রাজশাহী গোদাগাড়ী উপজেলার আইন-শৃঙ্খলা, যৌতুক, চোরাচালান, সন্ত্রাস ও নাশকতা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় উপজেলা সম্মেলন কক্ষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জানে আলমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গোদাগাড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল মালেক, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সুফিয়া খাতুন মিলি।
গুরুত্বপূর্ন মতামত প্রদান করেন করেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধার সাবেক কমান্ডার শ্রী অশোক কুমার চৌধুরী, গোদাগাড়ী মডেল থানার ওসি মোঃ খলিলুর রহমান পাটোয়ারী, গোদাগাড়ী মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ রোকনুজ্জামান, আদিবাসী নেতা শ্রী কিসনো দাস, মহিশালবাড়ী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, সাংবাদিক কলামিষ্ট মোঃ হায়দার আলী, ডা. ইফাত ফারজানা, বিজিবির কোম্পানি কমান্ডার, মো লিয়াকত আলী প্রমূখ।
উপস্থিত ছিলেন, শাহ সুলতান (রহ.) কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাও. দুরুল হোদা, শিশু নিকোতনের অধ্যক্ষ বরজাহান আলী পিন্টু, গোদাগাড়ী সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ মজিবুর রহমানসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান, দপ্তরের প্রধানগণ সুধিজন উপস্থিত ছিলেন।
বক্তাগণ বক্তব্যে বলেন, গোদাগাড়ীর আইনশৃঙ্খলা ভালই আছে, তবে আরও ভাল রাখার জন্য উপজেলার পুলিশ, বিজিপি, সরকারী কর্মকর্তা,জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় নেতৃবৃন্দের অনেক সচেতন হতে হবে। গোদাগাড়ীর একটাই বদনাম হিরোইন, ইয়াবা, ফেনসিডিল,গাঁজাসহ বিভিন্ন ধরণের মাদক ব্যবসায়ী, গডফাদার এখানে রয়েছে। এদের কারণে মাঝে মাঝে আইন শৃঙ্খলার অবনিতি হয়। করোনার কারনে মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান কম হওয়ায় পালিয়ে থাকা বিভিন্ন সংস্থার তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ীরা বীর দাপটে এলাকায় এসে তাদের অবৈধ কারবার আবার চালু করায় মাদকের সহজলভ্যতা ফের শুরু হয়েছে। গোদাগাড়ী মডেল থানায় একসময় কর্মরত পাঁচ পুলিশ সদস্য মাদক কেলেঙ্করী জড়িত, আসামী জবানবন্দির বিষয়টি উঠে আসে। মাদকের তালিকাভুক্ত ব্যবসায়ীদের বাড়ীতে মাদকব্যবসায়ীর বাড়ী লিখে সাইনবোর্ড লিখে ঝুলানো, মাঝি, শ্রমিক, ভান চালকসহ শূন্য থেকে শত শত কোটি টাকার সম্পাদকের তদন্ত করে তাদের সম্পদ সরকারী কোষাগারে জমা করার ব্যপারে আলোচনা করা হয়। মাদকব্যবসায়ীদের ছেলে মেয়েদের সাথে বিবাহ সম্পর্ক থেকে বিরত খেকে তাদের বিরুদ্ধে সামাজিকভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলার ব্যপারেও আলোচনা করা হয়। বিজিপি যদি মনে করেন সীমান্ত দিয়ে মাদক তো দূরের কথা একটি পাখিও আসবে না সেটা সম্ভব। পুলিশ বিজিপিকে আরও মাদক প্রতিরোধে আরও সচেতন হতে হবে। তাদরের এবং সমাজের অবক্ষয় প্রতিরোধে জনপ্রতিনিধিদের এ সভায় উপস্থিত থাকা প্রয়োজন কিন্তু তারা অনুউপস্থিত। প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষনা করেছেন তাই কোনভাবে মাদকব্যবসায়ীরা যেন কোনভাবে পার পেতে না পারেন সেজন্য তাদের বিরুদ্ধে শক্ত মামলা, চার্জসীট প্রদান করতে হবে। উপজেলার গোপালপুর মিষ্টির দোকানের সামনে হিরোইন, ইয়াবা, ফেনসিডিলের কারবার চলে এছাড়া রাজাবাড়ী, প্রেমতলী হাসপাতাল এলাকা, মহিশালবাড়ী গরুরহাট, সুলতানগজ্ঞ, ফিরোজচত্তর, সুলতানগজ্ঞ, বাসুদেবপুর, পিরিজপুর, কুমুরপুর, মাদারপুর, শিবসাগর প্রভূতি এলাকায় অবাদে হোরোইন, ফেনসিডিল, ইয়াবা, গাঁজাসহ বিভিন্নধরের মাদকসেবন, বেচাবিক্রিসহ ছোটবড় অপরাধ হয়। ওই স্থানে অভিযান ও মোবাইল কোর্টসহ মাদকব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সামাজিকভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন