শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

তিউনিসিয়া থেকে বিপ্লব রফতানি হয়ে পৌঁছায় মিসরে

আরব বসন্তের সূতিকাগারেই হতাশা-বিক্ষোভ দানা বাঁধছে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৭ ডিসেম্বর, ২০২০, ১২:০১ এএম

দশ বছর আগের কথা। তিউনিসিয়ার শহর সিদি বোজিদে এক পুলিশ সদস্যের সঙ্গে তর্কের এক পর্যায়ে নিজের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন একজন ফল বিক্রেতা। দ্রুত মোহাম্মদ বোজাদি নামের ওই ফল বিক্রেতার গায়ে আগুন লাগিয়ে দেয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ে। দেশজুড়ে শুরু হয় বিক্ষোভ আন্দোলন। আর এরমধ্য দিয়েই সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে উত্থান হয় আরব বসন্তের। মিসর ও বাহরাইনেও শুরু হয় আন্দোলন। একের পর এক সরকারের পতন হয়। লিবিয়া, সিরিয়া ও ইয়েমেনে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। আরব বসন্তের সূতিকাগার তিউনিসিয়ার মানুষ এখন নিজেরাই তাদের নেতা পছন্দ করতে পারেন এবং প্রকাশ্যেই রাষ্ট্রের সমালোচনা করতে পারেন। তবে অনেকেই আছেন যারা মনে করেন এখনো তাদের স্বপন প‚রণ বাকি রয়ে গেছে। এ নিয়ে আরব বসন্তের প্রভাবশালী দার্শনিক আত্তিয়া আথমোনি বলেন, বিপ্লবে কিছু একটা ভুল হয়ে গেছে। সা¤প্রতিক সময়ে তিউনিসিয়ার কিছু অঞ্চলে আবারো বিক্ষোভ দেখা গেছে। কাজের অভাব, বৈষম্য ও রাষ্ট্রীয় সেবার দুরাবস্থাই তাদের এই ক্ষোভের কারণ। গত দশ বছরে অর্থনীতি প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আগায়নি। বৃহ¯পতিবার তিউনিসিয়াজুড়ে বড় বিক্ষোভ হতে পারে। এদিনই বোজাদির গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়ার বর্ষপ‚র্তি হবে। ওই ঘটনার পর ২০১১ সালের জানুয়ারির মধ্যেই হাজার হাজার মানুষ রাজধানীতে জড়ো হয়ে যায়। ২৩ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা শাসক জিনে আল-আবিদিন বেন আলির পদত্যাগ দাবি করে তারা। অবস্থা বুঝতে পেরে তিনি সউদী আরব পালিয়ে যান। সেখানে গত বছর তার মৃত্যু হয়। তিউনিসিয়া থেকে বিপ্লব রপ্তানি হয়ে পৌঁছায় মিসরে। সেখানে ৩০ বছর ধরে ক্ষমতায় আরেক স্বৈরশাসক হোসনি মোবারক। তাকে ক্ষমতা থেকে টেনে নামায় জনগণ। লিবিয়া, সিরিয়া ও ইয়েমেনকেও নাড়িয়ে দেয় এই উত্থান। তবে কিছু দেশে গণতন্ত্রের উত্থানের স্বপ্ন রক্তের স্রোতে পরিণত হয়। তিউনিসিয়ার গণতন্ত্রের পথে হাঁটা অনেক বেশি সহজ হয়েছিল। যদিও দেশটির অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। গণতান্ত্রিক নেতারা অক্ষম হয়ে আছেন। তিউনিসিয়ার মানুষ এখন অবৈধভাবে দেশ ত্যাগ করতে চাইছে। বেকার তরুণরা জিহাদের পথে পা বাড়াচ্ছে। ফ্রান্সের চার্চে হামলাকারি জিহাদিও তিউনিসিয়ার নাগরিক ছিল। রয়টার্স।

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন