শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

রাতের আঁধারে ফসলি জমিতে পুকুর খনন

তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ২১ ডিসেম্বর, ২০২০, ১২:০১ এএম

সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় ধান উৎপাদনের একটি এলাকা। এ উপজেলার উৎপাদিত ধান এলাকার চাহিদা মিটিয়ে জাতীয় খাদ্য চাহিদা পূরণ হয়। কিন্ত এই ইতিহাস অনেকটা বিলীন হতে চলেছে। শস্য ভান্ডার বলে খ্যাত তাড়াশ উপজেলায় রাতের আঁধারে কৃষি আবাদযোগ্য জমি কেটে পুকুর কাটার হিড়িক পড়েছে। কিছু অসাধু মুনাফালোভী ব্যবসায়ী কৃষকদের নানা প্রলোভন দেখিয়ে পুকুর কেটে ফসলি জমি সাবাড় করছে। এমনকি পুকুর কাটার উপর উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা আমলে নিচ্ছে না কৃষকরা।

প্রশাসন বিভিন্নভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করলেও তা মানছে না। এমনকি কড়াকড়ি নির্দেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কৃষি আবাদযোগ্য জমিতে অনায়াসে কাটা হচ্ছে একের পর এক পুকুর। এতে করে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় হাজার হাজার বিঘা জমি পানিবদ্ধতা হয়ে পড়ছে। খাল, ব্রিজ ও পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ করে ফেলায় দেখা দিয়ে জলাবদ্ধতা। জানা যায়, নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে পুকুর কাটার কারণে তাড়াশ উপজেলায় এবছর বিভিন্ন গ্রামের ফসলি মাঠে বর্ষার পানি বের হতে না পারায় কৃষকেরা চাষাবাদ করতে পারছেন না। এমনকি গত বছরের তুলনায় রবি শস্য ফসল আবাদ কমেছে অনেক।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার দেশীগ্রাম ইউনিয়নের মাঝদক্ষিনা গ্রামের কলি মাস্টারের ছেলে সোহেল রানা রাতের অন্ধকারে মাঝদক্ষিনা উচ্চ বিদ্যালয়ের পেছনে প্রায় ১৪ বিঘা আয়তনের পুকুর কাটছে। এছাড়া একই ইউনিয়নের আড়ংগাইল, তাড়াশ পৌর সদরের কোহিত গ্রাম, কাউরাইল, চৌবাড়িয়া, মাগুড়া বিনোদ, দিঘীসগুনা, ঘরগ্রাম, মাধাইনগর ও উলিপুরসহ বেশ কয়েকটি গ্রামে পুকুর খনন করছে হরদমভাবে। উপজেলার তাড়াশ সদর ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামে মীর শহিদুল ইসলাম শহিদ বলেন, অবৈধভাবে পুকুর খনন করার জন্য বোয়ালিয়া, শ্রীকৃঞ্চপুর, মাধবপুর, সোলাপাড়াসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের কয়েক হাজার জমির মধ্যে পানি রয়েছে। পানি বের হতে না পারায় কৃষকেরা আবাদ করতে পারছে না। এর আগে মানববন্ধন করেছে এলাকার ক্ষতিগ্রস্থ কয়েক হাজার মানুষ। এমন কি মানববন্ধন শেষে একটি স্বারকলিপি দেয়া হয় ইউএনও’র কাছে।

উপজেলার কৃষক মো. আব্দুল মজিদ বলেন, আমার সাত বিঘা জমিতে বিগত দুই বছরে ধান আবাদ করে লোকসান হয়েছে। বিকল্প হিসেবে পুকুর কাটার চেষ্টা করি। কিন্তু অনুমতি নিতে অনেক ঝামেলা হওয়ায় নিয়মবর্হিভূতভাবে পুকুর খনন করেছি। উপজেলার আড়ংগাইল গ্রামের কৃষক হোসেন আলী বলেন, শুনেছি পুকুর কাটার বিষয়ে উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কিন্তু ধান আবাদ করে লোকসান হওয়ায় রাতের অন্ধকারে সবাইকে ম্যানেজ করে পুকুর কাটতেছি।

তাড়াশ উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ লুৎফুন্নাহার লুনা বলেন, বিগত ৫ বছরে কৃষি আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে। জমিতে পুকুর খনন করার ফলে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ফসলি মাঠ গুলোতে পানি নাম তে
সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল আজিজ বলেন, উপজেলা মাসিক মিটিংয়ে ফসলি জমিতে অবৈধভাবে পুকুর খনন বন্ধ করতে প্রশাসনকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তাছাড়া মাঠের মধ্যে পানিবদ্ধতা নিরশন করার জন্য ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন