বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

গাজায় একদিনে অর্ধশতাধিক হামলা

প্রকাশের সময় : ২৪ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : একদিনেই ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় অর্ধশতাধিক হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। গাজার সাম্প্রতিক দুটি রকেট হামলার জবাবে ধারাবাহিক বিমান ও ট্যাংক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে তারা। তারই অংশ হিসেবে গত রোববারের ওইসব হামলা সংঘটিত হয়। উল্লেখ্য, ওইদিন গাজা থেকে ইসরাইলের রকেট ছোড়ার দাবি করেছে ফিলিস্তিন মুক্তি আন্দোলনের দুটি সংগঠন। ফিলিস্তিনি মুক্তি আন্দোলনের সশস্ত্র সংগঠন হামাস দাবি করেছে, ইসরাইল এ হামলার মধ্য দিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি করছে। এদিকে হামলা সম্পর্কে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা গেছে, ইসরাইল দুই ধাপে এবারের হামলা চালায়। প্রথমটি রকেট হামলার পরপরই পরিচালিত হয়। দ্বিতীয় হামলা হয় রাতে। এতে ইসরাইলের তিনটি যুদ্ধবিমান ও ট্যাংক গোলাবর্ষণ করে।
ফিলিস্তিন ভূখন্ডে সাম্প্রতিক সময়ের এই হামলা বৃদ্ধির পেছনে নতুন প্রতিরক্ষামন্ত্রীর উৎসাহ রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের আগ্রাসনের পর দীর্ঘদিন ধরেই গাজা উপত্যকায় বড় ধরনের হামলা চালায়নি ইসরাইল। তবে গাজার সাম্প্রতিক দুটি রকেট হামলার জবাবে একাধিকবার বিমান ও ট্যাংক হামলা চালিয়েছে তারা। শুধু গত রোববারই অবরুদ্ধ ওই উপত্যকায় হামলা চালায় ইসরাইল। খবরে বলা হয়, সম্প্রতি দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে কট্টর ডানপন্থী আবিগডর লেবারম্যান দায়িত্ব নেয়ার পর এইসব হামলা সংঘটিত হলো। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আগ্রাসন জোরালো হওয়ার নেপথ্যে তার ভূমিকা রয়েছে। সাম্প্রতিক হামলাগুলোর মধ্য দিয়ে ফিলিস্তিন-সংক্রান্ত তার নিজস্ব নীতির সপক্ষে বার্তা দিতে চেয়েছেন তিনি। লেবারম্যান নেতৃত্বে ইসরাইল আরো আগ্রাসী হয়ে উঠবে বলে মনে করছেন রাজনীতি বিশ্লেষকরা। ইসরাইলি সেনাবাহিনীর একটি সূত্র জানিয়েছে, গাজার নিয়ন্ত্রক হামাসের আজ্জেদিন কাসাম ব্রিগেড, ইসলামিক জিহাদের কুদস ব্রিগেড ও পিএফএলপিকে লক্ষ্য করে এসব হামলা চালানো হয়। সেন্ট্রাল গাজার উত্তরের এলাকা আল বুরেজ ও বেইত হানাউনে আর্টিলারি নিক্ষেপ করা হয়। হামলায় ১৭ বছরের এক কিশোরসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। হামলা সম্পর্কে প্রাপ্ততথ্যে দেখা গেছে, ইসরাইল দুই ধাপে এবারের হামলা চালায়। ইসরাইলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেছেন, ইসরাইল এখনো এ অঞ্চলে স্থিতিশীলতা বজায় রাখায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে ২০১৪ সালের যুদ্ধের পর হামাসকে এখন আর খুব শক্তিশালী মনে করে না ইসরাইল। হামাসও নিজেদের ক্ষতি ও শক্তির বিষয়ে অবগত। ফলে এ সময়ে হামাস ইসরাইলকে লক্ষ্য করে তেমন কোনো হামলা চালায়নি। ছুরিকাঘাতে ইসরাইলি হত্যা ও বিপরীতে গাজায় ইসরাইলি সেনাবাহিনীর গুলিতে ফিলিস্তিনির মৃত্যু ছাড়া ২০১৪ সালের পর বড় ধরনের হামলার ঘটনা ঘটেনি। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে গাজায় ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুর চাইতে কঠোর নীতির পক্ষে অবস্থান প্রকাশ করে আসছিলেন লেবারম্যান। এমনকি ইসরাইল যেন গাজা পুনর্দখল করে তার দাবিও জানান তিনি। দ্য গার্ডিয়া, ওয়েবসাইট।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন