মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

কর্তৃপক্ষের ভুলে তিন পরীক্ষার্থীর শিক্ষা জীবন অনিশ্চিত

প্রকাশের সময় : ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

বাউফল (পটুয়াখালী) উপজেলা সংবাদদাতা : পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কালাইয়া এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রের সহকারী সচিব হারুনুর রশিদের অজ্ঞতার কারণে তিন পরীক্ষার্থীর ভবিষ্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এ ঘটনা যাতে মিডিয়ায় কোনোভাবে প্রকাশ না পায় সে জন্য ওই পরীক্ষার্থীর অভিভাবকদের ও পরীক্ষার্থীদের প্রলোভন দেখানো হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ভুক্তভোগী অনিয়মিত ওই তিন পরীক্ষার্থী মালেক হোসেন, নাজিম উদ্দিন আলম এবং মো. হাসান সাংবাদিকদের জানায়, তারা ২০১৩-২০১৪ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র হিসেবে আসম ফিরোজ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কালাইয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ২০১৫ সালের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে বাংলা বিষয়ে অকৃতকার্য হয়। এ বছর পরীক্ষায় অংশ নিতে পরীক্ষা কক্ষে গেলে তাদের “২০১৪ সালের সিলেবাস অনুযায়ী” প্রশ্নপত্র দেন। ওই প্রশ্নের সাথে তাদের ২০১৫ সালে সিলেবাসের কোন মিল খুঁজে না পাওয়ায় ওই পরীক্ষার্থীরা তাৎক্ষণিকভাবে কক্ষ পরিদর্শক ও সহকারী সচিবকে বিষয়টি অবহিত করেন। কিন্তু তারা বিষয়টি কোনো পাত্তা না দিয়েই ওই প্রশ্ন দিয়েই পরীক্ষা দিতে হবে বলে সাফ জানিয়ে দেন। গত সোমবার রাতে আসম ফিরোজ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ক্যাজুয়াল পরীক্ষার্থী মো. মালেক হোসেন ও তার অভিভাবক সিদ্দিকুর রহমান, প্রধান শিক্ষক আ. রবসহ একাধিক শিক্ষক অভিযোগ করে বলেন, ২০১৫ সালে অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীরা এ বছরের প্রশ্নপত্রেই পরীক্ষা দেবেন এবং সেই অনুযায়ী পরীক্ষার্থীরা প্রস্তুতি নিয়েছিল। কিন্তু সহকারী সচিবের ভুলের কারণে ওই শিক্ষার্থীরা এবছরও ফেল করবে বলে আশংকা রয়েছে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সহকারী সচিব মো. হারুনুর রশিদ জানান, এরকম কোন ঘটনা আমার জানা নেই। ২০১৫ সালে অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীরা ২০১৪ সালের সিলেবাস অনুযায়ী প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দেবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, না তারা ২০১৫ সালের সিলেবাস অনুসারেই পরীক্ষা দেবেন। তা হলে ২০১৫ সালে অকৃতকার্য তিন জন পরীক্ষার্থীকে কেন ২০১৪ সালের সিলেবাস অনুযায়ী ছাপানো প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেয়া হলো এমন প্রশ্নের কোন উত্তর তিনি দেননি। উল্লেখ্য, এই সহকারী সচিব মো. হারুনুর রশিদ ২০১৫ সালে অনুষ্ঠিত এসএসসি পরীক্ষা চলাকালীন সাধারণ বিজ্ঞান বিষয়ের প্রশ্নপত্রের ফটোকপি দিয়ে পরীক্ষা নেয়ায় বোর্ড কর্তৃপক্ষ তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যহতি দিয়েছিলেন। কেন্দ্র সচিব ফেরদৌসি শিরিন জানান, আমি যথাযথভাবে সহকারী সচিবের কাছে প্রশ্নপত্র বুঝিয়ে দিয়েছি। এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহামুদ জামান বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের থেকে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মু. জিয়াউল হক এ প্রতিনিধিকে জানান, ক্ষতিগ্রস্ত পরীক্ষার্থী কিংবা তাদের অভিভাবক অভিযোগ করলে আমরা ব্যবস্থা নেব।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন