মানবপাচার বন্ধ করতে হলে প্রতিটি ভিসার বিপরীতে বিদেশে অভিবাসীদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে হবে। অভিবাসীদের দালালদের প্রতারণা থেকে সুরক্ষায় নিবন্ধিত রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে শ্রম অভিবাসন নিশ্চিত করতে হবে। যাতে প্রত্যেক অভিবাসী শ্রমিক বিদেশের মাটিতে প্রতিশ্রুত চাকরি বেতন এবং আবাসন ও বিমা সুবিধা পায়। হাইকমিশনার বলেন, নিয়োগকারী কোম্পানি কোন অভিবাসী শ্রমিকের অধিকার লঙ্ঘন করলে সংশ্লিষ্ট আইনের আওতায় প্রতিকার বিধান করতে হবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দক্ষতাভিত্তিক নিরাপদ এবং নৈতিক অভিবাসনের উপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
তাই বিদেশগামী প্রত্যেক বাংলাদেশি কর্মীকে উপযুর্ক্ত দক্ষতা নিয়ে বিদেশে গমন করতে হবে। অন্যথায় ”মুজিববর্ষের আহ্বান, দক্ষ হয়ে বিদেশ যান” স্লোগানের প্রতি সুবিচার করা হবে না। আজ শুক্রবার আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস উপলক্ষে ব্রুনাইস্থ বাংলাদেশ হাই কমিশনের উদ্যোগে বন্দর সেরি বেগাওয়ানের অদূরে জেরুডং এলাকার রয়্যাল বার্কশায়ারের কান্ট্রি ক্লাবে আয়োজিত আলোচনায় সভায় সভাপতিত্বে বক্তব্যে ব্রুনাই দারুস্সালামে নবনিযুক্ত হাই কমিশনার নাহিদা রহমান সুমনা এসব কথা বলেন। ব্রুনাইস্থ বাংলাদেশ হাই কমিশনের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানানো হয়েছে।
বিভিন্ন দেশের বিপুল সংখ্যক কূটনৈতিকদের উপস্থিতিতে ব্রুনাই শ্রমকল্যাণ উইং-এর প্রথমসচিব জিলাল হোসেন বাংলাদেশিদের ব্রুনাইতে অভিবাসন: প্রেক্ষিত ও চ্যালেঞ্জ একটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। অনুষ্ঠানের আলোচনাপর্ব শেষে হাই কমিশনার নাহিদা রহমান সুমনা ব্রুনাই থেকে বাংলাদেশে ১ লক্ষ মার্কিন ডলারের অধিক রেমিটেন্স প্রেরণকারী শীর্ষ ৮ জন প্রবাসী মোহাম্মদ লিয়াকত আলী, মোম্মাদ বোরহান উদ্দিন হায়দার, একেএম জসিম উদ্দিন, মো. কাজী জসিম উদ্দিন, মো. আশরাফ আলি, মো. শাহজালাল মাসুদ, মোহাম্মদ দুলাল হোসেনের হাতে সম্মাননা স্মারক এবং প্রশংসাপত্র তুলে দেন। উল্লেখ্য, ব্রুনাইতে প্রায় ২৫ হাজার বাংলাদেশি বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত রয়েছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন