শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

হাওয়া ভবনের পরিকল্পনায় সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা হয়-হানিফ

প্রকাশের সময় : ২৪ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে বহুল ‘বিতর্কিত’ হাওয়া ভবনের পরিকল্পনায় ও রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ। তিনি বলেন, হাওয়া ভবনে বঙ্গবন্ধুর খুনি, পাকিস্তানের শীর্ষ সন্ত্রাসী এবং জামায়াত নেতাদের সঙ্গে বসে গ্রেনেড হামলার পরিকল্পনা করা হয়।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর ইস্কাটন গার্ডেনের বিটিসিএল ভবনের সামনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ টিঅ্যান্ডটি শ্রমিক ইউনিয়ন (সিবিএ) আয়োজিত আলোচনা সভায় হানিফ এসব কথা বলেন।
মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, হাওয়া ভবনে মুফতি হান্নান, বঙ্গবন্ধুর খুনি মেজর নূর, জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ, পাকিস্তানের শীর্ষ সন্ত্রাসী মজিদ ভাটদের নিয়ে বিএনপি নেতারা এই হামলার পরিকল্পনা করেছিলেন। হামলা করার জন্য সরকারিভাবে গ্রেনেড সরবরাহ করা হয়েছিল। গভর্নমেন্ট প্রোটেকশনে এ হামলা হয়েছিল।
২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় তারেক রহমান জড়িত ছিলেন দাবি করে হানিফ আরও বলেন, শুধু তারেক রহমান নন, ওই সময়ের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, বিএনপি নেতা আবদুস সালাম পিন্টুও ওই হামলায় জড়িত ছিলেন। আর কত নাম বলব মির্জা ফখরুল সাহেব। বোমা হামলায় অংশগ্রহণকারীদের স্বীকারোক্তিতেই এসব তথ্য বেরিয়ে এসেছে।
হামলায় তারেক রহমানের জড়িত থাকার অভিযোগ বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নাকচ প্রসঙ্গে হানিফ বলেন, বিএনপির আমলে ২০০৪ সালে ওই গ্রেনেড হামলা হয়েছিল। আপনি (মির্জা ফখরুল) ওই সময় সরকারের মন্ত্রী ছিলেন। আপনি যদি মনে করেন, তারেক রহমান জড়িত ছিলেন না, তাহলে নিশ্চয় জানেন কারা জড়িত। নামের তালিকাগুলো দিন, তদন্ত করা হোক। ২১ আগস্টের হামলা তো আর জজ মিয়া করেনি। তিনি তো শেখ হাসিনার প্রতিপক্ষ ছিলেন না যে তাঁকে হত্যা করলে জজ মিয়া প্রধানমন্ত্রী হয়ে যাবেন।
হানিফ বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেব, জানি আপনার অনেক কষ্ট। কারণ, আপনি এমন একটি দল করেন, যার প্রতিষ্ঠাতা হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত, বর্তমান চেয়ারপারসনও হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত। আর ভবিষ্যতে যাকে আপনারা নেতা হিসেবে চিন্তা করছেন, সেই তারেক রহমান, তিনিও হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত। আহ! কী রাজনৈতিক দল। ন্যূনতম লজ্জাবোধ থাকলে এই দল থেকে আপনাদের পদত্যাগ করা উচিত।
গ্রেনেড হামলা মামলার বিচার দ্রুত শেষ হবে উল্লেখ করে হানিফ বলেন, এই হামলার বিচার হচ্ছে, শিগগিরই রায় হবে। আশা করি, বিএনপির অভিযুক্ত নেতাদের বিচার হবে। জনগণ সেই রায় কার্যকরও দেখতে পারবে। আমরা সেই অপেক্ষায় আছি। এর মাধ্যমে প্রমাণ হবে- বিএনপি নামক রাজনৈতিক দলটি হত্যাকারী-খুনিদের রাজনৈতিক দল। এই দল একটা অশুভ শক্তি।
বাংলাদেশ টিঅ্যান্ডটি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. শাহনেওয়াজের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের শ্রম ও জনশক্তিবিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, কেন্দ্রীয় সদস্য সুজিত রায় নন্দী প্রমুখ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন