বিদ্রোহ ও অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে নাইজারে প্রথমবারের মতো শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা পরিবর্তনের লক্ষ্যে রোববার প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ইতিহাস সৃষ্টি হবে, এমন আশা করা হচ্ছে। জাতিসংঘের তথ্য অনুসারে বিশ্বের দরিদ্রতম সাহেল দেশটি ৬০ বছর আগে ফ্রান্সের কাছ থেকে স্বাধীনতা পাওয়ার পর থেকে নির্বাচিত নেতারা কখনও ক্ষমতা হস্তান্তর করেননি। দেশটিতে সর্বশেষ অভ্যুত্থানটি ঘটেছিল এক দশক আগে। তখন থেকে ক্ষমতায় থাকা প্রেসিডেন্ট মহামাদু ইসুফু নির্বাচিত উত্তরসূরির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করার ঘোষণার পর থেকে বিশেষ মনোযোগ আকর্ষণ করেছেন। -বাসস
পশ্চিম আফ্রিকার দুটি দেশ গিনি ও আইভরি কোস্টে রাষ্ট্র প্রধানরা সাংবিধানিক পরিবর্তন আনার পর চলতি বছর সহিংসতা বেড়ে গেছে। ইসুফু বলেন, ‘আমার সুদৃঢ় আকাঙ্খা হলো ২০২১ সালে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত উত্তরসূরির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর। তিনি বলেন, “আমাদের দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের এই ঘটনা হবে আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ অর্জন।’ “ফরাসী প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ক্ষমতা হস্তান্তরের বিষয়ে ইসুফুর এ ঘোষণার প্রশংসা করেছেন। তিনি একে ‘গণতন্ত্রের উদাহরণ’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যাঁ-ইভস লো ড্রিয়ান বলেছেন যে, ২৭ ডিসেম্বরের নির্বাচন হবে সমগ্র আফ্রিকার জন্য মানদন্ড স্বরূপ। তবে অনেকেই সেনাবাহিনীর কর্তৃত্ববাদী ভূমিকার কথা মনে রেখে সংশয়ের ইঙ্গিত করেছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন