয়ার দুজন সদস্যকে আগুন জ্বালানোর জন্য গ্রেফতার করা হয়। তবে ২০১৮ সালে ক্লাবটির বর্তমান মালিক ইসরায়েলের প্রযুক্তি উদ্যোক্তা মোশে হোগেগ, বর্ণবাদ বিরোধী একটি প্রচারণা চালু করেন। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু এই ক্লাবটির সমর্থক।

সম্প্রতি মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) কে অপমান করে গাওয়া গান ইউটিউবে শেয়ার করেও আলোচনায় আসে বেইতার জেরুজালেমের সমর্থকরা।
১৯৬৭ সাল থেকে ফিলিস্তিন ইস্যুতে ইসরায়েলর সঙ্গে বিরোধিতা ছিল আরবদের। চলতি বছর প্রথম আরব দেশ হিসেবে বিতর্কিত রাষ্ট্রটির সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে আমিরাত।

শেখ হামাদের সঙ্গে এই নতুন চুক্তির পর কিছু সমর্থক বিরোধিতা করেছে। এখন আবুধাবির রাজকীয় এই পরিবার ক্লাবটির ৫০ শতাংশের মালিক।
মি. হোগেগ বলেন, এই চুক্তি হয়েছে ইহুদিদের হানুকা উৎসবের পরদিন। হানুকা হলো ইহুদিদের আলোর উৎসব এবং মি. হোগেগ তাদের ক্লাবে এই আরব শেখের বিনিয়োগকে বর্ণনা করছেন 'উত্তেজনাকর নতুন আলো' বলে।

"নতুন দিনে ক্লাবের স্বার্থে, জাতির স্বার্থে, ইসরায়েলি স্পোর্টসের স্বার্থে সহাবস্থান, অর্জন, ভাতৃত্ববোধের দিকে আগাচ্ছি।"
শেখ হামাদ বলেন, আমি রোমাঞ্চিত এই গৌরবময় ক্লাবের অংশীদার হতে পেরে। আমি এই শহর সম্পর্কে অনেক শুনেছি, বিশ্বের অন্যতম পবিত্র শহর।
তিনি আরো বলেন, এই ক্লাবে যেসব পরিবর্তন আসছে তা আমার জানা আছে। যেভাবে সব চলছে আমি এর ভাগীদার হতে পেরে খুশি।
শেখ হামাদ জেরুযালেম নিয়ে যা বলেছেন তা বিতর্কসাপেক্ষ, ইসরায়েলের এই শহরটি প্যালেস্টাইনের সাথে ইসরায়েলের দ্বন্দ্বের কেন্দ্রস্থল।
১৯৬৭ সালে মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধে ইসরায়েল পূর্ব জেরুযালেম দখল করে নেয়। পুরো শহরটিকে ইসরায়েলের রাজধানী ঘোষণা করে। এটি সমর্থন করেছে কেবলমাত্র- ট্রাম্প প্রশাসন, গুয়াতেমালা এবং হন্ডুরাস। ফিলিস্তিন পূর্ব জেরুাজালেমকে তাদের ভবিষ্যৎ সার্বভৌম রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে দাবি করে আসছে। সূত্র : বিবিসি

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
a aman ৯ ডিসেম্বর, ২০২০, ৫:০৫ পিএম says : 0
Emirate king and the sauidi MBS is biggest problem for Arabs and Islam . These two will hurt islam more then laden or any other terror did in the past. Because these two ....... are just after a new war this is called shia-sunny war . Israel is just trying to set this war up to keep these crazy dogs busy biting each other.Thus wail destroy Islam as a religion forever and change the world map. India will be new upcoming super power rule middle east.
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন