শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

ইইউ-যুক্তরাজ্যের মধ্যে ব্রেক্সিট পরবর্তী বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন, নাখোশ লেবার পার্টি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৫ ডিসেম্বর, ২০২০, ৩:৫৮ পিএম

একেবারে শেষ মুহূর্তে যেয়ে ব্রেক্সিট বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন করল ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও ব্রিটেন। হাতে মাত্র সাত দিন বাকি ব্রিটেনের ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ছাড়ার। তার আগে সম্পন্ন হল এই চুক্তি। তবে লেবার পার্টি জানিয়েছে, চুক্তি পছন্দ না হলেও তারা সমর্থন করছে। কারণ, সমর্থন না করলে কোনো চুক্তিই হতো না।

১ হাজার ৫০০ পাতার চুক্তি। যার এক হাজার পৃষ্ঠা কেবলই অ্যানেক্সাচার এবং ফুটনোট। দীর্ঘ আলোচনার পর ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং যুক্তরাজ্যের মধ্যে যে বাণিজ্য চুক্তি হয়েছে, শুক্রবার তা ইউরোপের কূটনীতিকদের বোঝানোর কথা। বোঝাবেন, বাণিজ্য চুক্তিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের তরফের মধ্যস্থতাকারী মিশেল বারনিয়ের। আগামী ৩১ তারিখ সরকারি ভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বিদায় নিচ্ছে যুক্তরাজ্য। তারপরেই নতুন বাণিজ্য চুক্তি কার্যকর হবে। নতুন বাণিজ্য চুক্তির খুঁটিনাটি বিষয়ে এখনো সব কিছু স্পষ্ট নয়। তবে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, যে বিষয়গুলি নিয়ে জটিলতা ছিল, তা কেটে গিয়েছে। মাছ ধরা সহ একাধিক বিষয়ে দ্বিমত ছিল যুক্তরাজ্য এবং ইইউ-র মধ্যে। শেষ পর্যন্ত সেই জটিলতা কেটেছে। তবে আপাতত সাময়িক কাজ চালানোর মতো করে বাণিজ্য চুক্তি কার্যকর করা হবে। নতুন বছরে তার স্থায়ী রূপায়ন হওয়ার কথা।

যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টি বাণিজ্য চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছে। তাদের বক্তব্য, যে চুক্তি হয়েছে, তা ভালো বলে তারা মনে করে না। চুক্তির মধ্যে একাধিক সমস্যা আছে। তা সত্ত্বেও তারা চুক্তিটিকে সমর্থন করছে কারণ, না হলে কোনো চুক্তিই হতো না। যা আরো ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করত। বস্তুত, শেষ কয়েক দিনে বাণিজ্য চুক্তির আলোচনা এমন জায়গায় পৌঁছে গিয়েছিল যে মনে হচ্ছিল, কোনো চুক্তি হওয়াই আর সম্ভব নয়। একাধিক বিষয় নিয়ে দুই তরফ কোনো মতানৈক্যে আসতে পারছিল না। শেষ পর্যন্ত সমাধানসূত্র মিলেছে। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন অবশ্য চুক্তিটি নিয়ে খুবই আশাবাদী। বৃহস্পতিবার রাতে তিনি একটি ভিডিও বার্তায় বলেছেন, “দেশবাসীর জন্য একটি ছোট্ট উপহার আছে। এই চুক্তির সুবিধা পাবেন বিনিয়োগকারী, পর্যটক সহ সকলে।” এরপরেই নিজের হাতে সকলকে চুক্তির ফাইল দেখান তিনি। চুক্তির প্রশংসায় জনসন বলেছেন, এর আওতায় বিভিন্ন কোম্পানি এবং রপ্তানীকারকরা ইউরোপীয় বন্ধু দেশগুলোর সঙ্গে আরও বেশি ব্যবসা করার সুযোগ পাবে।

এ বিষয়ে ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন দের লেয়েন বলেন যে অনেকটা রাস্তা অতিক্রম করার পর ভালো চুক্তি হয়েছে। এটি ভালো ও ভারসাম্যের চুক্তি, যেটা করা সঠিক কাজ হয়েছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন উচ্ছ্বসিত ছবি টুইট করেন নিজের বাড়ির থেকে। ক্যাপশন দিয়েছেন ডিল ইজ ডান, অর্থাৎ চুক্তি সম্পন্ন। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর অফিসের সূত্রে বলা হয়েছে যে তারা তাদের টাকা, সীমান্ত, আইন, বাণিজ্য ও মাছ ধরার জলের নিয়ন্ত্রণ ফেরত নিয়েছে।

২০১৬ সালে গণভোটের পর ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেয় ব্রিটেন। ৩১ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিক ভাবে ইউ ছেড়ে দেবে ব্রিটেন। পয়লা জানুয়ারি থেকেই শুরু হয়ে যাবে নয়া নিয়মকানুন। শেষবেলায় চুক্তি হওয়ায় কিছুটা হলেও জারি থাকবে নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে ব্যবসা বাণিজ্যের ধারা। তবে কিছুটা সমস্যা হবেই কারণ ৪৮ বছরের সম্পর্ক ছিন্ন করছে ব্রিটেন। এখনও প্রকাশ্যে আসেনি চুক্তির খুঁটিনাটি তবে মনে করা হচ্ছে কোনও শুল্ক থাকবে না ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও ইউনাইটেড কিংডম। সূত্র: রয়টার্স, এপি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
মোহাম্মদ আবুল হাশেম ২৫ ডিসেম্বর, ২০২০, ৪:৩৮ পিএম says : 0
Labour being in opposition have to say something. If they had been in power, they could not do anything better.
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন