শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৯ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

পাখির কলতানে মুখরিত সবুজ বন

রাঙ্গুনিয়ার রাসেল পার্ক

নুরুল আবছার চৌধুরী, রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) থেকে : | প্রকাশের সময় : ২১ ডিসেম্বর, ২০২০, ১২:০১ এএম

দীর্ঘ ৮ মাস বন্ধ থাকার পর খুলে দেয়া হয়েছে রাঙ্গুনিয়ার একমাত্র বিনোদন কেন্দ্র শেখ রাসেল এভিয়ারী এন্ড ইকো পার্ক। পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে নানামুখী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। পর্যটকরা অনায়াসে ঘুরে বেড়ানোর জন্য কৃত্রিম লেক, আড়াই কিলোমিটার ক্যাবল কার, দেশি-বিদেশি পাখির অভয়ারণ্য, চিড়িয়াখানাসহ বিভিন্ন বিনোদনের ব্যবস্থা রয়েছে।

চট্টগ্রাম থেকে বেড়াতে আসা কলেজ ছাত্রী আফরোজা খানম বলেন, পার্কে গড়ে তোলা হয়েছে মিনি চিড়িয়াখানা। সবুজ পাহাড়ের কোলে বিশাল কৃত্রিম হ্রদ। হ্রদে বিভিন্ন প্রজাতির পাখির মিলন মেলা। পাহাড়ি বনে শতশত পাখি উড়ে বেড়াচ্ছে। পাখিদের কিচির-মিচির শব্দে মুখরিত পুরো এলাকা। পাখির কলতানে মুখরিত সবুজ বন। আর মাথার সিঁথির মতো এ বনের ফাঁক গলে বয়ে চলা বুনো পথে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বিনোদন পিয়াসী মানুষ।

চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের রাঙ্গুনিয়া রেঞ্জের কোদালা বিট এলাকার ৫২০ একর রিজার্ভ বনভ‚মি নিয়ে শেখ রাসেল এভিয়ারি এন্ড ইকোপার্ক গড়ে তোলা হয়েছে। পার্কের অভ্যন্তরে আড়াই কিলোমিটার দীর্ঘতম ক্যাবল কার (রোপওয়ে)। প্রতি সেকেন্ডে ৩.৫ মিটার হাই স্পিডে লোয়ার স্টেশন থেকে ১.২ কিলোমিটার দূরত্বের ৭ মিনিটে আপার স্টেশনে পৌঁছাতে পারছে। আসা-যাওয়ায় সময় লাগছে ১৫ মিনিট। পর্যটকরা আপার স্টেশনে পৌঁছে সেখানে পক্ষিশালার অন্যান্য বিনোদনের ইভেন্টগুলো উপভোগ করতে পারছে।

প্রতিটি কেবিনে ৬ জনের সিট রয়েছে। মোট ১২টি কেবিন লোয়ার স্টেশন থেকে আপার স্টেশনে আসা-যাওয়া ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়া পার্কে সড়ক, কৃত্রিম লেক, রিটার্নিং ওয়াল, গেস্ট হাউজ, ফুট ব্রিজ, গুহা, পাখি, ময়ূর ও হরিণসহ বিভিন্ন দেশি-বিদেশি পক্ষিকুল বিচরণের খাঁচা, এ্যামিউজমেন্ট, গোলঘর, দোলনা, সিস্নপিংসহ নির্মাণ করা হয়েছে মনোরম পিকনিক স্পট।

খুলনা থেকে বেড়াতে আসা দম্পতি মো. হাসান ও জেসমিন বলেন, বিশাল হ্রদের উপর দিয়ে ছুঁটে চলছে ক্যাবল কার। ক্যাবল কারে চড়ে শতফুট উপর থেকে অনায়াসে প্রাকৃকিত সৌন্দয্য উপভোগ করতে পারছে পর্যটকরাা। পাহাড়ের বাঁকে বাঁকে গড়ে তোলা হয়েছে বসার তোরণ। পার্কের অন্যতম আকর্ষন হচ্ছে লোহার ব্রিজ বেয়ে কৃত্রিম দ্বীপের চারপাশের জলরাশি ও প্রাাকৃতিক সৌন্দয্যে উপভোগ করা যায়।

ইকোপার্কের কর্মরত স্টাফ মে. ফোরকান বলেন, লেকের উপর দিয়ে ছুঁটে চলা ক্যাবল কার ও দেশি-বিদেশি পাখির মিলন মেলা পর্যটকদের বাড়তি আনন্দ দিচ্ছে। প্রাকৃতিক অপরূপে ভরপুর, আঁকা বাঁকা সবুজ পাহাড় ও কৃত্রিম হ্রদের চর্তুর পাশে ঘুঁরে বেড়ানো আনন্দই আলাদা।
শেখ রাসেল এভিয়ারি এন্ড ইকো পার্কের ফরেস্টার মো. হাসিবুর রহমান বলেন, পর্যটক ও প্রাকৃতি প্রেমিদের কথা বিবেচনা করে সবুজ পাহাড়ের কোলে ইকো পার্কটি গড়ে তোলা হয়েছে। বন বিভাগের নিজস্ব নিরাপত্তা জোরদার সহ অনায়াসে ভ্রমণের সু-ব্যবস্থা রয়েছে। ইতিমধ্যে বিনোদন প্রেমিদের পদচারণায় পার্কটি মুখরিত হয়ে উঠছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন