শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

স্বাস্থ্য

হজের সময় ডায়াবেটিক এবং অন্য রোগীদের করণীয়

প্রকাশের সময় : ২৪ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

হজ পালন করা সৌভাগ্যের বিষয়। আল্লাহ যাকে ডাক দেন সেই হজে যেতে পারে। আমাদের দেশ থেকেও শুরু হয়েছে হজ যাত্রা। কবুল হাজিরা শিশুর ন্যায় নিষ্পাপ হয়ে যায়। হজ পালনের জন্য শারীরিক এবং মানসিক সুস্থতা একান্ত প্রয়োজন। হজের প্রতিটি আনুষ্ঠানিকতা শ্রমসাধ্য ব্যাপার। পরিবর্তিত পরিস্থিতি জীবনযাত্রার পরিবর্তন, ধর্মীয় আবেগ, অতিরিক্ত পরিশ্রম, আবহাওয়ার তারতম্য সব মিলে হাজিরা, বিশেষ করে ডায়াবেটিক রোগীরা বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে পারেন। পানিশূন্যতা, সর্দিজ্বর, কাশি, শরীর ব্যথা, ডায়রিয়া এবং সুগার কম বেশি হতে পারে। পায়ে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। সাধারণ রোগ সম্পর্কে (ডায়রিয়া, সর্দিজ্বর, মাথাব্যথা, বমি, পেটে গ্যাস, আমাশয় এবং বুকে ও প্রস্রাবে ইনফেকশন) এবং এর নিরাময়ের জন্য ওষুধ সম্পর্কে কিছুটা ধারণা নিয়ে এবং অন্যান্য রোগীরা তাদের ডাক্তারের সঙ্গে রোগ সম্পর্কে আগে থেকে পরামর্শ করে প্রস্তুতি নিয়ে এই জটিলতা থেকে রেহাই পেতে পারেন।
রোগীদের হজ পূর্ব প্রস্তুতি
রমজানের আগে থেকে মুয়াল্লিম এবং ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে হজের প্রস্তুতি নিন।
প্রতিদিন আধা ঘণ্টা হাঁটার অভ্যাস করুন।
ডায়াবেটিস এবং ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখুন। অন্যান্য রোগের চিকিৎসা নিন।
বিভিন্ন পরিস্থিতিতে সুগার এবং ব্লাড প্রেসার কন্ট্রোলের ব্যাপারে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে হাতে কলমে শিক্ষা নিন। হাইপোগ্লাইসেমিয়া এবং সিক ডে ম্যানেজমেন্ট সম্পর্কে জেনে নিন।
প্রয়োজনীয় ওষুধ, ইনসুলিন, সিরিঞ্জ, গ্লুকোমিটার, তুলা, ডিপস্টিক প্রভৃতি আলাদা প্লাস্টিকের খালি বাক্সে নিন।
সবসময় প্রেসক্রিপসন সাথে রাখবেন, ফটোকপি অন্য ব্যাগে রাখবেন।
গরম জায়গায় ইনসুলিন পানিতে রাখতে পারবেন অথবা সরবরাহকারকদের কাছ থেকে পরামর্শ নিতে পারবেন।
হজের সময় রোগীদের করণীয়
সবসময় কিছু খাবার (যেমন গ্লুকোজ, চিনি, বিস্কুট, খেজুর) সঙ্গে রাখবেন।
হাইপোগ্লাইসেমিয়া হলে কিভাবে চিকিৎসা করতে হবে তা সাথীদেরকে শিখিয়ে রাখবেন।
জমজমের নরমাল পানি বেশি বেশি করে পান করবেন।
যারা ইনসুলিন (২-৩ বার) নিয়ে থাকেন তারা ইহরামের পূর্বেই গ্লুকোমিটার দিয়ে গ্লুকোজ এবং ডিপস্টিক দিয়ে প্রস্রাবে কিটোন দেখে নিতে পারেন।
ইহরামের দিনগুলোতে প্রস্রাবের সুগার দেখে ইনসুলিন ও ডায়াবেটিসের ওষুধ ঠিক করতে পারবেন।
তাওয়াফের আগে, সা’ঈ এর আগে, কংকর নিক্ষেপের আগে, কুরবানি এবং অপরাপর অতিরিক্ত পরিশ্রমের জায়গাতে আগে কিছু খেয়ে নেয়া ভালো।
ওইসব পরিশ্রমের দিনগুলোতে ইনসুলিন ২৫% কম নেয়া এবং সালফোনাইল ইউরিয়া গ্রুপের ওষুধ ২৫% কম খাওয়া ভালো।
অতিরিক্ত হাঁটাহাঁটির সময় পায়ের যতœ নিবেন, প্রয়োজন অনুযায়ী মোজা বা সঠিক জুতা পায়ে দিবেন।
যে কোন জরুরি অবস্থায় হজ মেডিকেল টিমের শরণাপন্ন হবেন।
ষ অধ্যাপক ডাঃ মোঃ ফরিদ উদ্দিন
প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, এন্ডোক্রাইনোলজি (ডায়াবেটিস ও হরমোন) বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, শাহবাগ, ঢাকা

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন