পুলিশ সুপার কক্সবাজার হাসানুজ্জামান বলেন, পুলিশের সেবা জনগণের দোর গোড়ায় পৌঁচে দিতে কক্সবাজারের ৮ উপজেলাকে বিট পুলিশিং এর আওতায় আনা হয়েছে। ইতোমধ্যে জনগণ এর সুফল পাচ্ছেন।
তিনি বলেন, কক্সবাজাররে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো না খারাপ সেটা জনগণ মুল্যায়ন করবেন। তবে পুলিশ এব্যাপারে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার সকালে দৈনিক ইনকিলাবের এই প্রতিবেকের সাথে কক্সবাজারের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলাপ চারিতায় পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান এসব কথা বলেন।
পুলিশ সুপার বলেন, কক্সবাজারের স্থানীয় অধিবাসীদের উপর ১২ লাখ রোহিঙ্গা অবশ্যই একটি বড় বোঝা। এর উপর পর্যটন শহর হওয়ায়
রয়েছে লাখ লাখ পর্যটকের চাপ। এখানে অপরাধ সংঘটিত হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যায়। তাই আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে পুলিশকে সবসময় সতর্ক থাকতে হয়।
পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান বলেন, পুলিশের মুল শক্তি হচ্ছে জনগণ।তৃনমুলে জনগনের দোর গোড়ায় সেবা পৌঁছে দেয়ার জন্য তিনি কক্সবাজার জেলায় বিট পুলিশিং এর ব্যস্থা করেছেন। পুলিশের বিধি মতে বিট পুলিশিং এর ব্যবস্থা রয়েছে। ২০১০ সালে ঢাকায় প্রথম বিট
পুলিশিং ব্যবস্থা চালু করা হয়।
জেলায় ইতোমধ্যেই ৮৪ টি পুলিশ বিট স্থাপিত হয়েছে বলে জানিয়ে এসপি হাসানুজ্জামান বলেন, প্রত্যেক বিটে একজন এসআই এর নেতৃত্বে ৪ জন পুলিশ দায়িত্ব পালন করবেন। এতে ইতোমধ্যে জনগন সেবা এবং সুফল দু'টোই পেতে শুরু করেছে।
মাদক নির্মুল সম্পর্কে তিনি বলেন, এটা অনেক বড় কথা। সমাজের বিভিন্ন স্থরে নানা ভাবে মাদকের অনুপ্রবেশ অনেক আগে থেকেই। চাইলেই রাতারাতি তা নির্মুল করা সম্ভব না। জনগণ যেহেতু পুলিশের মুল শক্তি। এজন্য জনগণকে নিয়ে ব্যাপক ভিত্তিতে সামাজিক আন্দোলন প্রয়োজন।
তাই জনগণকে সাথে নিয়ে পুলিশ মাদক প্রতিরোধে ভূমিকা রেখে যাচ্ছে।
পুলিশ, বিজিবি ও র্যাবের নিয়মিত অভিযানে ইয়াবাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদক দ্রব্য উদ্ধার হচ্ছে।
তিনি বলেন, অনেক সময় মাদক দ্রব্য উদ্ধার হলেও সাক্ষী প্রমাণের অভাবে আসামীরা সহজেই আদালত থেকে ছাড়া পেয়ে যায়।
তাই এখন কোথাও ইয়াবা উদ্ধার হলে স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করে মাদক দ্রব্য গুনে নিয়ে তাদের সাক্ষী করা হয়। সাথ সাথে ভিডিও চিত্র ধারণ করে ডকুমেন্ট রাখা হয়। এই ডকুমেন্ট আদালতে কাজে লাগতে পারে।
রোহিঙ্গা কয়াম্পে নানা অপরাদ সম্পর্কে এসপি হাসানুজ্জামান বলেন, তারা আগে থেকেই মাদক পাচার ও খুন-খরাবিতে জড়িয়ে পড়েছিল। গত কালও একজনকে অপহরণ করেছিল। তাকে পুলিশ উদ্ধার করেছে এবং একজন অপহরণকারীকে আটক করেছে। তবে এখন তারা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে আছে।
আগামী কাল ২৫ ডিসেম্বর খ্রীষ্টান সম্প্রদায়ের বর দিন ও ৩১ ডিসেম্বর থার্টিফাস্ট নাইটে পুলিশের সতর্কতা সম্পর্কে এসপি বলেন, এদিন গুলোতে কক্সবাজারে লাক লাখ পর্যটকের সমাবেশ ঘটে থাকে। পুলিশ এ ব্যাপারে সতর্ক রয়েছে। এসময় বাইরে উন্মুক্ত স্থানে কোন সমাবেশ ও হৈ-হুল্লোড় করা যাবেনা। এই বার্তা হোটেল- মোটেল ও পর্যটকদের মাঝ প্রচার করা হচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন