ভঙ্গুর অর্থনীতি ও করোনা মহামারী মোকাবেলা করে পাকিস্তানকে উন্নয়নের ধারায় ফিরিয়ে সারা বিশ্বেই প্রশংসিত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তার পরেও তার বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ এনে একজোট হয়েছে বিরোধীরা। সময়ের আগেই দেশে সাধারণ নির্বাচন চেয়ে চলতি মাসের শেষে আইনসভা থেকে একযোগে পদত্যাগের হুমকিও দিয়েছে বিরোধী জোট। তবে প্রতিহিংসার পথে না যেয়ে সম্প‚র্ণ গণতন্ত্র দিয়েই তাদেরকে পাল্টা জবাব দিয়েছেন ইমরান খান।
বৃহস্পতিবার বিরোধী শিবিরকে পাল্টা চাপে ফেলে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান-এর চ্যালেঞ্জ জানালেন, ক্ষমতা থাকলে সংসদে অনাস্থা প্রস্তাব এনে তাকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিক বিরোধীরা। দেশকে একাধিক সঙ্কট থেকে বের করতে চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি তিনি রাজনৈতিক আলোচনা চালিয়ে যেতে চান বলেই এ দিন জানিয়ে দিয়েছেন ইমরান। সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ (নওয়াজ)-সহ অন্য বিরোধীরা অভিযোগ করে আসছেন, সেনা এবং পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের মদতে ইমরান ভোটে জিতেছেন। শুরুতে বিষয়টিকে গুরুত্ব না দিলেও গত কয়েক মাসে ক্রমশ দানা বেঁধেছে বিরোধী জোট। করোনা মহামারি ও অর্থনৈতিক সমস্যা মোকাবেলায় ইমরান সরকারের ব্যস্ততাকে কাজে লাগিয়ে জোট বেধে তাকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছেন বিরোধীরা। ক’দিন আগেই ১১টি বিরোধী দলের জোটের পিএমএল (এন) নেত্রী তথা নওয়াজ-কন্যা মরিয়ম জানিয়েছেন, এ মাসের শেষে বিরোধী প্রতিনিধিরা আইনসভা থেকে একযোগে পদত্যাগ করবেন। সব মিলিয়ে চাপ বাড়ছে ইমরান খানের সরকারের উপরে।
এতদিন বিরোধী শিবিরের উপরে কোন প্রতিহিংসা না দেখিয়ে বরং উদারতা দেখিয়ে পাকিস্তানের উন্নয়নের পথে নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন তিনি। তবে পরিস্তিতি জটিল হয়ে উঠতে থাকায় এবার সম্পূর্ণ রাজনৈতিকভাবে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। বিরোধীদের জোট বেঁধে পদত্যাগের হুমকি উড়িয়ে তার পাল্টা চ্যালেঞ্জ, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত কোমনও সরকারকে ফেলার সাংবিধানিক পথ হল, অনাস্থা প্রস্তাব এনে সরকারকে ফেলা। ক্ষমতা থাকলে বিরোধীরা তা করে দেখাক। তার এই চ্যালেঞ্জে পাল্টা চাপে পড়ে গিয়েছে বিরোধীরা। কারণ, ইমরানের সুযোগ্য নেতৃত্ব সারা বিশ্বেই প্রশংসিত। আগের সরকারগুলোর মতো তার বিরুদ্ধে কোন দূর্নীতির অভিযোগও নেই। পাকিস্তানকে ক্রিকেট বিশ্বকাপ জেতানো এই অধিনায়ক রাজনৈতিক নেতা হিসাবেও সাধারণ মানুষের কাছে খুবই জনপ্রিয়।
তবে উদারতার পরিচয় দিয়ে একই সঙ্গে আলোচনার দরজাও খুলে রেখেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী। কিছুটা নরম সুরেই তার বক্তব্য, তিনি সংসদে বিরোধীদের যে কোনও প্রশ্নের জবাব দিতে তৈরি এবং সাংবিধানিক পথে সংসদই যাবতীয় সমস্যায় পথ দেখাতে পারে। তাই যে কোনও রকম গণতান্ত্রিকভাবেই সকল সমস্যার সমাধান করা উচিত বলে মত তার। সূত্র : আউটলুক ইন্ডিয়া।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন